রাবণের প্রতি মাতা সীতার হুংকার।
✨ রাবণের প্রতি মাতা সীতার হুংকার।
তেন মৈত্রী ভবতু তে যদি জীবিতুমিচ্ছসি (সুন্দরকাণ্ড, ২১.২০)
- যদি জীবিত থাকতে চাও তাহলে শ্রীরামচন্দ্রের সঙ্গে মৈত্রী স্থাপন করো।
মাং চাস্মৈ প্রযতো ভূত্বা নির্যাতয়িতুমর্হসি - ২১.২১
- শুদ্ধান্তঃকরণে আমাকে শ্রীরামচন্দ্রের নিকট প্রত্যর্পণ করো।
অন্যথা ত্বং হি কুর্বাণঃ পরাং প্রাপ্স্যসি চাপদম্ - ২১.২২
- অন্যথায় তুমি ভয়ানক ভীষণ বিপদে পড়বে।
ত্বদ্বিধং ন তু সংক্রুদ্ধো লোকনাথঃ স রাঘবঃ -২১.২৩
- সাতিশয় ক্রুদ্ধ লোকনাথ রঘুপতি রামের হাত থেকে তুমি কখনো রক্ষা পাবে না।
জনস্থানে হতস্থানে নিহতং রক্ষসাং বলে। অশক্তেন ত্বয়া রক্ষঃ কৃতমেতদসাধু বৈ -২১.২৯
- রাক্ষস! রাক্ষসসৈন্যসমূহ বিধ্বস্ত হওয়াতে জনপদ গুলোতে তোমার আশ্রয় নষ্ট হয়ে যাওয়ায়, যুদ্ধ করতে অসমর্থ তুমি, ছল ও চৌর্যের অবলম্বনে এই নিচ কার্য (আমার অপহরণ) করেছো।
আশ্রমং তত্তয়ো শূন্যং প্রবিশ্য নরসিংহয়ো- ২১.৩০
- নীচ নিশাচর! তুমি পুরুষসিংহ শ্রীরাম ও লক্ষ্মণের অনুপস্থিতিতে আশ্রমে প্রবেশ করে আমাকে হরণ করেছ।
নহি গন্ধমুপাঘ্রায় রামলক্ষ্মণয়োস্তু্বয়া। শক্যং সংদর্শনে স্থাতুং শুনা শার্দূলয়োরিব - ২১.৩১
- শার্দূলের আঘ্রাণ যেমন সারমেয় সহ্য করতে পারে না, তেমনি তুমি শ্রীরাম ও লক্ষ্মণের আঘ্রাণ পেলে তাদের সামনে টিকে থাকতে পারবে না।
তস্য তে বিগ্রহে তাভ্যাং যুগগ্রহণমস্থিরম্ -২১.৩২
- রাম ও লক্ষ্মণের সঙ্গে যুদ্ধে টিকে থাকা তোমার পক্ষে অসম্ভব।
ক্ষিপ্রং তব স নাথো মে রামঃ সৌমিত্রিণা সহ। তোয়মল্পমিবাদিত্যঃ প্রাণানাদাস্যতে শরৈঃ - ২১.৩৩
- অচিরে আমার প্রাণনাথ শ্রীরাম সৌমিত্রি শ্রী লক্ষ্মণের সঙ্গে এসে তোমার প্রাণ হরণ করবেন,যেমন করে সূর্য অল্প জলরাশিকে বিশুষ্ক করে দেয়।
অসংশয়ং দাশরথের্বিমোক্ষ্যসে - ২১.৩৪
- নিঃসন্দেহে রঘুপতি রামের বাণে তুমি নিহত হবে।
নূনং ন তে জনঃ কশ্চিদস্মিন্নিঃশ্রেয়সি স্থিতঃ। নিবারয়তি যো ন ত্বাং কর্মণোঽস্মাদ্ বিগর্হিতাৎ - ২২.১৩
- নিঃসন্দেহে এই নগরীতে কেউই তোমার শুভাকাঙ্ক্ষী নেই, যে তোমাকে এইরূপ গর্হিত কর্ম হতে বিরত করতে পারে।
মাং হি ধর্মাত্মনঃ পত্নীং - ২২.১৪
- আমি ধর্মাত্মা শ্রীরামচন্দ্রের ধর্মপত্নী।
রাক্ষসাধম রামস্য ভার্যামমিততেজসঃ। উক্তবানসি যৎ পাপং ক্ব গতস্তস্য মোক্ষ্যসে - ২২.১৫
- নীচ রাক্ষস! তুমি অমিত তেজস্বী শ্রীরামচন্দ্রের ভার্যার সঙ্গে যেরূপ পাপ বাক্য বলছো, তার ফলস্বরূপ শাস্তির থেকে কোথায় গিয়ে অব্যাহতি পাবে!
তথা দ্বিরদবদ্ রামস্ত্ত্বং নীচ শশবৎ স্মৃতঃ - ২২.১৬
- শ্রীরাম দন্তীহস্তীর ন্যায় এবং তুমি শশকের তুল্য।
স ত্বমীক্ষ্বাকুনাথং বৈ ক্ষিপন্নিহ ন লজ্জসে-২২.১৭
- ওহে! ইক্ষ্বাকুনাথ শ্রীরামের নিন্দা করতে তোমার লজ্জা হচ্ছে না!
ইমে তে নয়নে ক্রূরে বিকৃতে কৃষ্ণপিঙ্গলে। ক্ষিতৌ ন পতিতে কস্মান্মামনার্য নিরীক্ষতঃ - ২২.১৮
- ওহে রাক্ষস! আমার প্রতি কুদৃষ্টি নিক্ষেপ করার সময় তোমার ক্রূর ও বিকারগ্রস্ত কালো-হলুদ চোখ দুটো কেন মাটিতে ছিটকে পড়ে না!
তস্য ধর্মাত্মনঃ পত্নী স্নুষা দশরথস্য চ। কথং ব্যাহরতো মাং তে ন জিহ্বা পাপ শীর্যতি -২২.১৯
- আমি ধর্মপরায়ণ শ্রীরামচন্দ্রের ধর্মপত্নী ও মহারাজ দশরথের পুত্রবধূ। আমাকে পাপ বচন বলার সময় কেন তোমার জিহ্বা বিগলিত হয়ে যাচ্ছে না!
অসংদেশাত্তু রামস্য তপসশ্চানুপালনাৎ। ন ত্বাং কুর্মি দশগ্রীব ভস্ম ভস্মার্হতেজসা - ২২.২০
- দশানন রাবণ! আমার তেজোরাশি তোমাকে ভস্মীভূত করার জন্য যথেষ্ট। কেবলমাত্র শ্রীরামচন্দ্রের অনুমতি না পাওয়ায় এবং আপন তপস্যা (বনবাসধর্ম) পালনহেতু আমি তোমাকে ভস্মসাৎ করছি না।
শূরেণ ধনদভ্রাত্রা বলৈঃ সমুদিতেন চ। অপোহ্য রামং কস্মাচ্চিদ্ দারচৌর্যং ত্বয়া কৃতম্ -২২.২২
- তুমি তো নিজেকে শক্তিশালী শূরবীর মনে করছো, কুবের রাজের ভ্রাতা তুমি এবং তোমার অনেক সৈন্যবল; তবু শ্রীরামচন্দ্রকে ছলনা করে আশ্রম থেকে দূরে টেনে নিয়ে গিয়ে একাকিনী তার ভার্যাকে তুমি কেন চুরি করলে?
🖋️ अन्तु आर्य
🔎Run with #veda
মন্তব্যসমূহ