যম-নিয়মাসন-প্রাণায়াম-প্রত্যাহার-ধারণা-ধ্যানসমাধয়োঽষ্টাবঙ্গানি।।
(পাতঞ্জলযোগসূত্র: সাধনপাদ, ২৯)
"যম, নিয়ম, আসন, প্রাণায়াম, প্রত্যাহার, ধারণা, ধ্যান ও সমাধি-এই আটটি যোগের অঙ্গসরূপ।"
✅প্রথমঃ-যম
অহিংসা সত্যাস্তেয়-ব্রহ্মচর্যাপরিগ্রহা যমাঃ।
(পাতঞ্জলযোগসূত্র: সাধনপাদ, ৩০)
"অহিংসা, সত্য, অস্তেয়, ব্রহ্মচর্য ও অপরিগ্রহ-এইগুলিকে যম বলে।"
✅দ্বিতিয়ঃ-নিয়ম
শৌচ-সন্তোষ-তপঃ-স্বাধ্যায়েশ্বরপ্রণিধানানি নিয়মাঃ।
(পাতঞ্জলযোগসূত্র: সাধনপাদ, ৩২)
"শৌচ, সন্তোষ, তপ, স্বাধ্যায় ও ঈশ্বর-প্রণিধান-এইগুলি নিয়ম।"
✅তৃতীয়ঃ-আসন
স্থিরসুখমাসনম্।
(পাতঞ্জলযোগসূত্র:সাধনপাদ, ৪৬)
"যে অবস্থায় অনেকক্ষণ স্থিরভাবে ও সুখে বসা যায়, তাহার নাম আসন।"
✅চতুর্থঃ-প্রণায়ম
তস্মিন্ সতি শ্বাসপ্রশ্বাসয়োর্গতিবিচ্ছেদঃ প্রাণায়ামঃ।
(পাতঞ্জলযোগসূত্র: সাধনপাদ, ৪৯)
"আসন জয়ের পর শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি সংযম করাকে প্রাণয়াম বলে।"
✅পঞ্চমঃ-প্রত্যাহার
স্বস্ববিষয়াসম্প্রয়োগে চিত্ত-স্বরূপানুকার ইবেন্দ্রিয়াণাং প্রত্যাহারঃ।
(পাতঞ্জলযোগসূত্র: সাধনপাদ, ৫৪)
"ইন্দ্রিয়গুলি যখন নিজ নিজ বিষয় ত্যাগ করিয়া চিত্তের স্বরূপ গ্রহণ করে তখন তাহাকে প্রত্যাহার বলে।"
✅ষষ্ঠঃ-ধারণা
দেশবন্ধশ্চিত্তস্য ধারণা।
(পাতঞ্জলযোগসূত্র: বিভূতিপাদ, ১)
"চিত্তকে কোন বিশেষ বস্তুতে সংলগ্ন রাখাকে 'ধারণা' বলে।"
✅সপ্তমঃ-ধ্যান
তত্র প্রত্যয়ৈকতানতা ধ্যানম্।
(পাতঞ্জলযোগসূত্র: বিভূতিপাদ, ২)
"সেই বস্তুবিষয়ক জ্ঞান সর্বদা একইভাবে প্রবাহিত হইলে তাহাকে 'ধ্যান' বলে।"
✅অষ্টমঃ-সমাধি-
তদেবার্থমাত্রনির্ভাসং স্বরূপশূন্যমিব সমাধিঃ।
(পাতঞ্জলযোগসূত্র: বিভূতিপাদ, ৩)
"ধ্যানের দ্বারা বাহ্য উপাধি পরিত্যাগপূর্বক কেবলমাত্র অর্থ প্রকাশিত হইলে তাহাকে "সমাধি' বলে।"
ও৩ম্ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ