ঈশ্বরের কৃপায় আশাকরি সবাই ভালো আছেন।আজকের আলোচ্য বিষয় " বেদ কেন প্রধান ধর্মগ্রন্থ "।
আজকে আমরা জানবো বিভিন্ন শাস্ত্রে পবিত্র বেদ নিয়ে কি বলা হয়েছে।♥
🔷 সনাতনধর্মের মূল বা প্রধাণ ধর্মগ্রন্থ কি তা আমাদের প্রাচীন মুনি-ঋষিরা স্পষ্টত উল্লেখ করে গিয়েছেন। প্রথমেই দেখবো মনুসংহিতায় বেদ নিয়ে কি বলা হয়েছে।
🚩 "বেদোহখিলো ধর্মমূলম্।"
(মনু০ ২।৬)
অর্থাৎ বেদই সমস্ত ধর্মের মূল।
.
🚩" ধর্ম জিজ্ঞাসমানানাং প্রমাণং পরমং
শ্রুতিঃ।।"
----(মনু০ ২।১৩ )----
অর্থাৎ যে ধর্মের বিষয়ে জ্ঞান প্রাপ্ত
করতে চায় তাহার জন্য বেদই মূখ্য প্রমাণ।
🚩 বিভর্তি সর্বভূতানি বেদশাস্ত্রং সনাতনম্।
তস্মদেতৎপরং মন্যে যজ্ঞন্তোরস্য সাধনম্।।
(মনু০ ১২।৯৯)
অর্থাৎ সনাতন বেদশাস্ত্র সম্পূর্ণ জীবের
সর্বদা ধারণ তথা পোষণ করেন এইজন্য ইহা
প্রাণীবর্গের পরম সাধন।
🔶এবার দেখে নেব অত্রি সংহিতায় বেদ নিয়ে কি বলা হয়েছে।
⚜️সন্তানের জন্য মায়ের চেয়ে বড় যেমন কোন শিক্ষক নেই তেমনি কোন ব্যাক্তির জন্য বেদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ অার কোন গ্রন্থ নাই।
---(অত্রি সংহিতা ১৫১)--
💠 শ্রুতি=বেদ এবং স্মৃতি- এই দুটিকে ব্রাহ্মণের চোখ বলা হয়েছে। যদি এই দুটির মধ্যে যে কোনো একটি না থাকে তবে সেই ব্রাহ্মণ কাণা বলে বিবেচিত হবে এবং দুটোই যদি না থাকে তবে সে অন্ধ বলে বিবেচিত হবে।
----(অত্রিসংহিতা ৩৫১)----
🔷অন্য স্মৃতি শাস্ত্র থেকে দেখে নেওয়া যাক।
🚩 যজ্ঞের বিষয়ে,তপস্যার বিষয়ে,শুভ কর্মের জ্ঞানার্থ দ্বিজের জন্য বেদ পরম কল্যাণের সাধন।
- (যাজ্ঞবল্ক্য সংহিতা ১/৪০)
🚩 বেদের অধ্যায়ন করে মানুষ শীঘ্রই দুঃখ থেকে মুক্তি পায়,সে পবিত্র ধর্মের আচরন করে ও সুখ প্রাপ্ত হয়।
---(বৃহস্পতি সংহিতা ৭৯)
🔶এবার দেখবো দর্শন শাস্ত্র হতে।
“মন্ত্রায়ুর্বেদ প্রামাণ্যবচ্চ তত্প্রমাণ্যমাপ্তপ্রামাণ্যাত্
ন্যায় দর্শন (২/১/৬৭)
→জ্ঞানী ব্যাক্তি যিনি তার মন,কথা ও কাজে সত্যকে প্রতিপালন করেন তিনি সর্বদাই বেদের প্রামাণ্য স্বীকার করেছেন।
♦“তদ্ বচনাদাম্নায়স্য প্রামাণ্যম্।
বৈশেষিক দর্শন-১০/১/৩
বেদ পরমেশ্বরের বাণী তাই তা প্রামাণ্য।
🔶উপনিষদে বেদের কথা --
♦“এতস্য বা মহতো ভূতস্য নিশ্বসিতমেতত্।
য়ত্ ঋগ্বেদো যজুর্বেদঃ সামবেদোথর্ববেদঃ।।”
(বৃহদারণ্যক উপনিষদ ৪/৫/১১)
অর্থাৎ ঋগ্বেদ, যজুর্বেদ, সামবেদ এবং অথর্ববেদ সেই মহান পরমেশ্বরের নিঃশ্বাস স্বরূপ।
.
♦ বাগ্ বিবৃতাশ্চ বেদাঃ
----(মুন্ডকোপনিষদ ২/১/৪)
বিবৃত বেদসকলই তার বাকস্বরুপ।
.
♦সেই পরমপুরুষ হতেই
ঋগ্বেদ, যজুর্বেদ, সামবেদাদি উৎপন্ন হয়েছে।
-----(মুন্ডকোপনিষদ ২/১/৭)---
🔷ইতিহাস গ্রন্থ মহাভারতে বেদের স্তুতি।
★“অনাদিনিধনা নিত্যা বাগূত্সৃষ্টা স্বয়ম্ভূবা।
আদৌ বেদময়ী দিব্যা য়তঃ সর্বাঃ প্রবৃত্তয়ঃ।।”
--(মহাভারত শান্তি পর্ব ১২/২৩২/২৪)
.
♦অনুবাদ→ সৃষ্টির আদিতে স্বয়ম্ভূ পরমাত্মা হতে এই বেদ বাণী প্রকাশিত হয়েছিল যার না আদি আছে,না অন্ত,যা নিত্যনাশরহিত এবং দিব্য।যা থেকে জগতের সমস্ত প্রবৃত্তির প্রকাশ পেয়েছে।
এছাড়াও বেদ পড়েই যে কেবল মোক্ষ লাভ সম্ভব সেই বিষয়েও সবাইকে অবগত করা হয়েছে সবাইকে।♥
.
♦দ্বে ব্রহ্মণী বেদিতব্যে শব্দব্রহ্ম পরং চ যৎ।
শব্দব্রহ্মণি নিষ্পাতঃ পরং ব্রহ্মাধিগচ্ছতি।।
(মহাঃ শান্তি পর্ব ২৩২।৩০)
.
অর্থাৎ বেদ ও বেদ প্রতিপাদ্য পরব্রহ্ম উভয়ই পরিজ্ঞাত হওয়া আবশ্যক। যে ব্যক্তি বেদশাস্ত্র বিশেষরূপে অবগত হইতে পারেন , তিনিই অনায়াসে পরম ব্রহ্ম লাভে সমর্থ হন ।♥
💙ও৩ম্ শান্তিঃ ওতম্ শান্তিঃ💙
💥কলিযুগে অপৌরুষেয় পবিত্র বেদ মাহাত্ম্য -🌻
🚩অস্তি সন্তং ন জহাত্যন্তি সন্তং ন পশ্যতি । দেবস্য পশ্য কাব্যং ন মমার ন জীর্যতি
।
(অথর্ববেদ ১০/৮/৩২)
⚜️বঙ্গানুবাদঃ- মনুষ্য সমীপবর্তী পরমাত্মাকে দেখেও না, তাঁহাকে ছাড়িতেও পারে না। পরমাত্মার কাব্য বেদকে দেখ; তাহা মরেও না, জীর্ণও হয় না।
🔸আমাদের সর্বমান্য স্বয়ং গীতায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বেদের গায়ন করে গেছেন। এমনকি একমাত্র বেদ যে ঐশ্বরিক তাও এই মহামানব প্রমাণ করে গেছেন।
🚩ঊর্দ্ধমূলমধঃ শাখমশ্বত্থং প্রাহুরব্যয়ম্। ছন্দাংসি যস্য পর্ণানি যস্ত বেদ স বেদবিৎ।।
(শ্রীমদ্ভগবদগীতা১৫-১)💥
⚜️অর্থাৎ - যোগেশ্বর কৃষ্ণ বলিলেন! এই সংসার একটি বড় অশ্বথ গাছের মত।এই গাছের মূল উপরের দিকে এবং ডালগুলি নিচের দিকে। পবিত্র বেদমন্ত্র সকল ঐ বৃক্ষের পাতা।সংসাররূপ বটগাছকে যে ব্যক্তি জানেন,ও চিনেন,সেই ব্যক্তি বেদজ্ঞ।বেদজ্ঞ ব্যক্তি মাত্রই সংসার জীবনে ধন্য মানব মানবী।।
💥কেহ বা বেদপাঠ ও বেদার্থ জ্ঞানরূপ যজ্ঞকারী । ইহারা সকলেই যত্নশীল ও তীক্ষ্ণব্রতকারী ॥
-(গীতাঃ ৪/২৮) (সরস্বতী গোস্বামী ভাষ্য)🔥
🔸 ব্রহ্ম (বেদ) হইতে কৰ্ম্ম উদ্ভূত এবং ঐ বেদ অক্ষর অর্থাৎ অচ্যুত হইতে উৎপন্ন, সুতরাং সর্ব্বব্যাপক ভগবান্ অচ্যুত যজ্ঞে
নিত্যকালই প্রতিষ্ঠিত ॥
-(গীতাঃ ৩/১৫) (সরস্বতী গোস্বামী ভাষ্য)💥
🚩 হে অর্জুন! যে ব্যক্তি এই জীবনে বেদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত যজ্ঞ অনুষ্ঠানের পন্থা অনুসরণ করেনা, সেই ইন্দ্রিয়সুখ-পরায়ণ পাপী ব্যক্তি বৃথা জীবন ধারণ করে।
(গীতা ৩-১৬)
🔸 উৎপদ্যন্তে চ্যবন্তে চ যান্যতোঽন্যানি কানিচিৎ। তান্যবাক্কালিকতয়া নিষ্ফলান্যনৃতানি চ।। -(মনুসংহিতা ১২- ৯৬)
🚩অনুবাদ : এই বেদ ছাড়া আর যত কিছু শাস্ত্ৰ আছে [অর্থাৎ যেগুলি পুরুষ-কল্পিত| সেগুলি কালক্রমে উৎপন্ন হয় এবং বিনাশও প্রাপ্ত হয়। সেগুলি সব অর্বাচীনকালীন; এজন্য সেগুলি সব নিষ্ফল ও মিথ্যা।
🔸তপঃ পরং কৃতযুগে ত্রেতায়াং জ্ঞানমুচ্যতে। দ্বাপরে যজ্ঞমেবাহুর্দানমেকং কলৌ যুগে।। -(মনুসংহিতা ১-৮৬)
🚩অনুবাদ : (যদিও তপঃ প্রভৃতির সবই সব যুগেই অনুষ্ঠিত হয়, তবুও—) সত্যযুগে তপস্যাই মানুষের শ্রেষ্ঠ ধর্ম, ত্রেতাযুগে জ্ঞানই (আত্মজ্ঞানই) শ্রেষ্ঠ, দ্বাপরে যজ্ঞ এবং কলিতে একমাত্র দানই শ্রেষ্ঠ—।
♦কলিযুগে দান শ্রেষ্ঠ মনু মহারাজের উল্লেখ। এখন কথা হল শ্রেষ্ঠ দান তো অনেক প্রকারের হয়। তার সমাধান ও দিয়েছেন ঠিক পরের চতুর্থ অধ্যায়ে-
🔸সর্বেষামের দানানাং ব্রহ্মদানং বিশিষ্যতে। বার্যন্নগোমহীবাসস্তিলকাঞ্চনসর্পিষাম্।।(মনুসংহিতা ২৩৩)
🚩অনুবাদ : জল, অন্ন, গোরু, ভূমি, বস্ত্র, তিল, সোনা এবং ঘি—এই
সব দানের তুলনায় ব্রহ্মদান অর্থাৎ বেদের অধ্যাপনা ও তার
ব্যাখ্যা সর্বোৎকৃষ্ট ফলপ্রদ এবং সর্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ।।💙
⚜️তাহলে উক্ত শ্লোক দ্বারা স্পষ্ট প্রমাণিত হয় কলিযুগে পবিত্র বেদ সব যুগের থেকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
💠বর্তমান একশ্রেণীর লোকমুখে বহুল প্রচলিত কলি যুগে বেদ অচল এবং কলি জীবের বেদ-বেদাঙ্গ-উপনিষদ চর্চা করে ঈশ্বর প্রাপ্তির সাধ্য নেই। এরকম শাস্ত্রবিরুদ্ধ কুযুক্তিমূলক কথা বলে একমাত্র ভক্তি মুক্তি দিবে। আসলে ভক্তি কিসে করা উচিত তার উত্তর আর কোনো সাধুভক্ত খুঁজতে চায় না। যদি বলি সেই মুক্তি কি কি জিনিস আর সেই তাৎপর্যে যাওয়া যাবে না?
🔳ভক্তি জ্ঞানে করতে হয় অজ্ঞানে নয় আর আর সেই ভক্তি একমাত্র ঐশ্বরিক পবিত্র বেদজ্ঞানে হওয়া উচিত। আর এটাই আসল ভক্তিযোগ।
🔸তে স্যাম দেব বরুণ তে মিত্র সুরিভিঃ সহ । ইষ স্বশ্চ ধীমহি।।
-(ঋগ্বেদ-৭/৬৬/৯)
🚩বঙ্গানুবাদঃ- হে বরণযোগ্য পরমাত্মন! আমরা তোমারই হইব। হে মিত্র! আমরা বন্ধু বান্ধবদের সঙ্গে তোমার কৃপায় আমরা জ্ঞান ও মোক্ষানন্দ ধারণ করিব। অতএব, জ্ঞানরূপ ভক্তি সর্বশ্রেষ্ঠ সকল কর্ম জ্ঞানে পরিসমাপ্তি ঘটে।
🔳তাইতো ভগবান শ্রীকৃষ্ণ গীতায় বলেছেন
-💥বেদমুখে এরূপ বহুবিধ যজ্ঞ বিহিত হয়েছে। সে সকলই কর্ম জাত বলে জানবে, এরূপ যেনে মুক্তি লাভ করবে। দ্রব্য যজ্ঞ অপেক্ষা জ্ঞানরূপ যজ্ঞ প্রশস্ততর। সকল কর্ম নির্বিশেষে জ্ঞানে গিয়েই শেষ হয়।
(গীতা ৪-৩২,৩৩)
💥"সকল পাপী অপেক্ষাও যদি তুমি অধিক পাপী হও, তা হলেও জ্ঞনরূপ ভেলার দ্বারা তুমি পাপ সমূদ্র অতিক্রম করতে পারবে। এই জগতে জ্ঞানের সদৃশ পবিত্র আর কিছু নেই। নিজের চেষ্টাকৃত যোগ বলে দীর্ঘকাল পর নিজের আত্মাতেই সেইজন লাভ করে থাকেন। (গীতা ৪/৩৬,৩৮.)
🔸অজ্ঞেভ্যো গ্ৰন্থিনঃ শ্রেষ্ঠা গ্রন্থিভ্যো ধারিণো বরাঃ। ধারিভ্যো জ্ঞানিনঃ শ্ৰেষ্ঠা জ্ঞানিভ্যো ব্যবসায়িনঃ
(মনুসংহিতা ১২-১০৩)।
🚩অনুবাদ : অজ্ঞ ব্যক্তিগণ অপেক্ষা ‘গ্রন্থী' অর্থাৎ কেবল গ্রন্থমাত্রজ্ঞ গ্রন্থমাত্র অধ্যায়ণকারী শ্রেষ্ঠ; আবার যাঁরা ‘ধারী' অর্থাৎ যত্নপূর্বক গ্রন্থ আয়ত্তে রাখেন (অর্থাৎ যাঁরা অধীত বিষয় স্মরণ করে রাখেন) তাঁরা ঐ গ্রন্থিগণ অপেক্ষা উৎকৃষ্ঠ। আবার যাঁর জ্ঞানী অর্থাৎ গ্রন্থের অর্থবিদ তাঁরা ঐ ধারিগণ অপেক্ষাও প্রশস্ত। আবার যারা ব্যবসায়ী অর্থাৎ গ্রন্থনির্দেশ অনুসারে কর্ম করেন, তাঁরা ঐ জ্ঞানিগণ অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ।
🔸ইদং শরণমজ্ঞানামিদমের বিজানতাম্।
ইদমন্বিচ্ছতাং স্বর্গমিদমানন্ত্যমিচ্ছতাম্।। (মনুসংহিতা ৬- ৮৪🔥)
🚩অনুবাদ : এই বেদরূপ পরমব্রহ্ম অজ্ঞব্যক্তিগণেরও পরম গতি অর্থাৎ যারা বেদার্থবিৎ নয় তারা জপকর্মাদিতে অর্থাৎ বেদপাঠে অধিকার নিয়ে বেদকে আশ্রয় করে। অথবা যারা শাস্ত্র থেকে আত্মতত্ত্ব অবগত না হয়েও সেই আত্মোপাসনায় নিরত, তারা চিত্তে স্থিরতালাভ করতে পারে নি, বেদই তাদের শরণ অর্থাৎ আশ্রয়। বেদজপ (পাঠ), বেদোক্ত কর্মের অনুষ্ঠান, এবং সেই অনুষ্ঠানের জন্য উপযোগী বেদার্থজ্ঞান হলেই আর নরকভোগ করতে হয় না এবং কীট-পতঙ্গাদিযোনিতে জন্মগ্রহণ করতে হয় না। । বিজ্ঞব্যক্তিগণেও এই বেদব্রহ্মই অবলম্বন করে আর যারা স্বর্গলাভ অর্থাৎ আত্মার উন্নতি ইচ্ছা করে তাদেরও এই বেদই আশ্রয়, এবং যারা অনন্তফলস্বরূপ মোক্ষ কামনা করে, তাদেরও এই বেদই অবলম্বন।
-পরিশেষে বলবো -
💥 তৈত্তিরীয় ব্রাহ্মণে (৩।১০।১১।৩)
🔸"অনন্তা বৈ বেদা"
অর্থাৎ, বেদ জ্ঞান হলো অনন্ত ।
🔸সর্বজ্ঞানময়ো হি সঃ'
অর্থাৎ, বেদ সর্বজ্ঞানময়।
(মনুসংহিতা-২-৭) ০
🚩সমস্ত ধর্মশাস্ত্রের বর্ননা শেষ হয়ে যাবে কিন্তু পবিত্র বেদ মাহাত্ম্যের বর্ননা সত্যযুগ হোক, দ্বাপর যুগ হোক,ত্রেতা যুগ হোক, বা ঘোর কলিযুগ হোক কোনো কালেই শেষ হবেনা এই অনন্ত জ্ঞানরাশির অমৃত যাত্রা ।
💠মহর্ষি মনুর শ্রেষ্ঠ বচন দিয়ে শেষ করব
🔸যথা জাতবলো বহুিদহত্যার্ডানপি দ্রুমান্ তথা দহতি বেদজ্ঞঃ কর্মজং দোষমাত্মনঃ।। (মনুসংহিতা-১২-১০১)।
🚩অনুবাদ : অগ্নি যেমন প্রবল হ'লে ভেজা কাঠ, কাঁচা গাছ সবই পুড়িয়ে ফেলে সেইরকম বেদজ্ঞ ব্যক্তি নিজের কর্মজনিত দোষসমূহ দগ্ধ ক'রে থাকেন। ।।
🔸বেদশাস্ত্ৰাৰ্থতত্ত্বজ্ঞো যত্র তত্রাশ্রমে বসন্। ইহৈব লোকে তিষ্ঠ স ব্রহ্মভূয়ায় কল্পতে।। (মনুসংহিতা ১২-১০২)।
🚩অনুবাদ : বেদশাস্ত্রের অর্থ যিনি তত্ত্বতঃ অবগত হয়েছেন, সেই রকম বেদার্থজ্ঞ ব্যক্তি যে কোনও আশ্রমেই বাস করুণ না কেন [ তিনি সন্ন্যাস গ্রহণ করেই হোক্ বা না করেই হোক ] তিনি ইহলোকে থেকেই ব্রহ্মস্বরূপ হ'য়ে যান অর্থাৎ ব্ৰহ্মত্ব লাভ করেন।
💙ও৩ম্ শান্তিঃ ওতম্ শান্তিঃ💙
সমাপ্তম