🔸সাত্ত্বিক_আহার কেন গ্রহণ করবো?



🔸সাত্ত্বিক_আহার কেন গ্রহণ করবো?

🍓অসাবি দেবং গোঋজীকমন্ধো ন্যস্মিন্নিন্দ্রো জনুষেমুবোচ।
বোধামসি ত্বা হয়র্শ্ব য়জ্ঞৈবোধা ন স্তোমমন্ধসো মদেষু॥
(সামবেদ ৩১৩) অথবা (সামবেদ ৯/৩/১)

🍎সরলার্থঃ আহার সেটিই উত্তম যা কিনা উৎপাদন করা হয়েছে। আহার ভূমিমাতা থেকে উৎপন্ন শস্যাদিরই করা উচিত, সাথে গোদুগ্ধ। এই আহারই সাত্ত্বিক ও দৈবী সম্পত্তির জন্মদাতা। এই সাত্ত্বিক ভোজনে নিশ্চিতভাবেই, স্বভাবতই ইন্দ্রিয়সমূহের শাসক হওয়া যায়, দাস নয়। অর্থাৎ সাত্ত্বিক ভোজন দ্বারা ইন্দ্রিয়সমূহকে বশীভূত করা যায়। পক্ষান্তরে রাজসিক ও তামসিক আহার ইন্দ্রিয়ের দাসত্বের কারণ। প্রভু উপদেশ দিচ্ছেন শীঘ্রতাযুক্ত ইন্দ্রিয়রূপ অশ্বযুক্ত মানব ! তোমাকে যজ্ঞসমূহ দ্বারা জ্ঞানযুক্ত করি। ভক্ত বলছেন, সাত্ত্বিক আহারের আনন্দে বিহ্বলিত আমাদের স্তুতি সমূহকেও জ্ঞাত হও। অর্থাৎ, সাত্ত্বিক আহারী মানব প্রভুকে বিস্মৃত হয় না। বরং সর্বদা স্মরণ করে।

🍇ভাবার্থঃ পরমেশ্বরের উপাসনা দ্বারা যোগাভ্যাসী মানুষ নিজের ইন্দ্রিয়কে সরলপথে চালিত করতে পারে। এই জন্য সকলের শ্রদ্ধাপূর্বক পরমেশ্বরের উপাসনা করা উচিত। 
🍉সাত্ত্বিক আহারের সুফলসমূহ - 
১. জিতেন্দ্রিয় হওয়া 
২. ক্রিয়াশীলতা 
৩. যজ্ঞশীল হওয়া 
৪. জ্ঞানী হওয়া 
৫. সদা সর্বদা প্রভুর স্তুতি করার চেতনা লাভ।

ও৩ম্ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ

Please Select Embedded Mode To Show The Comment System.*

নবীনতর পূর্বতন