আমাদের প্রধান ধর্ম গ্রন্থ বেদ, সেই বেদ এর মন্ত্র সকলের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া আমাদের প্রধান কর্তব্য।
🍂"মনুর্ভব জনয়া দৈবং জনম্"🍂
🍂 প্রকৃত মানুষ হও এবং অন্যকে মানুষ হিসেবে গড়ে তোল।🍂
🙏নমস্কার🙏 নারী ও তার মর্যাদা বর্তমান সমাজে সব থেকে আলোচিত বিষয়। বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় নারী অনেক ক্ষেত্রে তার অধিকার ও প্রাপ্য সম্মান থেকে বঞ্চিত। বহু মতবাদে বিভক্ত এ পৃথিবীর মানব সমাজ বহু আদর্শে নারীকে ভূষিত করে। কিন্তু নারীর অধিকার ও মর্যাদা প্রদানে পবিত্র বেদই সর্বশ্রেষ্ঠ। কেননা বেদই ধর্মের মূল এবং অপুরুষেয় গ্রন্থ। 📖 নারীর অধিকার বিষয়ে পবিত্র বেদ ও স্মৃতির প্রমাণ সমূহ: 🪔🌿 কল্যাণ ও মঙ্গলের প্রতীক: ✍️ "কেতুরহং মূর্ধাহমুগ্রা বিবাচনী, মমেদনু ক্রতুং পতিঃ সেহানায়া " - ঋগ্বেদ- ১০/১৫৯/২ অর্থাৎ, নারী জ্ঞানবতী, গৃহে মূখ্য স্থানীয়া ধৈর্য্য শালিনী, বক্তৃতাকারিনী ও শত্রুনাশিনী। ✍️ "পুরুষেভ্যো গোভ্যো অশ্বেভ্যঃ শিবা" -অথর্ববেদ--৩/২৮/৩ অর্থাৎ, তারা সর্বভূতের কল্যণদায়িনী, সর্ববিজয়া। 🪔🌿 নারীর প্রতি মর্যাদা : ✍️ "য়ত্র নার্য়্যস্ত পূজ্যন্তে রমন্তে তত্র দেবতাঃ। য়ত্রৈতাস্তু ন পূজ্যন্তে সর্বাস্তত্রাফলাঃ ক্রিয়াঃ"।। - মনুস্মৃতি ৩/৫৬ অর্থাৎ, যেখানে নারীদের যথাযথ শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করা হয়, সে সমাজ দিব্য গুণ তথা দিব্য ভোগ...
সনাতন ধর্মে কি গোমূত্র পানের উল্লেখ রয়েছে ⁉️ 📌 সনাতন ধর্ম সত্য ও দিব্য। ধর্মশাস্ত্রে মানব কল্যাণের জন্য বহুবিধ ক্রিয়াকর্ম এবং কর্তব্যের বিধান রয়েছে। যা একজন মনুষ্যকে অন্ধকার থেকে অমৃতে এবং সদা ধর্মে অটল রাখতে সক্ষমতা প্রদান করে। সেজন্য, সনাতন শাস্ত্রে অযৌক্তিক, অসত্য কিংবা অন্যায্য কোনো বাক্য ও নির্দেশনা নেই। 📌 তবে আমাদের অজ্ঞতা এবং শাস্ত্রবিমুখতার কারণে সমাজে ধীরে ধীরে গেড়ে বসে কতিপয় কুসংস্কার, কুপ্রথা। যা আমাদের অজ্ঞানতা কিংবা সংশয় হতে সৃষ্ট। তবে সে কুসংস্কার দূরীকরণে সনাতনের প্রাণপুরুষেরা প্রতিবারই এগিয়ে আসেন। যেরূপ সতীদাহপ্রথা নির্মূলে এগিয়ে আসেন রাজা রামমোহন রায়, বিধবাবিবাহ চালু করণে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, নারী বেদ অধিকার প্রতিষ্ঠায় মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী, হিন্দু জাগরণে স্বামী বিবেকানন্দ। বহু কুসংস্কার দূরীকরণ হয়েছে, তবুও কিছু সংশয় এখনো বিদ্যমান৷ যার প্রভাব আমাদের সনাতনী ভ্রাতা-ভগিনীদের উপর বিদ্যমান। যদিও আধুনিক প্রগতিশীলতা এবং শাস্ত্র চর্চার ফলে সকলে সচেতন হচ্ছে। কিন্তু কতিপয় সনাতন বিদ্বেষী সনাতনীদের অজ্ঞানতা সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন মিথ্যা তথ্য প্রচার করছে প্রতিনিয়ত। এরুপই এক ...
▫️একাদশী" কি শাস্ত্র সম্মত ❓ ▫️একাদশীর উৎপত্তি:- 🔸 শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু তাঁর লীলাবিলাসের প্রথম থেকেই একাদশীর উপবাসের প্রথা প্রবর্তন করেছিলেন। শ্রীল জীব গোস্বামী তাঁর ভক্তিসন্দত গ্রন্থে স্কন্দ পুরাণের একটি উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন, "যে-মানুষ একাদশীর দিন শস্যদানা গ্রহণ করে, সে তার পিতা, মাতা ভাই এবং শুরু হত্যাকারী , এবং সে যদি বৈকুণ্ঠলোকেও উন্নীত হয়, তবুও তার অধঃপতন হয়। একাদশীর দিন শ্রীবিষ্ণুর জন্য সব কিছু রন্ধন করা হয়, "এমন কি অন্ন এবং ডালও, কিন্তু শাস্ত্রে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, সেদিন বৈষ্ণবদের বিষ্ণুর প্রসাদ পর্যন্ত গ্রহন করা উচিত নয়। সেই প্রসাদ পরের দিন গ্রহণ করার জন্য রেখে দেওয়া যেতে পারে। একাদশীর দিন কোন রকম শস্যদানা এমন কি অন্ন-তা যদি বিষ্ণুপ্রসাদও হয়, তবুও তা গ্রহণ করতে কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে। বিধবা না হলেও শাস্ত্র অনুসারে একাদশীর ব্রত পালন করার প্রথা শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু প্রবর্তন করেছিলেন (দ্রষ্টব্য- শ্রীচৈতন্যচরিতামৃত', আদিলীলা, ১৫/৮-১০) উল্লেখ করেছেন:- শ্রীল প্রভুপাদ । ▫️ একাদশী নিয়ে উল্লেখ রয়েছে:- বিষ্ণু সংহিতা ৪৯/...
মন্তব্যসমূহ