উত্তরঃ বেদ আদি সত্য শাস্ত্রকে পরমেশ্বর সকল মনুষ্যের জন্যই প্রকাশ করেছেন, বেদের পঠন পাঠনের অধিকার সকল মনুষ্যের রয়েছে। ঈশ্বরের সৃষ্টিতে কারও অনধিকার থাকতে পারেনা, যে বেদ শাস্ত্র পাঠ করার ইচ্ছা বা চেষ্টা করবে তারই অধিকার রয়েছে, কেউ কেউ বলে থাকে যে 'শূদ্রের আদৌ বেদ পাঠের অধিকার নেই'। এই কথা সর্বতোভাবে মিথ্যা, কারণ মূর্খকেই শুদ্র বলা হয়, এইরূপ লোকেরই পঠন পাঠনের যে নিষেধ আছে (যারা শিক্ষা লাভ করতে ইচ্ছুক নয়) , তা এইরূপ বুঝতে হবে। কিন্তু কোনো বর্ণ বিশেষের বিদ্যা গ্রহণ বা মেধা সত্ত্বেও তাকে বেদোপদেশ দেওয়া যাবেনা, এমনটা নয়। সকল মনুষ্যের বেদ অধিকার আছে, এই বিষয়ে য়জুর্বেদের প্রমাণ দেখুন__
য়জুর্বেদ ২৬ অধ্যায়ের ২ নং মন্ত্র
এই মন্ত্রের অভিপ্রায় এই যে, ঈশ্বর এইরূপ আজ্ঞা দিচ্ছেন যে, হে মনুষ্যগণ যেরূপ আমি তোমাদের কে ঋগ্বেদ আদি চার বেদের কল্যাণীয় বাক্য উপদেশ দিয়েছে, সেইরূপ তোমরাও উক্ত বেদ শাস্ত্র স্বয়ং পাঠ করে সকল মনুষ্যকে পাঠ ও শ্রবণ করাবে।
ঋগ্বেদাদিভাষ্যভূমিকা হতে উদ্ধৃত