নমস্কার সকল অমৃতের সন্তানদের কে।ঈশ্বরের কৃপায় আশাকরি সবাই ভালো আছেন।আজকের আলোচ্য বিষয় "সনাতন ধর্ম ও নারী"।আজকে আমরা জানবো সনাতন ধর্মে অর্থাৎ পবিত্র বেদাদি শাস্ত্রে নারীদের নিয়ে কি বলা হয়েছে।
পবিত্র বেদের শান্তি মন্ত্র পাঠের মধ্য দিয়ে আলোচনা আরম্ভ করছি।
💠অথ শান্তি মন্ত্র
ও৩ম্ দ্যৌঃ শান্তিরন্তরিক্ষং শান্তিঃ পৃথিবী শান্তিরাপঃ শান্তিরোষধয়ঃ শান্তি। বনস্পতয়ঃ শান্তিবির্শ্বে দেবাঃ শান্তিবর্হ্ম শান্তিঃ সৰ্ব্বং শান্তিঃ শান্তিরেব শান্তিঃ সামা শান্তিরেধি।
[যজুর্বেদ-৩৬/১৭]
বঙ্গানুবাদ -দ্যুলোক,, অন্তরিক্ষলােক ও পৃথিবীলোক শান্তিময় হউক। জল, ঔষধি ও বনস্পতি শান্তিময় হউক। সব বিদ্বান, বেদপাঠ এবং যাহা কিছু, সবই শান্তিময় হউক। সর্বত্র শান্তিময় হউক। সেই শান্তি আমি যেন প্রাপ্ত হই।
ও৩ম্ শান্তি শান্তি শান্তিঃ।।
💠বর্তমানে আমরা অধিকাংশ পরিবারে দেখতে পাই যে তারা নারীদের পুরুষের অধীনস্থ করে রাখে।অর্থাৎ তাদের ভাষ্য মতে স্ত্রীদের কাজই হচ্ছে স্বামীর আজ্ঞা পালন করা,স্বামীর সেবা করা,স্বামীর নির্দেশ অনুযায়ী পরিবার চালনা করা।কিন্তু আপনারা জানেন কি পবিত্র বেদ এই ব্যাপারে আমাদের সম্পূর্ণ উলটো কথা বলছে👇
অহং কেতুরহং মূর্ধাহমুগ্ৰা বিবাচনী । মমেদনু ত্রুতুং পতিঃ সেহানায়া উপাচরেৎ ॥
ঋগ্বেদ ১০।১৫৯৷২৷
বঙ্গানুবাদ :আমি জ্ঞানবতী, গৃহে মুখ্যস্থানীয়া ধৈৰ্য্য শালিনী, বক্তৃতাকারিণী ও শত্রুনাশিনী। আমার পতি আমার অনুকূলে থাকিয়া গৃহকর্ম সম্পাদন করুন।
অর্থাৎ নারীকেই বলা হচ্ছে গৃহের মুখ্য।।স্বামী স্ত্রীর অনূকূলে থেকে কর্ম করবে।
💠চলুন এখন আরেকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যাক।আমরা বর্তমান সমাজে দেখতে পাই যে নারীদের কে পুরুষদের তুলনায় ছোট করে দেখা হয়।অর্থাৎ জ্ঞানে,বুদ্ধি তে নাকি পুরুষদের তুলনায় স্ত্রীরা পিছিয়ে।আসুন দেখে আসি এই ব্যাপারে পবিত্র বেদ কি বলে।
হে স্বামিন ! আমি যেরূপ জ্ঞানী, তুমিও সেইরূপ জ্ঞানী। আমি সাম মন্ত্ৰ, তুমি ঋক্ মন্ত্ৰ। আমি দ্যুলোক, তুমি ভুলোক। আমরা উভয়ে এই ভাবে একত্রে মিলিত হইব এবং সন্তানোৎপাদন করিব।
[অথর্ববেদ-১৪/২/৭১]
অর্থাৎ এই মন্ত্র অনুযায়ী স্বামী ও স্ত্রী সম জ্ঞানী।এরকম সাম্যতা শুধু বৈদিক সনাতন ধর্মেই রয়েছে।
💠আরেকটা ব্যাপার আমরা সমাজে দেখতে পাই যে স্বামীরা প্রায়শই স্ত্রী দের কে শাসন ও মারধর করে; যা সনাতন ধর্ম ব্যাতিত সকল রিলিজিয়নেই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।দেখে নেওয়া যাক এ ব্যাপারে পবিত্র বেদ কি বলে👇
নারীর মন শাসনের অযোগ্য কারণ নারীর প্রজ্ঞা সর্বদা গতিশীল। এজন্য স্বামীর কখনই তাঁর স্ত্রীর জ্ঞান বা প্রজ্ঞাকে ছোট করে মনকে শাসন করা উচিত নয়।
[ঋগ্বেদ ৮/৩৩/১৭]
এই মন্ত্রে স্পষ্টই বলা হয়েছে নারীর মন শাসনের অযোগ্য।নারীদের প্রতি এরকম সম্মান সনাতন ধর্মেই শুধুমাত্র রয়েছে।
💠এবার আসা যাক নারীদের বেদাধিকার নিয়ে।পবিত্র বেদে নারী পুরুষ উভয়েরই সম অধিকার রয়েছে।যজুর্বেদ-২৬/২ মন্ত্র টি দ্বারা যা সিদ্ধ হয়।দেখে নেওয়া যাক মন্ত্রটি-
যথেমাং বাচং কল্যাণীমাবদানি জনেভ্যঃ।
ব্রহ্মরাজন্যাভ্যাং শূদ্রায় চার্যায় চ স্বায় চারণায় চ।
প্রিয়ো দেবানাং দক্ষিণায়ৈ দাতুরিহ ভূয়াসময়ং মে কামঃ সমৃধ্যতামুপ মাদো নমতু।।
বঙ্গানুবাদঃ হে মনুষ্য আমি যেমনে ব্রাহ্মণ,ক্ষত্রিয়,বৈশ্য,শুদ্র স্বীয় স্ত্রী ও সেবকাদি এবং অন্যান্য সকল মনুষ্যকেই যেমন আমি এই মঙ্গলদায়িনী বেদবাণীর উপদেশ দান করিয়াছি,তোমরা সেইরুপ কর।যেমন বেদবাণী উপদেশ করিয়া আমি বিদ্বানদের প্রিয় হইয়াছি তোমরাও হও।দানের জন্য আমি এই সংসারের দানশীল পুরুষদের যেমন প্রিয় হইয়াছি তোমরাও সেইরুপ হও ।আমার ইচ্ছা বেদ বিদ্যার প্রচার বৃদ্ধি হউক।আমার মধ্যে যেমন সর্ববিদ্যাহেতু সুখ রহিয়াছে তোমরাও সেইরুপ বিদ্যা গ্রহণ ও প্রচার দ্বারা মোক্ষ সুখ লাভ কর।
এছাড়া আপনারা জানেন কি লোপামুদ্রা,বাক,মৈত্রীয়,গার্গী,পৌলমি,জুহু,শ্রদ্ধা,ঊর্বশী সহ মোট ৩০ জন বেদের মন্ত্র দ্রষ্টা ঋষি রয়েছে।
💠নারী বিদ্বেষী গণ যখন বলেন বেদে নারীদের অধিকার নেই তখন তারা একটি অপ যুক্তি দিয়ে থাকে।তারা বলে যে নারীরা নাকি অল্পবুদ্ধি সম্পন্না যার জন্য তারা বেদ পাঠ করতে পারবে না।এই ব্যাপারে পবিত্র বেদ মোটেও সহমত নয়।যার প্রমাণ মিলবে নিচের মন্ত্র হতে।
নারী হলো জ্ঞানের ধারক।
[অথর্ববেদ-৭/৪৭/২]
নারী যদি জ্ঞানের ধারক হয় তবে কি করে তারা অল্পবুদ্ধিসম্পন্ন হতে পারে?সূতরাং নারী বিদ্বেষীদের এই অপযুক্তি খন্ডিত হলো।
💠অনেকে বলে নারীদের নাকি যজ্ঞপবীত ধারণের অধিকার নেই।কিন্তু পবিত্র বেদ নারীদের উপনয়ন ও যজ্ঞপবীত ধারণ করার অধিকার দিয়েছে।
"ব্রহ্মচর্য়েণ কন্যা৩ য়ুবনং বিন্দতে পতিম্"
(অথর্ববেদ ১১।৫।১৮)
📖অনুবাদ-ব্রহ্মচর্য অবলম্বন করিবার পর (বেদাদিশাস্ত্র অধ্যয়ন পূর্বক বিদ্যা লাভ করিয়া) কুমারী কন্যা যৌবনকালে বিদ্বান পতিকে লাভ করিবে।
ব্রহ্মচর্য পালনের পূর্বশর্ত হচ্ছে উপনয়ন সংস্কার বা গায়ত্রী মন্ত্র দিক্ষিত হয়ে যজ্ঞোপবীত বা পৈতা ধারন করা। সুতারং বেদ অনুযায়ী নারীদের যজ্ঞোপবীত বা পৈতা ধারনে পূর্ণ অধিকার রয়েছে।
প্রাবৃতাং য়জ্ঞোপবীতিনীমম্যুদানয়ন জপেৎ।
সোমোহদদদ গন্ধর্বায়েতি।।
(গোভিল গৃহ্যসূত্র ২.১.১৯)
📖 অনুবাদ- সুবস্ত্রশোভিতা (য়জ্ঞোপবীতিনীম) যজ্ঞোপবীত
পরিহিতা কন্যাকে দান করিয়া সোমদদদ মন্ত্র জপ করিবে।
সকল কুমারী কন্যার উচিত বেদজ্ঞ আচার্য্যের নিকট উপনয়ন নিয়ে যজ্ঞোপবীত বা পৈতা ধারণ করা এবং ব্রহ্মচর্য পালন করা।
পবিত্র বেদ স্বামী ও স্ত্রী কে একই সঙ্গে যজ্ঞ করার আদেশ দিয়েছে।
যা দম্পতী সমনসা সুনুত আ চ ধাবতঃ।দেবাসো নিত্যয়াহশিরা।।
[ঋগ্বেদ-৮/৩১/৫]
হে বিদ্বান্ গণ! যে পত্নী ও পতি একসঙ্গে একমনে যজ্ঞ করে। উপাসনা দ্বারা যাহাদের মন পরমাত্মার দিকে ধাবমান হয় তাহারা নিত্য পরমাত্মার আশ্রয়েই সব কার্য্য করে।
যারা বলে নারীদের পৌরহিত্যের অধিকার নেই, সেইসব দূর্বল মস্তিষ্কের মানুষদের দাবী সম্পূর্ণ রূপে খন্ডিত হইলো।
💠 আসা যাক আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ টপিকে।আমাদের সমাজে আরেকটা বড় কুসংস্কার রয়েছে।পিরিয়ড অথবা ঋতুকালীন নারীরা নাকি অপবিত্র থাকে।এ-সময় নাকি নারীরা পূজা করতে পারবে না,ঠাকুর ঘরে ঢুকতে পারবে না,রান্না করতে পারবে না।কিন্তু আমরা কি ভেবে দেখেছি এই ব্যাপারে শাস্ত্রের অভিমত কি?
বশিষ্ঠ ধর্ম সূত্রের ২৮/৪ এ নিয়ে বলা হয়েছে-
নারীদের একটা অন্য ধরনের পবিত্রতা আছে। তারা কখনোই পুরোপুরি অপবিত্র হন না। মাসে মাসে কিছুদিনের অস্থায়ী অশৌচাবস্থা তাদের মনের পাপ ধুয়েমুছে দেয়।
[বশিষ্ট ধর্মসূত্র-২৮/৪]
অর্থাৎ নারীরা সর্বদা পবিত্র।
নারীদের পবিত্রতার বিষয়ে আরও কয়েকটি শাস্ত্রীয় রেফারেন্স দেওয়া হলো-
নারী শুভ্রময়ী
[অথর্ববেদ-১১/১/১৭]
নারীরা সবসময় কলুষতা থেকে মুক্ত।
[বশিষ্ট ধর্মসূত্র ২৮.৬]
নারী জাতির সকল অঙ্গ শুদ্ধ।
[বশিষ্ট ধর্মসূত্র ২৮.৯]
নারীজাতির পবিত্রতা নিয়ে যাজ্ঞবল্ক্য স্মৃতির একটি অসাধারণ শ্লোক-
সােমঃ শৌচং দদৌ তাসাং গন্ধর্বাশ্চ শুভং গিরম্। পাবকঃ সর্ব্বমেধ্যত্বং মেধ্যা বৈ যােষিতো হ্যতঃ।।
(যাজ্ঞবল্ক্য স্মৃতি ১/৭১)
স্ত্রীদিগকে চন্দ্র শৌচ প্রদান করিয়াছেন; গন্ধর্ব মধুরভাষিতা দিয়াছেন এবং পাবক সমস্ত বস্তু অপেক্ষা পবিত্র করিয়াছেন; অতএব স্ত্রীগণ পবিত্র।
💠যেইসব পরিবারে নারীদের সম্মান দেওয়া হয় সেইসব পরিবারে নিয়ে সনাতন ধর্মের কি বিধান? জানবো মহর্ষি মনুর বচন হতে-
যত্র নার্য্যস্তু পূজ্যন্তে রমন্তে তত্র দেবতাঃ।
যত্রৈতাস্তু ন পূজ্যন্তে সর্বাস্তত্রাফলাঃ ক্রিয়াঃ।।
[মনুসংহিতা-৩/৫৬]
সরলার্থঃ যে বংশে নারীর পূজা অর্থাৎ সৎকার হয় সে বংশে দিব্যগুণ অর্থাৎ দিব্য ভোগ ও উত্তম সন্তান উৎপন্ন হয় এবং যে বংশে নারীর সৎকার হয় না সে বংশের সকল কর্ম নিষ্ফল বলে জানবে।
এমনকি মনুসংহিতায় এ-ও বলা হয়েছে যে পরিবারে নারীরা দুঃখিনী হয় সেই পরিবার ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়।
যে বংশে ভগিনী ও গৃহস্থের স্ত্রী (নারীকূল) পুরুষদের কৃতকর্মের জন্য দুঃখিনী হয়, সেই বংশ অতি শীঘ্র ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। আর যে বংশে স্ত্রীলোকেরা সন্তুষ্ট থাকে, সেই বংশ নিশ্চিতভাবেই শ্রীবৃদ্ধি লাভ করে।
[মনুসংহিতা ৩/৫৭]
নারীই হচ্ছে সুখের মূল কারণ।এটিও মহর্ষি মনুর বচন।
প্রজন্ম থেকে প্রজন্মোন্তরে স্ত্রীরাই সকল সুখের মূল। কারণ, সন্তান উৎপাদন, ধর্ম পালন, পরিবারের পরিচর্যা, দাম্পত্য শান্তি এসব কাজ নারীদের দ্বারাই নিষ্পন্ন হয়ে থাকে।
[মনুসংহিতা-৯/২৮]
💠দেখে নেওয়া যাক আরও কিছু অসাধারণ মন্ত্র যেখানে নারীর প্রতি পূর্ণ সম্মান প্রদর্শিত হয়েছে-
নারীর যেনো কোনো দুঃখ কষ্ট না হয়।
[অথর্ববেদ -১২/২/৩১]
একজন নারীর কখনো যেনো সতীন না থাকে।
[অথর্ববেদ- ৩/১৮/২]
নারীকে উপহার হিসেবে জ্ঞান দাও।
[অথর্ববেদ-১৪/১/৬]
নারী হলো কল্যান কারিণী,গৃহের শোভাবর্ধনকারীণী।
[ অথর্ববেদ-১৪/২/২৬ ]
💠 এবার বিধবা বিবাহ প্রসঙ্গ।পবিত্র বেদে বিধবা বিবাহেরও অনুমোদন রয়েছে-
উদীষর্ব নার্ষ্যভি জীবলোকং গতাসুমেতমুপশেষ এহি।
হস্তাগ্রাভস্য দিধিষোস্তবেদং পত্যুর্জনিত্বমভি সংবভুব।
[ঋগ্বেদ-১০/১৮/৮]
বঙ্গানুবাদঃ হে স্ত্রী! তুমি এই মৃত পতির পার্শ্বে কেন শয়ন করিয়া আছ। ওখান হইতে উঠিয়া জীবিত মনুষ্যদের নিকটে এখানে এস। তোমার পাণি গ্রহণকারী পতির সঙ্গে সেই পত্নীত্ব টুকুই জন্মিল।
ইয়ং নারী পতি লোকং বৃণানা নিপদ্যত উপত্ব্য মর্ন্ত্য প্রেতম্।ধর্মং পুরাণমনু পালয়ন্তী তস্ম্যৈ প্রজাং দ্রবিণং চেহ ধেহি।।
[অথর্ব্ববেদ-১৮/৩১]
বঙ্গানুবাদঃ হে মনুষ্য! এই স্ত্রী পুনর্বিবাহের আকাঙ্ক্ষা করিয়া মৃত পতির পরে তোমার নিকট আসিয়াছে। সে সনাতন ধর্মের পালয়িত্রী। তাহার জন্য ইহলোকে সন্তান ও ধন দান কর।
এবার আপনাদেএ পরিচয় করাবো একটি বিখ্যাত শ্লোকের সাথে, যার দ্বারা ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর বিধবা বিবাহ আইন পাশ করাতে সমর্থ হয়েছিলেন।
নষ্টে মৃতে প্রব্রজিতে ক্লীবে চ পতিতে পতৌ।
পঞ্চস্বাপৎসু নারীণাং পতিরন্যো বিধীয়তে।।”
(পরাশর সংহিতা ৪/২৭)
অনুবাদঃপতি নিরুদ্দেশ হলে, মৃত হলে, সন্যাস গ্রহন করলে, ক্লীব হলে বা পতিত হলে। নারীদিগের এই পঞ্চপ্রকার আপৎকালে অন্য পতি গ্রহন করা উচিত।
এরকম অসংখ্য মন্ত্র ও শ্লোক রয়েছে আমাদের শাস্ত্রে যেগুলোতে গাওয়া হয়েছে নারীর জয়গান।পরবর্তী দিন গুলোতে এই বিষয় নিয়ে আরও আলোচনা করা যাবে।আজকের মতো আলোচনা এখানেই শেষ।ঈশ্বরের আশীর্বাদে আশাকরি সবাই সুস্থ থাকবেন।নমস্কার।
ও৩ম্ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ🙏