▪️ শ্রীমদ্ভগবদগীতা দর্শনঃ 🌱
নমস্কার সকল অমৃতের সন্তানগণ 🌼🙏
সনাতনধর্মের প্রধান ধর্মগ্রন্থ পবিত্র বেদ। কিন্তু পবিত্র বেদ এর পরে যে গ্রন্থ খুবই জনপ্রিয় ও অর্থবহ তা হলো শ্রীমদ্ভগবদগীতা। যা একটি দার্শনিক গ্রন্থ হলেও পাশ্চাত্য থেকে প্রাচ্য এর চর্চা ও গুরুত্ব অপরিসীম। আমরা শ্রীমদভগবদগীতা সবসময় অধ্যয়ন করলেও তার সম্মুখ অংশের চিত্রের গুরুত্ব এবং এর মাঝে লুকায়িত দর্শনকে উপলব্ধি করতে সক্ষম হইনি। আজকে আমরা সে চিত্রের গুরুত্ব ও এর মাঝে যে দার্শনিক দিক রয়েছে তা আলোচনা করবো।
চিত্রের বিশ্লেষণ থেকে আমরা খুঁজে পাই, রথে বিরাজমান অর্জুন, যোগেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ রথের চালক এবং তারা যুদ্ধে উপবিষ্ট। কিন্তু এ চিত্র নিজেই একটি অনন্য দর্শন সৃষ্টি করে যা আমাদের জীবন ও উদ্দেশ্যকে প্রতিফলিত করে।
এখানে,
রথ - আমাদের দেহের প্রতীক
অর্জুন - জীবাত্মার প্রতীক
যোগেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ - মুক্তাত্মার প্রতীক
ঘোড়াসমূহ- আমাদের ইন্দ্রিয়
লাগাম - ইন্দ্রিয়কে নিয়ন্ত্রণ করার সক্ষমতা
বিশ্লেষণ: অর্জুন হলো আমাদের সে জীবাত্মা যে রথ নামক দেহে বিরাজমান। কিন্তু সে দ্বিধা ও মোহগ্রস্থ হয়ে পড়েছে। সে জীবাত্মা দেহের সাথে যুক্ত ঘোড়ার প্রতীকস্বরুপ ইন্দ্রিয়সমূহকে পরিচালিত করতে সক্ষম নয়। কিন্তু যখন জ্ঞানস্বরুপ আলো দ্বারা আমাদের মন মুক্ত হয় তখন সে ইন্দ্রিয়সমূহকে আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হই। কারণ তখন আমরা ঈশ্বরের নিকট আমাদের সকল আশা আকাঙ্খা সমর্পণ করে ইন্দ্রিয়সমূহকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। এবং নিজেদেরকে মোক্ষ অভিমুখে নিয়ে চলি। যদি ঘোড়ার লাগাম মোহগ্রস্ত ব্যক্তির হাতে থাকে তাহলে সে কখনোই নিজ গন্তব্যে পৌঁছতে পারে না কিন্তু সে যখন জ্ঞানের আলোয় পরিপূর্ণ তখন সে ইন্দ্রিয়সমূহকে নিয়ন্ত্রণ করে সত্য অভিমুখে যেতে পারে।
সে জন্য বৃহদারণ্যক উপনিষদে বলা হয়েছে,
🪔ওতম্ অসতো মা সদ্গময়।
তমসো মা জ্যোতির্গময়।
মৃত্যোর্মামৃতং গময়।🪔
🌱(বৃহদারণ্যক উপনিষদ্ ১।৩।২৮)🌱
💐অসত্য থেকে আমাকে সত্যে নিয়ে যাও,
অন্ধকার থেকে আমাকে আলোতে নিয়ে যাও, মৃত্যু থেকে আমাকে অমৃতে নিয়ে যাও। 💐
ধন্যবাদ।
প্রচারে:- VEDA
✍️ বিকাশ দেবনাথ
মন্তব্যসমূহ