🔸 সনাতন ধর্মে সুদ গ্রহন বৈধ ❓বেদ ও বৈদিক শাস্ত্র কি বলে ❓
▪️ব্যাবসায় উন্নতি ও সমাজকে এগিয়ে নেবার জন্য মুনাফা গ্রহন বৈধ এবং মুনাফার পরিমান হবে আসল অর্থের ৮০ ভাগের ১ ভাগ। শাস্ত্র ব্যাখ্যা নিচে:-
♦ যেহেতু মানব জাতির একমাত্র ও শ্রেষ্ঠ গ্রন্হ বেদ সেহেতু আমরা সর্বপ্রথম বেদের প্রামাণ্য দেখবো:-
♦ যেন ধনেন প্রপণং চরামি ধনেন দেবা ধনমিচ্ছমানঃ।
তন্মে ভূয়ো ভবতু মা কণীয়োহগ্নে সাতঘ্নো দেবান্ হবিষা নিষেধ।।
=|| অথর্ববেদ ৩/১৫/৫ ||=
অর্থ:- হে পরমাত্মা! মূলধন দ্বারা আমারা ধন বৃদ্ধির ইচ্ছা করিতেছি। যে ধন দ্বারা বাণিজ্য করিতেছি তাহা বৃদ্ধি প্রাপ্ত হউক। হে পরমাত্মা তোমার কৃপায় যেন আমরা বহূ ধন লাভ করিতে পারি। যাহারা আমার লাভের হানিকারক তাহাদিগকে আমার নিকট হইতে দূরে রাখ।
♦যেন ধনেন প্রপণং চরামি ধনেন দেবা ধনমিচ্ছমানঃ। তস্মিন্ মা ইন্দ্রো রুচিমা দধাতু প্রজাপতিঃ সবিতা সোমো অগ্নি।
=|| অথর্ববেদ ৩/১৫/৬ ||=
অর্থ:- হে প্রজাপালক ঐশর্য্যপ্রদাতা রোগনিরাময় ও পবিত্রকারী পরমাত্বা আমাদেরকে উত্তম ধন প্রদান করুন।
হে সর্বশক্তিমান পরমাত্মা! আমরা মূলধন দ্বারা ধন বৃদ্ধির ইচ্ছা করিতেছি তা বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হউক।
[ মন্তব্য:- অর্থাৎ পবিত্র বেদের এই দুটি মন্ত্র দ্বারা স্পষ্ট যে সনাতনধর্মে ব্যাবসায়ে উন্নতির জন্য মুনাফা গ্রহব বৈধ]
♦ এবার মহর্ষি মনুর বচন তথা (মনুসংহিতা) হতে মুনাফা গ্রহনের পরিমান ও মিয়মকানুন দেখে নেবো:-
♦ মুনাফা (সুদ) এর পরিমান কত হওয়া উচিৎ বা ধর্মসঙ্গত?
★ বশিষ্টবিহিতং বৃদ্ধিং সৃজেদ্ বিত্তবিবর্ধিনীম্। অসীতিভাগং গৃহ্নীয়ান্মাসাদ্বার্দ্ধুষিকঃ শতে।।
=|| মনুসংহিতা ৮/৪০ ||=
অর্থ:- বুদ্ধিজীবী ব্যাক্তি অন্যকে যত অর্থ ঋণরূপে দেবেন প্রতিমাসে তাহার ৮০ ভাগের ১ ভাগ সুদ গ্রহন করতে পারেন। এতেই অর্থবৃদ্ধি হবে। অর্থ বৃদ্ধি গ্রহন সম্বন্ধে মহর্ষি বশিষ্ঠকতৃক এইরকম নিয়ম বিহিত হয়েছে।
ব্যাখ্যা:- অর্থাৎ আপনি যদি কাউকে ১০০ টাকা ঋন দেন বা আপনি যদি কারোর কাছ হতে ১০০ টাকা ঋণ নেন তাহলে প্রতি মাসে ৮০ ভাগের ১ ভাগ তথা:-
(১০০÷৮০= ১.২৫) অর্থাৎ ১০০ টাকা ঋন দিলে প্রতিমাসে ১টাকা ২৫ পয়সা সুদ নিতে পারেন এবং ১০০ টাকা ঋন আনলে প্রতিমাসে ১ টাকা ২৫ পয়সা সুদ দিতে হবে।
♦ কতদিন অন্তর মুনাফা গ্রহন বৈধ? এবং কতদিন পর্যন্ত আসল টাকার ওপর মুনাফা গ্রহন বৈধ?
★ নাতিসংবৎসরীং বৃদ্ধিং ন চাদৃষ্টং পুনর্হরেৎ। চক্রবৃদ্ধিঃ কালবৃদ্ধিঃ কারিতা কায়িকা চ যা।
=|| মনুসংহিতা ৮/ ১৫৩ ||=
অর্থ:- এক, দুই কিংবা তিন মাস অান্তর সূদ গ্রহন করব এইরকম নিয়মে ঋণ দিয়ে ঋণদাতা ঋণগ্রহীতার কাছে এক বৎসর পর্যন্ত ধর্মসঙ্গত সুদ নিতে পারবে। সংবৎসর অতিক্রমে সুদ গ্রহন মোটোও উচিৎ নয়।
ব্যাখ্যা:- অর্থাৎ ১, ২ কিংবা ৩ মাস অন্তর ১ বৎসর অবধি সুদগ্রহন বৈধ। ৮০ ভাগের ১ ভাগ হারে।
♦ কেউ যদি সম্পূর্ণ মুনাফা / সুদ দিতে অসমর্থ হয় তখন কি করনিয়?
★ অদর্শয়িত্বা তএৈব হিরন্যং পরিবর্তয়েৎ।
যাবতী সম্ভবেদ্ বৃদ্ধিস্তাবতীং দাতুর্মর্হতি।
=|| মনুসংহিতা ৮/১৫৫ ||=
অর্থ:- ব্যাক্তি যদি সমস্ত সুদের অর্থ দিতে অসমর্থ হয় তবে যে সুদ অবশিষ্ট আছে, তা অন্তর্ভুক্ত করে ঋণপত্রটি সেখানেই পরিবর্তন করে দেবে। আর ঋণগ্রহীতা যতটুকু পারবে সেই পরিমান সুদ দিয়ে দেবে।
♦ যেহেতু মানব জাতির একমাত্র ও শ্রেষ্ঠ গ্রন্হ বেদ সেহেতু আমরা সর্বপ্রথম বেদের প্রামাণ্য দেখবো:-
♦ যেন ধনেন প্রপণং চরামি ধনেন দেবা ধনমিচ্ছমানঃ।
তন্মে ভূয়ো ভবতু মা কণীয়োহগ্নে সাতঘ্নো দেবান্ হবিষা নিষেধ।।
=|| অথর্ববেদ ৩/১৫/৫ ||=
অর্থ:- হে পরমাত্মা! মূলধন দ্বারা আমারা ধন বৃদ্ধির ইচ্ছা করিতেছি। যে ধন দ্বারা বাণিজ্য করিতেছি তাহা বৃদ্ধি প্রাপ্ত হউক। হে পরমাত্মা তোমার কৃপায় যেন আমরা বহূ ধন লাভ করিতে পারি। যাহারা আমার লাভের হানিকারক তাহাদিগকে আমার নিকট হইতে দূরে রাখ।
♦যেন ধনেন প্রপণং চরামি ধনেন দেবা ধনমিচ্ছমানঃ। তস্মিন্ মা ইন্দ্রো রুচিমা দধাতু প্রজাপতিঃ সবিতা সোমো অগ্নি।
=|| অথর্ববেদ ৩/১৫/৬ ||=
অর্থ:- হে প্রজাপালক ঐশর্য্যপ্রদাতা রোগনিরাময় ও পবিত্রকারী পরমাত্বা আমাদেরকে উত্তম ধন প্রদান করুন।
হে সর্বশক্তিমান পরমাত্মা! আমরা মূলধন দ্বারা ধন বৃদ্ধির ইচ্ছা করিতেছি তা বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হউক।
[ মন্তব্য:- অর্থাৎ পবিত্র বেদের এই দুটি মন্ত্র দ্বারা স্পষ্ট যে সনাতনধর্মে ব্যাবসায়ে উন্নতির জন্য মুনাফা গ্রহব বৈধ]
♦ এবার মহর্ষি মনুর বচন তথা (মনুসংহিতা) হতে মুনাফা গ্রহনের পরিমান ও মিয়মকানুন দেখে নেবো:-
♦ মুনাফা (সুদ) এর পরিমান কত হওয়া উচিৎ বা ধর্মসঙ্গত?
★ বশিষ্টবিহিতং বৃদ্ধিং সৃজেদ্ বিত্তবিবর্ধিনীম্। অসীতিভাগং গৃহ্নীয়ান্মাসাদ্বার্দ্ধুষিকঃ শতে।।
=|| মনুসংহিতা ৮/৪০ ||=
অর্থ:- বুদ্ধিজীবী ব্যাক্তি অন্যকে যত অর্থ ঋণরূপে দেবেন প্রতিমাসে তাহার ৮০ ভাগের ১ ভাগ সুদ গ্রহন করতে পারেন। এতেই অর্থবৃদ্ধি হবে। অর্থ বৃদ্ধি গ্রহন সম্বন্ধে মহর্ষি বশিষ্ঠকতৃক এইরকম নিয়ম বিহিত হয়েছে।
ব্যাখ্যা:- অর্থাৎ আপনি যদি কাউকে ১০০ টাকা ঋন দেন বা আপনি যদি কারোর কাছ হতে ১০০ টাকা ঋণ নেন তাহলে প্রতি মাসে ৮০ ভাগের ১ ভাগ তথা:-
(১০০÷৮০= ১.২৫) অর্থাৎ ১০০ টাকা ঋন দিলে প্রতিমাসে ১টাকা ২৫ পয়সা সুদ নিতে পারেন এবং ১০০ টাকা ঋন আনলে প্রতিমাসে ১ টাকা ২৫ পয়সা সুদ দিতে হবে।
♦ কতদিন অন্তর মুনাফা গ্রহন বৈধ? এবং কতদিন পর্যন্ত আসল টাকার ওপর মুনাফা গ্রহন বৈধ?
★ নাতিসংবৎসরীং বৃদ্ধিং ন চাদৃষ্টং পুনর্হরেৎ। চক্রবৃদ্ধিঃ কালবৃদ্ধিঃ কারিতা কায়িকা চ যা।
=|| মনুসংহিতা ৮/ ১৫৩ ||=
অর্থ:- এক, দুই কিংবা তিন মাস অান্তর সূদ গ্রহন করব এইরকম নিয়মে ঋণ দিয়ে ঋণদাতা ঋণগ্রহীতার কাছে এক বৎসর পর্যন্ত ধর্মসঙ্গত সুদ নিতে পারবে। সংবৎসর অতিক্রমে সুদ গ্রহন মোটোও উচিৎ নয়।
ব্যাখ্যা:- অর্থাৎ ১, ২ কিংবা ৩ মাস অন্তর ১ বৎসর অবধি সুদগ্রহন বৈধ। ৮০ ভাগের ১ ভাগ হারে।
♦ কেউ যদি সম্পূর্ণ মুনাফা / সুদ দিতে অসমর্থ হয় তখন কি করনিয়?
★ অদর্শয়িত্বা তএৈব হিরন্যং পরিবর্তয়েৎ।
যাবতী সম্ভবেদ্ বৃদ্ধিস্তাবতীং দাতুর্মর্হতি।
=|| মনুসংহিতা ৮/১৫৫ ||=
অর্থ:- ব্যাক্তি যদি সমস্ত সুদের অর্থ দিতে অসমর্থ হয় তবে যে সুদ অবশিষ্ট আছে, তা অন্তর্ভুক্ত করে ঋণপত্রটি সেখানেই পরিবর্তন করে দেবে। আর ঋণগ্রহীতা যতটুকু পারবে সেই পরিমান সুদ দিয়ে দেবে।
ও৩ম্ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ