বৈদিক বিজ্ঞান
বিষয়: চন্দ্রের গতি ও আলোক
↓
অত্রাহ গোরমন্বত নাম ত্বষ্টু রপীচ্যম্। ইত্থা চন্দ্রমসো গৃহে।।
ঋগ্বেদ ১/৮৪/১৫
অনুবাদ: গমনশীল চন্দ্রলোকে সূর্য্যের উজ্জ্বল জ্যোতি প্রতিফলিত হয়- এরূপ মানা হয়।
এছাড়াও উপমার সাহায্যে নিয়ে উল্লেখ আছে-
যত্ ত্বা সূৰ্য স্বর্ভানু স্তমসাবিধ্যদাসুরঃ। অক্ষেত্রবিদ্ যথা মুগ্ধো ভুবনান্যদীধয়ুঃ।।
ঋগ্বেদ ৫.৪০.৫
অর্থাৎ, হে সূর্য যাকে তুমি তোমার নিজ আলো উপহার স্বরূপ প্রদান করেছ(চাঁদ), তাঁর দ্বারা যখন তুমি আচ্ছাদিত হয়ে যাও, তখন আকস্মিক অন্ধকারে পৃথিবী ভীত হয়ে যায়।
সোমো বধুযুরভবোদশ্চিনাস্তামুভা চরা। সূর্যা যৎপত্যে সংশন্তো মনসা সবিতাদদাত।।
ঋগ্বেদ ১০.৮৫.৯
ভাবার্থঃ-এই মন্ত্রে বধুরুপী চন্দ্র এবং বররুপী সূর্যের উপমা দেয়া হচ্ছে যেখানে সবিতা চন্দ্ৰকে আলো উপহার দিচ্ছেন।অর্থাৎ চাঁদের আলো যে সূর্য থেকে প্রাপ্ত তার সুন্দর একটি উপমা সহকারে বর্ণনা পবিত্র বেদে দেয়া হয়েছে।
আধুনিক বিজ্ঞানের সাহায্যে এ সময়ে আমরা জানতে পারি চন্দ্র গতিশীল, নিজের আলো নেই, সূর্যের আলোয় আলোকিত। অথচ আমাদের প্রচীন আর্য ঋষিগণ হাজার হাজার বছর আগেই তা জানতেন, বেদ (জ্ঞান) চর্চা করতেন।
সবাই বেদ (জ্ঞান) চর্চা করি, ছড়িয়ে দিই এ বিজ্ঞান ভিত্তিক ধর্মকে সর্বত্রই।
✍️হৃদয় সূত্রধর
ও৩ম্ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ