"ইতিহাসগ্রন্থ হতে ধর্মশিক্ষা" - ০৪
"ইতিহাস হতে ধর্মশিক্ষা - জুয়ায় আসক্তির পরিণাম"
ক্রীড়া আমাদের মন-শরীরের জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ। মানসিক শান্তি ও শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ক্রীড়া বা খেলাধুলা আমাদের জন্য সত্যিকার অর্থে উপযোগী মাধ্যম। সেজন্য, স্বামী বিবেকানন্দ শ্রীমদ্ভগবদগীতা পাঠের পূর্বে ফুটবল খেলার উপদেশ দিয়েছিলেন। সুস্থ দেহে সুস্থ মন গঠনে খেলাধুলার গুরুত্ব সর্বাধিক।
ক্রীড়া বিবিধ প্রকারের হয়ে থাকে। কিছু খেলা শারীরিক কসরত এর উপর ভিত্তি করে, যেমন কুস্তি, কাবাডি, সাঁতার আবার কিছু খেলা মানসিক বা বুদ্ধিভিত্তিক যেমন দাবা। কিন্তু সে ক্রীড়া সর্বদা শারীরিক বা মানসিক প্রশান্তির জন্য হয় নাহ, বরং লোভাতুর চিন্তার উপর ভিত্তি করে হয়ে থাকে। যা প্রচলিত বাংলায়, জুয়া হিসেবে স্বীকৃত। প্রাচীন সময় থেকে বর্তমান পর্যন্ত জুয়া এমন এক অবৈধ ক্রীড়া যা ব্যক্তিকে সর্বশান্ত করে দেয়। শুধু সেই ব্যক্তি বিনাশপ্রাপ্ত হয় তা নহে, বরং সে তার সম্পূর্ণ পরিবারকেও ধ্বংসের সম্মুখীন করে তোলে। জীবনের এক পর্যায়ে সে ব্যক্তি, হতাশার চরম বিষাদে নিষ্পেষিত হতে হতে বেছে নেয় আত্মহননের মতো অধর্মকে।
জুয়া খেলা সনাতন শাস্ত্র অনুসারে নিষিদ্ধ কর্ম। কিন্তু বর্তমান সময়ে সে নিষিদ্ধ সর্বগ্রাসী ক্রীড়া নবরূপে বিরাজিত এবং গোপনে কিংবা প্রকাশ্যে চলমান। যা Casino Amphitheatre হিসেবে উন্নত বিশ্বে বিদ্যমান। কিন্তু পূর্বে হোক কিংবা বর্তমানে জুয়ার পরিণতি একই, শুধুই ধ্বংস। সেজন্য, এই সর্বগ্রাসী ক্রীড়া সম্পর্কে হাজারো বছরের পূর্বের ঐতিহাসিক গ্রন্থ মহাভারতে বর্ণিত হয়েছে,
"অক্ষদ্যূতং মহাপ্রাজ্ঞ সতাং মতিবিনাশনম্।
অসতাং তত্র জায়ন্তে ভেদাশ্চ ব্যসনানি চ॥"
- মহাভারত ৫।১২৮।৬
অর্থাৎ, জুয়া খেলা ভালো মানুষের বুদ্ধিও নষ্ট করে, আর যদি দুষ্ট ব্যক্তি তাতে প্রবৃত্ত হয় তবে অত্যন্ত কলহ হয় এবং সকলের উপর সংকট ঘনিয়ে আসে।
সেজন্য, জুয়া খেলা থেকে নিজ সন্তান কিংবা ভ্রাতা-ভগিনীকে দূরে রাখী। সঠিক ধর্মশিক্ষা প্রদান করি।
"ইতিহাসগ্রন্থ হতে ধর্মশিক্ষা" - ০৪
🔎 Run with #veda #krishna
মন্তব্যসমূহ