বৈদিক নিয়মে 'সান্ধোপসনা [ মাতা সীতা ]
📖✍️সনাতনীদের নিকট মাতা সীতা এবং মর্যাদা পুরুষোত্তম শ্রীরাম হলেন অন্যতম আদর্শিক ব্যক্তিত্ব। ঈশ্বরের উপাসনা করার ক্ষেত্রে তাদের অনুকরণ করা আমাদের কর্তব্য। পরমেশ্বর আমাদের সান্ধ্যপৌসনা করার মাধ্যমে তাহার উপাসনা করার বিধান দিয়েছেন। বৈদিক ঋষি, রাজাগণ এবং তাদের পত্নী ও পরিবারবর্গ সান্ধ্যপৌসনা করতেন। সকলের নিয়মিত কর্তব্য কর্ম ছিলো এই সান্ধ্যপৌসনা। সান্ধ্যপৌসনা এর উল্লেখ আমরা বাল্মিকী রামায়ণে পেয়ে থাকি। মর্যাদা পুরুষোত্তম শ্রীরাম যেমন সান্ধ্যপৌসনা দ্বারা ঈশ্বরের উপাসনা করতেন মা সীতাও তেমনি উপাসনা পদ্ধতি অনুসরণ করতেন।
▪️সীতা সন্ধ্যেপাসনা
🌸"সন্ধ্যায়মানা শ্যামা ধ্রুবমেষ্যতি জানকী।
নদীং চেমাং শুভজলাং সন্ধ্যার্থে বরবৰ্ণিনী।।"🌸
🔸 ( বাল্মীকি রামায়ণ সুন্দরকাণ্ড ১৪|৪৯ )🔸
✍️হনুমান সীতা সম্বন্ধে চিন্তা করে মনস্থ করে যে, সন্ধ্যাশীল সীতা সন্ধ্যা করার জন্য অবশ্যই এই জলাশয়ের নিকটে আগমণ করবে।🌱
অর্থাৎ, হনুমানজ্বী জানতেন সান্ধ্যপৌসনার বিষয়ে এবং মাতা সীতা নিয়মিত সন্ধ্যায় উপাসনা করতেন। সেজন্য তিনি এ সময়কে চয়ন করেন যাতে মাতা সীতা সহিত সাক্ষাৎ করতে পারেন।
বৈদিক শাস্ত্রে অগ্নিহোত্র যজ্ঞের উল্লেখ পাওয়া যায়। কিন্তু সে যজ্ঞে ছিল পতি পত্নী উভয়ের অংশগ্রহণ।
◽পতি পত্নিসহিত অগ্নিহোত্র ও পরমাত্মার উপাসনা:-
🌸গতো পুরোহিতে রামঃ স্নাতো নিয়তমানসঃ।
সহ পত্ন্যা বিশালাক্ষা নারায়ণমুপাগতম্।।
প্রগৃহ্যশিরসাপাত্রীং হবিষো বিধিবত্ততঃ।
মহতে দৈবতা যাজ্যং জুহাবজ্বলবতানলে।।🌸
🔸(বাল্মিকী রামায়ণ, অযোধ্যা কান্ড ৬।১-২)🔸
✍️ভাবার্থঃ যখন পুরোহিত বশিষ্ঠ জ্বী চলে গেলেন তখন বিশালনেত্র সীতা সহিত রামচন্দ্র স্নান করে মনকে নিয়ত করে নারায়ণ (পরমাত্মার) উপাসনায় প্রবৃত্ত করলেন। প্রথম হবি = হবন সামগ্রী বিধিবৎ প্রস্তুত করে তার প্রতিষ্ঠা করে পরমপিতা পরমাত্মার নিমিত্তে প্রজ্জলিত অগ্নিতে আহুতি দিলেন।🌱
✍️তাই শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিরা যা করে সাধারণ মানুষ তাই অনুসরণ করে। সেজন্য আমরাও সান্ধ্যপৌসনা দ্বারা পরমাত্মার সান্নিধ্য লাভের প্রয়াস করবো এবং অগ্নিহোত্র যজ্ঞ করার মাধ্যমে নিজেদের উন্নতি করার চেষ্টা করব।
ও৩ম্ শান্তি শান্তি শান্তি 🌿🔥
প্রচারে: VEDA
মন্তব্যসমূহ