🔹 পবিত্র বেদ ঈশ্বরকৃত কি ❓ অন্যান্য গ্রন্থ ঘোষণা করে যে বেদ কি ঈশ্বরকৃত ❓


🔹 অন্যান্য সকল গ্রন্থ গুলো ঘোষণা করে বেদ ঈশ্বরকৃত গ্রন্থ।  🍂

মুণ্ডকোপনিষদঃ

▪️ বেদবিবৃত বাক্যসকলই ঈশ্বরীয় জ্ঞানস্বরূপ ৷ 

                           (মুণ্ডকোপনিষদ- 2/1/4)

মুণ্ডকোপনিষদঃ

▪️ সেই পরমেশ্বর/পরমাত্মা হতেই ঋগ্বেদ, যজুর্বেদ, সামবেদাদি উৎপন্ন হয়েছে ৷ 

                             (মুণ্ডকোপনিষদ- 2/1/7)

বৃহদারণ্যক উপনিষদঃ

▪️ ঋগ্বেদ, যজুর্বেদ, সামবেদ ও অথর্ববেদ সেই মহান পরমেশ্বরের নিঃশ্বাস স্বরূপ ৷ 

                   (বৃহদারণ্যক উপনিষদ- 4/5/11)

গীতাঃ

▪️ জেনে রাখো, বেদ সরাসরি অক্ষর পরমাত্মা থেকে প্রকাশিত হয়েছে ৷ 

                             (গীতা 3/15)

মহাভারতঃ

▪️ সৃষ্টির আদিতে স্বয়ম্ভূ পরমাত্মা হতে এই বেদ বাণী প্রকাশিত হয়েছিল যার না আদি আছে, না তো অন্ত, যা নিত্য তথা বিনাশরহিত ও দিব্য, যা থেকে জগতের সমস্ত প্রবৃত্তির প্রকাশ পেয়েছে ৷ ..

                   (মহাভারত: শান্তি পর্ব- 232/24)

পতঞ্জলি যোগদর্শনঃ

▪️ সৃষ্টির আদিতে পরমাত্মা সমস্ত বিষয়ের জ্ঞান বেদের মাধ্যমে দান করেছেন, তাই পরমাত্মাই সকলের গুরু ৷ 

                 (পতঞ্জলি যোগদর্শন- 1/26)

পতঞ্জলি যোগদর্শনঃ

▪️ মানবরচিত শাস্ত্রে শব্দের ব্যবস্থাপনা শাশ্বত নয়, কিন্তু বেদে তা শাশ্বত; কারণ বেদ ঈশ্বরের বাণী ৷ 

                 (পতঞ্জলি যোগদর্শন- 4/3/101)

মহাভাষ্যঃ

▪️পবিত্র বেদে বাণী ও শব্দের সমন্বয় শাশ্বত, কারণ তা পরমেশ্বর হতে প্রকাশিত ৷ 

                           (মহাভাষ্য- 5/2/53)

সাংখ্য দর্শনঃ

▪️বেদের কর্তা কোনো মানুষ নয় ৷ বেদ ঈশ্বরীয় অভ্রান্ত জ্ঞান ৷ জীবের (মানুষের) জ্ঞান অভ্রান্ত নয় বলে জীবের (মানুষের) মাঝে বেদপ্রণয়ন শক্তির অভাবই দেখতে পাওয়া যায় ৷

                                (সাংখ্য দর্শন- 5/46)

সাংখ্য দর্শনঃ

▪️ আবদ্ধ ও মুক্ত (মোক্ষ/নির্বাণ লাভকারী) কোনো পুরুষের মাঝেই বেদ প্রণয়নের যোগ্যতা দেখা যায় না; তাই বেদ কখনো মনুষ্যকৃত হতে পারে না ৷

                              (সাংখ্য দর্শন- 5/47)

সাংখ্য দর্শনঃ

▪️ ঈশ্বরের স্বাভাবিক শক্তি বেদরূপে প্রকাশিত ৷ ব্রহ্মই বেদ; এই কারণে বেদ স্বতঃ প্রমাণ অর্থাৎ এর প্রামাণিকতার জন্য অপর কোনো মানদণ্ড/প্রমাণের প্রয়োজন নেই ৷ 

                                (সাংখ্য দর্শন- 5/51)

বৈশেষিক দর্শনঃ

▪️ বেদ পরমেশ্বরের বাণী বলে সর্বদাই প্রামাণ্য ৷ 
 
                           (বৈশেষিক দর্শন- 10/1/3)

ভাগবত পুরাণঃ

▪️ বেদে যা কিছু নির্ধারিত হয়েছে, তাই ধর্ম আর বেদের বিপরীত হচ্ছে অধর্ম ৷ বেদসমূহ সাক্ষাৎ ব্রহ্মস্বরূপ (নারায়ণ) আর স্বয়ম্ভু অর্থাৎ ঈশ্বর হতে আপনা-আপনি উদ্ভুত ৷ 
 
                        (ভাগবত পুরাণ- 6/1/40)

ভাগবত পুরাণঃ

▪️বেদ হলো অপৌরুষেয়, অর্থাৎ কোনো ব্যক্তি কর্তৃক রচিত নয়; বেদ স্বয়ং ঈশ্বর হতে আগত ৷ তাই বেদের তাৎপর্য অনুধাবন নিশ্চয়ই সুকঠিন কার্য ৷ অতি বিদ্বান ব্যক্তিগণ পর্যন্ত বেদের অভিপ্রায় নির্ণয় করতে ভুল করে থাকেন ৷ 

                            (ভাগবত পুরাণ- 11/3/43)


বেদান্ত দর্শনঃ

অতএব চ নিত্যত্বম্৷৷

                            (বেদান্ত দর্শন ১/৩/২৯)

পদার্থঃ এই (বেদ) থেকে শুধুমাত্র নিত্যতা হয় ।

সৃষ্টির আদি থেকে বেদ যা ছিল, তাই আছে। তাই সত্যযুগ আসুক, কি ত্রেতা, দ্বাপর, কলিযুগ আসুক । বেদ তো বেদই, কোন কল্পে বা মতান্তরে তার পরিবর্তন হয় না এবং সদা সর্বদা বর্তমান। বেদ ঈশ্বরের নিত্য বিদ্যা, তার উৎপত্তি বা অনুৎপত্তি হতেই পারে না । অতএব তার বৃদ্ধি, ক্ষয় অথবা তাতে কোন পরিবর্তন ঘটতে পারে না। এইসব কারণে বেদ প্রতিপাদিত বৈদিক ধর্ম শ্বাশত, সত্য ও সনাতন ।

মনুসংহিতাঃ

'ধর্ম জিজ্ঞাসমানানাং প্রমাণং পরমং
শ্ৰুতিঃ।।"

                                   (মনু ২/১৩)

অর্থাৎ যে ধর্মের বিষয়ে জ্ঞান প্রাপ্ত
করতে চায় তাহার জন্য বেদই মূখ্য প্রমাণ।

শ্বেতাশ্বতর উপনিষদঃ

ছন্দাংসি যজ্ঞাঃ ক্রতবো ব্ৰতানি ভূতং ভব্যং যচ্চ বেদা বদন্তি। অস্মান্মায়ী সৃজতে বিশ্বমেতৎ অস্মিংশ্চান্যো মায়য়া সন্নিরুদ্ধঃ।।

                              (শ্বেতাশ্বতর উপনিষদ ৪/৯)

সরলার্থঃ ঋক্ প্রভৃতি চারিবেদ, জ্যোতিষ্টোম প্রভৃতি যজ্ঞ, ক্রতুসকল (নানাপ্রকার উপাসনা), চান্দ্রায়ণাদি ব্রত, ভূত, ভবিষ্যৎ, বর্তমান এবং ইহা ছাড়া আর যাহা কিছু বেদশাস্ত্রে প্রতিপাদিত হইয়াছে—এই সমুদয়ই অক্ষর ব্রহ্ম হইতে উৎপন্ন হয়। মায়াশক্তি-সম্পন্ন ঈশ্বর এই বিশ্ব সৃষ্টি করেন এবং সেই সৃষ্ট জগতেই জীব মায়াদ্বারা আবদ্ধ হইয়া থাকে ।
 

বুদ্ধিপূর্বা বাক্যকৃতিবেদঃ

অর্থাৎ বেদ বাক্য রচনা বুদ্ধিপূর্বক । এখানে সৃষ্টিক্রম বিরুদ্ধ কোনো কথা নেই। অতএব ইহা ঈশ্বরীয় জ্ঞান।

                           (“বুদ্ধিপূর্বা বাক্যকৃতিবেদ।”৬/৪/১)


🍂অর্থাৎ এর মাধ্যমে বুঝাযায়  যে বেদ ঈশ্বরীয় জ্ঞান


✍️तृष्णा श्याम

ও৩ম্ কৃণ্বন্তো বিশ্বমার্যম 🍁

Please Select Embedded Mode To Show The Comment System.*

নবীনতর পূর্বতন