আমাদের কেন ঈশ্বরের অস্তিত্ব স্বীকার করা উচিত?
আমাদের কেন ঈশ্বরের অস্তিত্ব স্বীকার করা উচিত? এ জগত সুন্দর, অদ্ভুত এবং জটিল। যেন কোনো সুনিপুণ কারিগরের অপরুপ নিখুঁত সৃষ্টি, যা অনুসরণ করে চলেছে এক শাশ্বত সুশৃঙ্খল নিয়ম। কোনো বিঘ্ন কিংবা বিশৃঙ্খলতার অবকাশ নেই। মহাবিশ্ব যেন ক্রমান্বয়ে তার পরিণতির দিকে অগ্রসরমান হয়ে চলছে। শূন্য থেকে সৃষ্টি হয়ে পুনরায় সেই শূন্যে লীন হয়ে যায় এবং পুনঃপুন সৃষ্টি সংগঠিত হয়। সভ্যতার আদিকাল থেকেই এ জগত সম্পর্কে মনুষ্যের কৌতূহল সর্বোপরি। এ জগতের অজানাকে জানার জন্য, সৃষ্টি রহস্যকে ভেদ করার উদ্দেশ্য এবং জগতের জটিলতাকে জানতে সর্বদাই প্রচেষ্টারত। বিজ্ঞানের অগ্রগতি, দার্শনিকদের সুগভীর চিন্তা জগতের রহস্য উদঘাটনে অবদান রেখেছে এবং সেই চেষ্টা এখনো চলমান। সেই জন্য Mary Catherine Bateson বলেছিলেন, "We are not what we know but what we are willing to learn." মনুষ্যের সুগভীর চিন্তা জগতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সংশয় ঈশ্বর বা সৃষ্টিকর্তা সম্পর্কিত ধারণা। এ সুবিশাল, নিখুঁত, জটিল, সুশৃঙ্খল জগতের কি কোনো স্রষ্টা, পরিচালক, সর্বময় কর্তা বিদ্যমান রয়েছে নাকি এ জগৎ সত্যি প্রকৃতির অন্তহীন সৃষ্টি চক্রের এক অংশবিশ...