"শ্রীকৃষ্ণ ও কুটনীতি"
"শ্রীকৃষ্ণ ও কুটনীতি"
আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি শ্রুত শব্দ কুটনীতি। কুটনীতি বা Diplomacy হলো সে শিল্প যা ব্যতীত জিওপলিটিক্স অসম্পূর্ণ। একজন কুটনৈতিক তাহার বুদ্ধি, প্রজ্ঞা, জ্ঞান সর্বথা নিয়োজিত থাকে নিজ রাষ্ট্রের বা রাজ্যের স্বার্থ রক্ষা করা যায়। সেজন্য, যুদ্ধ পূর্বাবস্থায় সকল সমরনায়ক, নীতিবাগীশ কিংবা চিন্তাবিদগণ কুটনৈতিক সমাধানের পথকে সর্বোত্তম হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সেজন্য একবাক্যে বলা যায়,
কুটনীতি হলো -
"একটি রাষ্ট্র, ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর সঙ্গে অন্য রাষ্ট্র, ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর সম্পর্ক পরিচালনা করার শিল্প, যেখানে বুদ্ধি, কৌশল, ধৈর্য ও বক্তব্যের সূক্ষ্মতা দিয়ে সমস্যা সমাধান করা হয়, যুদ্ধ বা সংঘর্ষ এড়িয়ে।"
কুটনীতিতে নিজ স্বার্থ রক্ষা করা একমাত্র উদ্দেশ্য। এ এমন এক কৌশল যা দুই রাষ্ট্রকে বন্ধুতে পরিণত করে কিন্তু ব্যর্থতায় চিরশত্রু হয়ে উঠে। সেজন্য Winston Churchill বলেছিলেন,
“Diplomacy is the art of telling people to go to hell in such a way that they ask for directions.”
অর্থাৎ, "কূটনীতি এমন একটি শিল্প যেখানে কাউকে নরকে যেতে বলাও এমনভাবে বলা হয়, যেন সে পথনির্দেশনা চায়।"
শুধু বর্তমান সময়ে নয় বরং ঐতিহাসিক বাস্তবতায়ও কুটনীতি সমভাবে গুরুত্বপূর্ণ। পূর্বেকার শাসনকার্য ও রাজ্য বিস্তারে ক্ষেত্রেও কুটনীতি বা Diplomacy ছিল প্রথম সোপান। কারণ, যুদ্ধে অর্জনের চেয়ে ক্ষতি অধিক হয়ে থাকে। সেজন্য, নিজ ক্ষতি এড়িয়ে কিভাবে নিজ স্বার্থ রক্ষা করা যায় সেটা কুটনীতির একমাত্র উদ্দেশ্য। উদাহরণস্বরুপ, মৌর্য সাম্রাজ্যের সূচনাকারী ও চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের পরামর্শক ও প্রধানমন্ত্রী কৌটিল্য, গ্রীক অধিপতি সেলুকাস এর বারংবার ভারত আক্রমণ মৌর্য সাম্রাজ্যের জন্য ছিল দীর্ঘস্থায়ী হুমকি স্বরুপ। কিন্তু সম্রাট চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য যখন নিজের বিশাল সেনাবাহিনী দ্বারা সেলুকাসকে পরাজিত করেন তখন কৌটিল্য এই সমস্যা সমাধানে সেলুকাস এর কন্যা হেলেন এর সাথে চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের বিয়ে সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু এই বিবাহকার্য ছিল কুটনীতির অসাধারণ কৌশল। মেসিডোনিয়ার শাসক সেলুকাস এর সাথে শত্রুতার রাখার মধ্যে কোনো সুফল নেই। কিন্তু এর পরিবর্তে সম্বন্ধ স্থাপনের মাধ্যমে মিত্রতা সৃষ্টি করে নিজেকে শক্তিশালী করার মধ্যে শ্রেষ্ঠত্ব। কিন্তু হেলেন এর বিবাহের ক্ষেত্রে শর্ত ছিল হেলেন পুত্র কখনো শাসক হতে পারবে নাহ। যা কুটনীতির এক শৈল্পিক কৌশল।
কুটনীতির ক্ষেত্রে চাণক্যের শ্রেষ্ঠত্ব জগৎ জুড়ে। কিন্তু চাণক্যের এই কুটনৈতিক প্রজ্ঞা প্রাচীন ভারতের কুটনৈতিক শ্রেষ্ঠত্বের ধারাবাহিকতারই অংশ। যেমন বাল্মিকী রামায়ণে অযোধ্যার রাজা দশরথ কর্তৃক দ্রাবিড় বংশের রাজকুমারী কৈকেয়ীকে বিবাহও নিজেকে রাজনৈতিকভাবে কুটনীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। কারণ, এই সিদ্ধান্তের ফলে অযোধ্যার সাথে দ্রাবিড় বংশের সখ্যতা বৃদ্ধি পায় এবং আধিপত্য বিস্তার ঘটে।
কিন্তু আমরা যখন কুটনীতির শ্রেষ্ঠত্বের আলোচনায় অংশগ্রহণ করি, তখন সে কুটনৈতিক শিল্পের শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট শিল্পী যোগেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মস্তকে দেদীপ্যমান। নিজ সামগ্রিক জীবনে, রাজ্য সুরক্ষায় কিংবা মিত্রের রাজ্য রক্ষায় মহাভারত, হরিবংশে বাসুদেব শ্রীকৃষ্ণের কুটনৈতিক প্রজ্ঞার বহু ঘটনা প্রত্যক্ষ হয়। বাসুদেব শ্রীকৃষ্ণের কুটনৈতিক প্রজ্ঞা এমনই ছিল ঐতিহাসিক শুক্র নীতিতে বলা হয়েছে,
কৌটিল্য কূটনীতিতে শুক্রাচার্যকে শ্রেষ্ঠ বলে অভিহিত করেছেন। কিন্তু শুক্রাচার্য তাঁর মৎপ্রণীত 'নীতিসার' গ্রন্থে বলেছেন
"ন কূটনীতিরভবৎ শ্রীকৃষ্ণ সদৃশোনৃপঃ”
- শুক্রনীতি ৪/১২/৯৭
অর্থাৎ, ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ন্যায় কোনো কূটনীতিজ্ঞ এই ধরণিতে নেই”।
বাসুদেব শ্রীকৃষ্ণের কুটনৈতিক প্রজ্ঞা সম্পর্কে জানার জন্য ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে তার বিচার বিশ্লেষণ করা আবশ্যক। তার সমগ্র জীবনে এমন বহু ঘটনাবলী পর্যবেক্ষণ করে কুটনৈতিক দূরদর্শিতা, রণকৌশল এবং একজন প্রকৃত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের পরিচয় দৃষ্ট হয়।
যুদ্ধ পূর্বাবস্থায় পান্ডবদের রাষ্ট্রদূত:
বাসুদেব শ্রীকৃষ্ণ কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের পূর্বে হস্তিনাপুরের রাজসভায় গিয়েছিলেন শান্তি প্রস্তাব নিয়ে। বর্তমান সময়ের কুটনৈতিক প্রাঙ্গণে যুদ্ধের পূর্বে রাষ্ট্রদূত কিংবা নেতৃবৃন্দ নেগোসিয়েশন এর মাধ্যমে সমস্যা সমাধান এর প্রয়াস করেন। কারণ, যুদ্ধ কখনো প্রথম কাম্য হতে পারে নাহ। যুদ্ধের ফলে যে বিনাশ হয়, সে ধ্বংস বা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কল্পনাতীত হয়ে থাকে। সেজন্য, একজন আদর্শ ও দূরদর্শী রাষ্ট্রদূত এই ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড এড়িয়ে চলার প্রয়াস করেন। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এই ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড এড়ানোর উদ্দেশ্য কুরু রাজবংশের উত্তরসূরীদের তার অপরাধ এবং যুদ্ধের ফলাফল সম্পর্কে সম্যক অভিহিত করার মাধ্যমে সমাধান এর প্রয়াস করেন। যা একজন কুটনৈতিক এর কর্মসূচির অন্যতম উদাহরণ এবং গুরুত্বপূর্ণ।
ভীম এর মাধ্যমে জরাসন্ধকে হ*ত্যা:
বর্তমান সময়ের সমরনীতি কিংবা War Strategy তে প্রক্সি যুদ্ধ খুবই প্রয়োগযোগ্য এবং পরিচিত। ২০ শতকে দুই পরাশক্তিকে কেন্দ্র করে স্নায়ুযুদ্ধ যখন বিরাজমান তখন অপরকে দূর্বল করার জন্য এবং আধিপত্য বিস্তারের জন্য প্রক্সি যুদ্ধ হয়ে উঠে কার্যকর উপায়। তবে বর্তমান সময়ের প্রচলিত এই প্রক্সি যুদ্ধের কৌশল প্রাচীন সময়েও প্রয়োগ হতো। কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র কিংবা সান-জু, কিংবা ধনুর্বেদ এ প্রতিপক্ষকে দূর্বল কিংবা নিজ রাজ্য রক্ষার্থে প্রক্সি যুদ্ধের উল্লেখ পাওয়া যায়। কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রে ০৩ প্রকার যুদ্ধের উল্লেখ পাওয়া যায়।
▪️प्रकासयुद्ध - প্রকাশ্য যুদ্ধ
▪️कूटयुद्ध - কূটচাতুর্য
▪️तुष्णी युद्ध - নীরব/গোপন যুদ্ধ
এই ০৩ প্রকার যুদ্ধ কৌশল এর মধ্যে কূটচাতুর্য ও নীরব/গোপন যুদ্ধকে বর্তমান সময়ের প্রক্সি যুদ্ধ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। এই প্রক্সি যুদ্ধের উল্লেখ পাওয়া যায় মহাভারতে। যা দ্বারকাধিপতি বাসুদেব শ্রীকৃষ্ণ জরাসন্ধের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করেছিলেন। মথুরার শাসক কংসকে হত্যার মাধ্যমে মথুরা অত্যাচারী মুক্ত। প্রজাবৎসল শাসক উগ্রসেন পুনরায় রাজসিংহাসনে আরোহন করেন। কিন্তু জামাতা কংসের হত্যায় ক্ষুদ্ধ মগধ(বর্তমান বিহার) শাসক জরাসন্ধ ১৭ বার আক্রমণ করে মথুরা। বারংবার আক্রমণের ফলে মথুরার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দূর্বল হয়ে পড়ে। সেজন্য, যাদবের রক্ষার্থে বাসুদেব শ্রীকৃষ্ণ দ্বারকা প্রতিষ্ঠা করেন। কিন্তু শত্রু কখনো প্রতিশোধ এর স্পৃহা ভুলে যায় নাহ। সে সুযোগ পেলে, অবশ্যই দ্বারকা আক্রমণ করে তা ধ্বংসস্তুপে পরিণত করবেই। সেজন্য, নব প্রতিষ্ঠিত রাজ্য খাণ্ডবপ্রস্থের বীর তথা পান্ডু পুত্র ভীমের সাথে মগধরাজ জরাসন্ধকে মল্লযুদ্ধে পরাস্ত করেন। জরাসন্ধকে হত্যার মাধ্যমে খাণ্ডব প্রস্থের শাসক তথা ধর্মরাজ যুধিষ্ঠির হয়ে উঠেন চক্রবর্তী শাসক এবং দ্বারকা তথা যাদবকূল হয় বিপদমুক্ত। এ যেন কুটনৈতিক প্রজ্ঞার অসাধারণ প্রয়োগ। যেখানে নিজের সামান্যতম ক্ষতি না করে শত্রুকে অপরের মাধ্যমে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হয়। এছাড়াও একজন দূরদর্শী স্ট্র্যাটিজিস্ট এর মতো তিনি দ্বারকা নগরীকে প্রতিষ্ঠা করলেন এক দূর্ভেদ্য নগরী হিসেবে।
কুরুক্ষেত্রের মহারথীদের পরাস্ত করতে দিকনির্দেশক:
কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ ছিল তৎকালীন সময়ের প্রলয়ঙ্কারী যুদ্ধ। কিন্তু সে যুদ্ধের শক্তিমত্তা ছিল অসম। কৌরবদের পক্ষে রথী-মহারথী পণ্ডিতন্মন্যদের অংশগ্রহণ ছিল অগ্রগামী। এছাড়াও যুদ্ধের মূল স্তম্ভ সৈন্য সংখ্যায় ছিল অসমতা। কৌরবদের পক্ষে সম্মিলিত রথ,হাতি,অশ্বারোহী ও পদাতিক সেনাদল ছিল ১১ অক্ষৌহিণী কিন্তু বিপরীতে পান্ডবদের সম্মিলিত রথ,হাতি,অশ্বারোহী ও পদাতিক সেনাদল ছিল ৭ অক্ষৌহিণী। কিন্তু যুদ্ধ শুধুমাত্র শক্তিমত্তা কিংবা দৈহিক বল এর উপর ভিত্তি করে জয়ী হওয়া যায় নাহ। বরং War strategy কিংবা কৌশলের উপর ভিত্তি করে যুদ্ধের পরিণতি দাঁড়ায়। উদাহরণস্বরূপ, বিশাল মোঘল সেনার বিরুদ্ধে ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের গেরিলা যুদ্ধ কিংবা ২০ শতকের পরাশক্তি আমেরিকার বিরুদ্ধে ভিয়েতনামের গেরিলা যোদ্ধা ভিয়েতনামিজদের যুদ্ধকৌশল। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে পান্ডবদের সৈন্য সংগঠিত করতেও বাসুদেব শ্রীকৃষ্ণ অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন। বিরাট রাজা, সাত্যকি ও ঘটোৎকচসহ বহু শাসক, যোদ্ধাকে যুদ্ধক্ষেত্রে আনয়নে অর্জুনের পরামর্শদাতা হিসেবে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ভূমিকা রয়েছে। যা একজন কুটনৈতিক এর বুদ্ধিমত্তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ। যুদ্ধক্ষেত্রে পিতামহ ভীস্ম, গুরু দ্রোণাচার্য, অঙ্গরাজ কর্ণের বধের ক্ষেত্রেও বাসুদেব শ্রীকৃষ্ণের কুটনৈতিক প্রজ্ঞা ছিল সর্বাগ্রে। উদাহরণস্বরূপ, সৌব রাজ্যের শাসক জয়দ্রথকে সূর্যাস্তের পূর্বে হত্যার জন্য অর্জুনের মাধ্যমে অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশ সৃষ্টি করে জয়দ্রথকে গুপ্ত অবস্থান থেকে বের করে নিয়ে আসা। এসকল যেমন উৎকৃষ্ট যুদ্ধনীতির উদাহরণ তেমনি কুটনৈতিক সফলতার দৃষ্টান্ত।
কুটনীতি বা Diplomacy শুধুমাত্র বদ্ধ ঘরে আলোচনা নয় বরং সর্বাবস্থায় নিজ রাজ্য বা দেশের স্বার্থ রক্ষার্থে বুদ্ধিবৃত্তিক পদক্ষেপ গ্রহণ এর উদ্দেশ্য। সেজন্য, কুটনীতিতে - War Diplomacy নামে একধরনের টার্ম বিদ্যমান। কিন্তু এই কুটনৈতিক ক্ষেত্রে দ্বারকাপতি ভগবান বাসুদেব শ্রীকৃষ্ণের ভূয়সী প্রশংসায় পঞ্চমুখ হওয়া উচিত। একজন শান্তিদূত হিসেবে, একজন কৌশলী হিসেবে, যুদ্ধ জয়ের নীতি নির্ধারক হিসেবে যোগেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ছিলেন এক ও অদ্বিতীয়। সেজন্য ভারতের বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও জিওপলিটিক্সের অন্যতম গ্রেট ডিপ্লোমেট এস জয়শঙ্কর ২৯ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখে পুনেতে তার বই “The India Way: Strategies for an Uncertain World” (মারাঠিতে “ভারত মার্গ”)–এর প্রকাশ অনুষ্ঠানে মহাকাব্য রামায়ণ ও মহাভারত থেকে বিদেশনীতির পাঠ তুলে ধরে সাক্ষাৎকারে, "ভগবান বাসুদেব শ্রীকৃষ্ণ ও হনুমানকে তিনি বিশ্বের সবচেয়ে বড় কূটনীতিক হিসেবে অভিহিত করেছেন।"
▪️হনুমান কূটনীতির সংজ্ঞার বাইরে গিয়ে সরাসরি সীতার সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং লঙ্কায় অগ্নিবিন্যাস ঘটান—ইউনিভার্সাল মিশনের মানসিকতা রাখতেন ।
▪️শ্রীকৃষ্ণের কূটনীতি—বিশেষত শিশুপালের শতবার ক্ষমার উদাহরণ দিয়ে কৌশলী ধৈর্য প্রদর্শন, এবং পরিণামে ১০১তম ভুলে শিষ্টভাবে বিচার—এই গুণকেই তিনি গুরুত্ব দিয়েছেন ।
ভগবান শ্রীকৃষ্ণের এই অনন্য গুণাবলী সর্বক্ষেত্রে তাকে এক ও অদ্বিতীয় হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। তাই মহাভারতে বলা হয়েছে,
"যেখানে সত্য, যেখানে ধর্ম, যেখানে লজ্জা এবং যেখানে সরলতা থাকে, সেখানেই কৃষ্ণ থাকেন আর যেখানে কৃষ্ণ থাকেন, সেখানেই জয় সুনিশ্চিত থাকে।"
- মহাভারত, উদ্যোগ পর্ব: ৬৬/১৯৭
🔎Run with #veda #krishna
মন্তব্যসমূহ