🙏 নমস্কার 🙏
✍️ সনাতন ধর্মের প্রত্যেক মানুষ সে পরমেশ্বর এর উপাসনা করবে এবং তারই গুনগান করা উচিত। কিন্তু বহু মতে দ্বিধাবিভক্ত সমাজ নিজ নিজ মতের প্রাধান্য দিয়ে থাকে৷ ফলস্বরূপ, বেদবিহিত কর্মকে অগ্রাহ্য করে বেদ বিরুদ্ধ মতবাদকে সমর্থন করে পদস্খলন হচ্ছে অজ্ঞান রুপ অন্ধকারে। পবিত্র বেদ এ উল্লেখিত বহু মন্ত্র রয়েছে তবে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মন্ত্র হিসেবে স্বীকৃত পবিত্র গায়ত্রী মন্ত্র।
পবিত্র বেদ ব্যতীতও শ্রীমদভগবদগীতা, উপনিষদ ও মহাভারতেও এর শ্রেষ্ঠত্বের বর্ণনা পাওয়া যায়।
🌿নিম্নে পবিত্র গায়ত্রী মন্ত্র পাঠের গুরুত্ব বিশ্লেষণ করা হলো:
🌺গায়ত্রী মন্ত্রের দ্রষ্টা ঋষি বিশ্বামিত্র এবং দেবতা সবিতা। ঋষি বিশ্বামিত্র সর্বপ্রথম এই মন্ত্রের মর্ম্ম উপলব্ধি করে প্রচার করেছিলেন। মন্ত্রের দেবতা বা বিষয় সবিতা অর্থাৎ জগৎ-স্রষ্টা ব্রহ্ম। বেদারম্ভ সংস্কারে আচার্য এই মন্ত্রে ব্রম্মচারীকে দীক্ষা দান করেন। এই মন্ত্রের ছন্দের নাম গায়ত্রী। গানকারীকে ত্রাণ করে বলে এই মন্ত্রের নাম গায়ত্রী।
"ওঁ ভূর্ভুবঃ স্বঃ
তৎসবিতুর্বরেণ্যং ভর্গো
দেবস্য ধীমহি।
ধিয়ো য়ো নঃ প্রচোদয়াৎ"।।
- (ঋগ্বেদ ৩/৬২/১০; যজুর্ব্বেদ ৩/৩৫, ৩০/২; সামবেদ উত্তরার্চ্চিক ৬/৩/১০)
অর্থাৎ, পরমাত্মা প্রাণস্বরুপ, দুঃখনাশক ও সুখ স্বরুপ। তিনি আমাদের বুদ্ধিকে শুভ গুণ, কর্ম ও স্বভাবের দিকে চালনা করেন। সেই জগদুৎপাদক ও ঐশ্বর্যপ্রদাতা পরমাত্মার বরণযোগ্য পাপ-বিনাশক তেজকে আমরা ধারণ করি।
অর্থাৎ, পরমাত্মাই জগতের স্রষ্টা এবং জীবনের কর্মফলদাতা; তিনি জীবনের একমাত্র উপাস্যদেব; তাঁহার স্বরুপ চিন্তাই উপাসনা; তাঁহার উপাসনা করলে বুদ্ধিবৃত্তি শুভ গুণ, কর্ম ও স্বভাবের দিকে চালিত হয় এবং ইহাতে জীবের অভীষ্ট সিদ্ধ হয়।
📑পাঠের নিয়ম: গায়ত্রী মন্ত্রে দশটি শব্দ আছে।
যেমন- তৎ, সবিতুঃ, বরেণ্যম্, ভর্গঃ, দেবস্য, ধীমহি, ধিয়ঃ, যঃ, নঃ, প্রচোদয়াৎ। গায়ত্রী মন্ত্রের পূর্ব্বে প্রণব মন্ত্র "ওঁ" এবং "ভূর্ভুবঃ স্বঃ"(ভূঃ, ভুয়ঃ, স্বঃ) যোগ করে উচ্চারণ করতে হয়।
✔️ব্যাখ্যা: "ওঁ" এই ওঙ্কার শব্দ পরমেশ্বরের সর্বোত্তর নাম। এতে অ, উ এবং ম্ এই তিন অক্ষর মিলে এক "ওঁ" সমুদায় হয়েছে। এই একটি নাম হতে পরমেশ্বরের অনেক নাম সূচিত হয়। "অ"কার হতে বিরাট, অগ্নি এবং বিশ্ব প্রভৃতি; "উ"কার হতে হিরণ্যগর্ভ, বায়ু, তৈজস্ব প্রভৃতি; "ম" কার হতে ঈশ্বর, আদিত্য এবং প্রাজ্ঞ প্রভৃতি নাম সূচিত হয়।
"ভূঃ" অর্থ প্রাণস্বরুপ।(যিনি সর্ব প্রাণীকে প্রাণ দান করেন, যিনি প্রাণ স্বরুপ, তিনিই ভূঃ।)
"ভুবঃ" অর্থ দুঃখনাশক।(যিনি দুঃখ বিনাশ করেন)
"স্বঃ" অর্থ সুখ স্বরুপ। (যিনি সর্বত্র ব্যাপক বা যিনি আনন্দস্বরুপ তিনিই স্বঃ।)
"তৎ" অর্থ সেই।
"সবিতুঃ" অর্থ সমগ্র জগতের উৎপাদক।
"বরেণ্যম্" অর্থ বরণ যোগ্য সর্বোত্তম।
"ভর্গোঃ" অর্থ পাপ নাশক তেজকে।
"দেবস্য" অর্থ সমগ্র ঐশ্বর্য দাতা। (পরমত্মা দাতা, জ্ঞানের উদ্দীপক এই অর্থে তিনি দেব।)
"ধীমহি" অর্থ ধারণ করি বা ধ্যান করি।
"ধিয়ঃ" অর্থ প্রজ্ঞা সমূহকে বা নির্ম্মল বুদ্ধির।
"যঃ" অর্থ যিনি
"নঃ" অর্থ আমাদের
"প্রচোদয়াৎ" অর্থ প্রেরণা দান করেন।
🍁গায়ত্রী মন্ত্র পাঠের গুরুত্ব:
মন্ত্র সমূহের মধ্যে গায়ত্রী মন্ত্র সবচেয়ে উত্তম এবং তাৎপর্যপূর্ণ। শাস্ত্র সমূহ তার সাক্ষ্য বহন করে।
📖মনুসংহিতা:
"ওঙ্কারপূর্বিকাস্তিস্রো মহাব্যাহৃতয়েহিব্যায়াঃ
ত্রিপদা চৈব সাবিত্রী বিজ্ঞেয়ং ব্রহ্মণো মুখম"।।
- মনুসংহিতা ২/৮১
অর্থাৎ, পূর্বে ওঙ্কার এবং অবিনাশী মহাব্যাহৃতি(ভূঃ,ভুবঃ,স্বঃ) উচ্চারণপূর্বক ত্রিপদী
গায়ত্রী হল পরব্রহ্ম প্রাপ্তির একমাত্র উপায় বলে জানবে।
"সাবিত্র্যাস্ত পরং নাস্তি" - মনুসংহিতা ২/৮৩
অর্থাৎ, গায়ত্রীর চেয়ে উৎকৃষ্ট মহামন্ত্র আর কিছুই নেই।
📖উপনিষদ:
"গায়ত্রী বা ইদং সর্বং ভুতং যদিদং কিঞ্চ বাগ্বৈ গায়ত্রী।
বাগবা ইদং সর্ব ভুতং গায়তি চ ত্রায়তে চ"।।
-ছান্দোগ্য উপনিষদ ৩/১২/১
অর্থাৎ, এই বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের মধ্যে যাহাই কিছু দেখা যায়, তাহার মধ্যে বাণীরাজ রাজেশ্বরী গায়ত্রীগুরু বাণীই সর্বশ্রেষ্ঠ। সমস্ত সংসারের সকলেরই একই মান্যতা।
📖শ্রীমদ্ভগবদগীতা:
"অক্ষরানাম্ অকারঃ অস্মি দন্ধঃ সামসিকস্য চ।
অহম্ এব অক্ষয় কালঃ ধাতা অহম্ বিশ্বতোমূখ" ।।
অর্থাৎ, সমস্ত অক্ষরদের মধ্যে আমি অকার , সমাস সমুহের মধ্যে দন্দ্ব, সংহার কারিদের মধ্যে মহাকাল রুদ্র এবং স্রষ্টার মধ্যে আমি ব্রহ্মা।
-শ্রীমদ্ভগবদগীতা ১০/৩২
"বৃহত্ সাম তথা সম্মাম গায়ত্রী ছন্দসাম্ অহম্ ।
মাসানাম্ মার্গশীর্ষঃ অহম্ ঋতুনাম কুসুমকার" ।।
অর্থাৎ, আমি সাম বেদের মধ্যে বৃহত্ সাম, (সমস্ত ছন্দের মধ্যে গায়ত্রী), মাস সমুহের মধ্যে অগ্রহায়ন এবং ঋতুদের মধ্যে পুস্প সমরোহময় বসন্ত।
- শ্রীমদ্ভগবদগীতা ১০/৩৫
"ওঁ ইতি একাক্ষরম ব্রহ্ম ব্যাহারন মাম্ অনুস্মরন ।
যঃ প্রযাতি ত্যজন দেহম্ সংযাতি পরামাম্ গতিম্" ।।
অর্থাৎ, যোগ অভ্যাসে প্রবৃত্ত হয়ে পবিত্র ওঙ্কার উচ্চারন করতে করতে কেউ যদি পরম ব্রহ্মের স্মরন করে দেহ ত্যাগ করেন,তিনি অবশ্যই পরমগতি লাভ করে। -শ্রীমদ্ভগবদগীতা ৮/১৩
উক্ত শ্লোক সমূহ থেকে আমরা উপলব্ধি করতে পারি মহামন্ত্র হিসেবে একমাত্র গায়ত্রী মন্ত্রই সর্বশ্রেষ্ঠ। বহু সংশয়মনা মানুষ রয়েছে যাদের সংশয় নিবারণ সহজে সম্ভব হয় না। শ্রীমদভগবদগীতায় যোগেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তাদের উদ্দেশ্য বলেছেন যে গুণীজন যা করে, সকলে তা অনুসরণ করে। তাহলে আর্য শ্রেষ্ঠ যোগেশ্বর ভগবান বাসুদেব শ্রীকৃষ্ণ কি গায়ত্রী মন্ত্র জপ করতেন?
📖মহাভারত:
"তত উণ্থায় দাশার্হঃ স্নাতঃ প্রাঞ্জলিরচ্যুতঃ।
জপ্ত্বা গুহ্যং মহাবাহুরগ্নীনাশ্রিত্য তস্থিবান্।।"
->মহাভারত- শান্তিপর্ব- অধ্যায়ঃ১৫২ শ্লোক ৭
অর্থাৎ, অনন্তর মহাবাহু কৃষ্ণ শয্যা হইতে উঠিয়া, স্নান করিয়া, হস্তযুগল সংযোজন - পূর্ব্ব বেদমাতা গায়ত্রী মহামন্ত্র জপ ( প্রাতঃসন্ধ্যা) করিয়া,হোমাগ্নির নিকটে যাইয়া, প্রাতঃকালীয় হোম করিবার জন্য অবস্থান করিলেন।।
"স ধ্যানপথমাবিশ্য সর্ব্বজ্ঞানানি মাধবঃ।
অবলোক্য ততঃ পশ্চাদ্দধৌ ব্রহ্ম সনাতনম্।।"
->মহাভারত-শান্তিপর্ব-অধ্যায়ঃ৫২ শ্লোক ২
অর্থাৎ, তদনন্তর যাহাতে সমস্ত জ্ঞান উৎপন্ন হয়, সেইভাবে ধ্যান অবলম্বন করিয়া, তিনি নাসিকার অগ্রদেশ দেখিতে থাকিয়া, সনাতন ব্রহ্মের চিন্তা করিলেন।
‼️এর থেকে উপলব্ধি হয় যে তিনি নিয়মিত গায়ত্রী মন্ত্র জপ করতেন এবং ধ্যান এর মাধ্যমে ব্রহ্ম চিন্তায় মগ্ন থাকতেন।
📖ভাগবত পুরাণ:
"ততশ্চ লব্ধসংস্কারৌ দ্বিজত্বং প্রাপ্ত সুব্রতৌ। গর্গাদ যদুকুলাচার্যাদ্ গায়ত্রং ব্রতমাস্থিতৌ।।"
-ভাগবত ১০/৪৫/২৯📖🌿
.
অর্থাৎ, এইপ্রকার শ্রীকৃষ্ণ এবং বলরাম যদুকুলাচার্য গর্গের নিকট উপনয়ন সংস্কার প্রাপ্ত হয়ে দ্বিজত্বে উপনিত হলেন এবং গায়ত্রী ধারণ ধারণপূর্বক ব্রহ্মচর্য ব্রতে স্থিত হলেন।
"অথপুতো নির্মলস্য জলে যথাবিধি ক্রিয়া কলাপং পরিধায় ব্যাসসী। চকার সন্ধ্যাপগমাদি উত্তমো হুতানলো ব্রহ্ম জজাপ বাগযতঃ।।"
-ভাগবত ১০/৭০/৬📖🌿
অর্থাৎ, অতঃপর তিনি বিধি অনুসারে নির্মল ও পবিত্র জলে স্নান করে শুদ্ধ বস্ত্র ও উত্তরীয় ধারণ করে যথাবিদি নিত্যকর্ম সন্ধ্যা বন্দনা করেন। অতঃপর তিনি যজ্ঞ করতে বসেন ও মৌন হয়ে গায়ত্রী জপ করেন।
⁉️সংশয়: বহু দ্বিধা বিভক্ত সনাতনী সমাজ এক মন্ত্রে মিলন হোক। কিন্তু বিভিন্ন মতবাদীগণ এ শ্রেষ্ঠ মন্ত্রের উচ্চারণ থেকে সনাতনী রাখতে চায় নির্লিপ্ত। তাহাদের অভিমত সমূহ:
১: ব্রাহ্মণ ব্যতীত কেউ গায়ত্রী মন্ত্র পাঠ করতে পারে না। ❌
২. নারীর গায়ত্রী মন্ত্র পাঠে নিষেধ।❌
৩. গায়ত্রী মন্ত্র সবার জন্য নয়। ❌
৪.পিরিয়ড এর সময় নারী অশুদ্ধ তাই ও৩ম এবং গায়ত্রী মন্ত্র জপ করতে পারে না। ❌
✔️সংশয় নিবারণ: গায়ত্রী মন্ত্র, বেদ পাঠ সবার জন্য। সকলের অধিকার রয়েছে ঈশ্বরের নাম জপের।
"ও৩ম্ যথেমাং বাচং কল্যানীমাবদানিজনেভ্যঃ। ব্রহ্ম রাজান্যাভ্যাং শূদ্রায়চার্যায় চ স্বায় চারণায়। প্রিয়ো দেবানংদক্ষিণায়ৈ দাতুরিহ ভুয়াসময়ং মে কামংসমৃধ্যতামুপ মাদো নমতু"।।
-যজুর্বেদ ২৬/২
অর্থাৎ, হে মনুষ্যগণ! আমি যেরূপে ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শূদ্রস্ত্রীলোক এবং অন্যান্য সমস্ত জনগনকে এইকল্যানদায়িনী পবিত্র বেদবানী বলিতেছি, তোমরাও সেই রূপ কর। যেমন বেদবানীর উপদেশ করিয়া আমি বিদ্বানদের প্রিয় হয়েছি, তোমরাও সেরুপ হও। আমার ইচ্ছা বেদ বিদ্যা প্রচার হোক। এর দ্বারা সকলে মোক্ষ এবং সুখ লাভ করুক।
নারী-পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধ, ধনী-দরিদ্র সকলে এক স্থানে বসে, একমন্ত্রে, এক মননে যজ্ঞ করছে। এটাই সত্য সুন্দর সনাতন ধর্ম।
সমানো মন্ত্রঃ সমিতিঃ সমানী সমানং মনঃ সহ চিত্তমেসাম্।
সমানং মন্ত্রমভি মন্ত্রয়ে বঃ হবিসা জুহোমি।।
-ঋগ্বেদ ১০/১৯০/৩
অর্থাৎ, তোমাদের বিচার এক হোক, কার্য প্রবৃত্তি এক হোক, এই প্রকার তোমাদের মন্ত্র এক হোক, চিত্তও এক হোক, তোমাদের এক মন্ত্রে সম্পাদিত করেছি, তোমরা এক প্রার্থনাপোসনা কর্ম দ্বারা আপন হও।
নারী সর্বদা শুদ্ধ ও পবিত্র:
"শুদ্ধ, পবিত্র ও পূজনীয় রমণীগণ ও তাঁদের পবিত্র কর্ম জলের ধারার মতো পবিত্র পাত্রে প্রবেশ করুক ও যজ্ঞের জন্য পবিত্র ভোগ্যবস্তু তৈরি হোক।তাহারা আমাদের উত্তম বংশধর ও প্রভূত ধনসম্পদ দান করুন। যারা অমৃতসত্তার জন্য উৎকৃষ্ট খাদ্য তৈরি করে, তারা যেন জীবনের সর্বোচ্চ অর্জনের শিখরে পৌঁছান।" -অথর্ববেদ ১১/১/১৭📖🌿
"নারীজাতি সোম থেকে শুদ্ধতাপ্রাপ্ত, গন্ধর্বদের থেকে সুমিষ্ট বাক্য প্রাপ্ত, অগ্নির কাছ থেকে শুদ্ধতাপ্রাপ্ত তাই নারীরা সর্বদা শুদ্ধ।"
-যাজ্ঞবল্ক্য স্মৃতি ৭১📖🌿
"নারীদের একটা অন্য ধরনের পবিত্রতা আছে। তারা কখনোই পুরোপুরি অপবিত্র হন না। মাসে মাসে কিছুদিনের অস্থায়ী অশৌচাবস্থা তাদের মনের পাপ ধুয়েমুছে দেয়।"
-বশিষ্ট ধর্মসূত্র ২৮/৪📖🌿
✍️তাহলে প্রতিপন্ন হয় যে সকলের জন্য পরমাত্মার শ্রেষ্ঠ নাম ও গান প্রযোজ্য। ওঁ এবং গায়ত্রী মন্ত্র সনাতন ধর্মের প্রাণস্বরুপ। আমাদের উচিত উপরিউক্ত বর্ণিত প্রমাণের আলোকে প্রতিদিন গায়ত্রী মন্ত্র জপ করা। একমন্ত্র গায়ত্রী মন্ত্র আমাদের এক সূত্রে গেঁথেছে। যোগেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ যেমন করেছেন তেমনি আমাদের ধ্যানপূ্র্বক ঈশ্বরের উপাসনা করা উচিত।
প্রচারেঃ VEDA
🌿📖--------ওঁ শান্তি শান্তি শান্তি --------📖🌿