যদি সবকিছু বেদে থাকে তবে বিজ্ঞান অধ্যয়ন, চর্চা ও আবিস্কার এর কি প্রয়োজন ⁉️
যদি সবকিছু বেদে থাকে তবে বিজ্ঞান অধ্যয়ন, চর্চা ও আবিস্কার এর কি প্রয়োজন ⁉️
🔅 বেদ মনুষ্যের জন্য আলোক জৌতি স্বরুপ। বেদের অমৃত জ্ঞান যেরুপ নিখুঁত তেমনি বিস্ময়কর। বেদের জ্ঞান মনুষ্যকে শুধু মোক্ষ অর্জনের পথে পরিচালিত করে এমন নয়, বরং আধ্যাত্মিক, আধিভৌতিক, আধিদৈবিক বিবিধ জ্ঞান প্রদান করে এবং জ্ঞান অর্জনে উৎসাহিত করে। সেজন্য বেদের জ্ঞানকে আশ্চর্য হিসেবে গণনা করা দোষের কিছু নয় বরং যথাযথ।
🔅বর্তমানে সময়ে এসেও বেদ জ্ঞানের ধারক হিসেবে প্রসিদ্ধ সনাতনীগণই বেদবিমুখ অবস্থানে। ফলস্বরূপ, বেদের অত্যাশ্চর্য জ্ঞান থেকে অমৃতের সন্তানগণ রয়েছে আলোকবর্ষ দূরে। কিন্তু সেই অবস্থান থেকে ধীরে ধীরে পরিবর্তন আসছে, সনাতনী ভ্রাতা-ভগিনীগণ বেদের অমৃত জ্ঞান আস্বাদনে এগিয়ে আসছে।
🔅তারই ধারাবাহিকতায় বেদের মধ্যে বিজ্ঞানের তত্ত্বীয় জ্ঞান ধীরে ধীরে প্রকাশিত হতে শুরু করেছে, ছড়িয়ে পড়ছে সকলের মাঝে, পুনঃ উত্থান ঘটছে আর্যত্বের। কিন্তু কিছু সংশয়ী সেই অগ্রগতিতে প্রকাশ করছে সংশয়। সেই সংশয় নিবারণ করা একজন সনাতনী ধর্ম প্রচারকারী সেবায়েত হিসেবে মোদের কর্তব্য।
🔅অজ্ঞেয়বাদীদের মতে, যদি সবকিছু বেদে থাকে তবে বিজ্ঞান অধ্যয়ন, চর্চা ও আবিস্কার এর কি প্রয়োজন? বেদ পড়লেই হলো।
🔅এরুপ ধারণা নিশ্চিত রুপে দুঃখজনক ও হতাশাজনক। কারণ জ্ঞান সনাতন ধর্মের সর্বোত্তম স্থানে অধিষ্ঠাত্রী। সেজন্য, মহর্ষি কপিল সাংখ্য দর্শনে বলেছেন,
"জ্ঞানান্মুক্তিঃ"- সাংখ্য দর্শন ।। ৩.২৩।।
অর্থাৎ, জ্ঞানেই মুক্তি।
🔅ইহা প্রকাশ্য দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট যে বেদ সমগ্র জ্ঞান এর আধার স্বরুপ। বেদ শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থই জ্ঞান।
🔅সেজন্য বেদ বিজ্ঞানসূচক কোনো গ্রন্থ না হওয়া সত্ত্বেও সমগ্র বেদ বিজ্ঞানময়। আমাদের আধুনিক প্রগতিশীলদের মতো ধর্মগ্রন্থ মানেই সেখানে শুধু নীতিবাক্য থাকবে, কিন্তু এরুপ ধারণা সনাতন ধর্মশাস্ত্রে ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। বেদে বহুবিধ জ্ঞান থাকার কারণে তা জ্ঞান অর্জন ও তার ব্যবহার করে শ্রেষ্ঠ অর্জনে অনুপ্রাণিত করে। বেদে চিকিৎসা বিষয়ক ধারণা রয়েছে বলে আমরা চিকিৎসা বিষয়ক জগৎ বিখ্যাত চিকিৎসা শাস্ত্র আয়ুর্বেদ এর সন্ধান পাই এবং সেই চিকিৎসা শাস্ত্রের দিশারি হিসেবে মহর্ষি সুশ্রুত ও চরক এর উল্লেখ পাই ইতিহাসে। বেদে সঙ্গীতের অনুপ্রেরণা রয়েছে বলেই তাহার উপবেদ হিসেবে গন্ধর্ববেদের সন্ধান পাই, বেদে স্থাপত্যের ধারণা পাই বলেই আমরা উপবেদ হিসেবে স্থাপত্যবেদ এর সন্ধান পাই।
🔅বেদ আমাদের নিকট সমগ্র জ্ঞান এর অনুপ্রেরণা স্বরুপ। যা আমাদের সর্বদা জ্ঞান অর্জনের দিকে চালিত করে। সেজন্য বেদ আমাদের নিকট বিজ্ঞানগ্রন্থ না হয়েও বিজ্ঞানময়, দর্শনগ্রন্থ না হয়েও চিন্তার জগৎকে করে বর্ধিত। বেদ সর্বশ্রেষ্ঠ তার আপন মহিমায় মহিমান্বিত। সেই মহিমা উপলব্ধি করে কার্ল সেগানসহ বিবিধ পাশ্চাত্য দার্শনিক, বিজ্ঞানীরা হয়েছেন বারংবার আশ্চর্যান্বিত। তবে আপনি সেই জ্ঞানের ধারক হয়ে কেন সংশয়ী ⁉️
✍️ VEDA
#veda
মন্তব্যসমূহ