পোস্টগুলি

ফেব্রুয়ারী, ২০২৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

।। বেদ কেন প্রধান ধর্মগ্রন্থ ❓||কলিযুগে অপৌরুষেয় পবিত্র বেদ মাহাত্ম্য৷

ছবি
🌿নমস্কার সকল অমৃতের সন্তানদের কে।🙏 ▪️ঈশ্বরের কৃপায় আশাকরি সবাই ভালো আছেন।আজকের আলোচ্য বিষয় " বেদ কেন প্রধান ধর্মগ্রন্থ "। আজকে আমরা জানবো বিভিন্ন শাস্ত্রে পবিত্র বেদ নিয়ে কি বলা হয়েছে।♥ 🔷 সনাতনধর্মের মূল বা প্রধাণ ধর্মগ্রন্থ কি তা আমাদের প্রাচীন মুনি-ঋষিরা স্পষ্টত উল্লেখ করে গিয়েছেন। প্রথমেই দেখবো মনুসংহিতায় বেদ নিয়ে কি বলা হয়েছে। 🚩 "বেদোহখিলো ধর্মমূলম্।" (মনু০ ২।৬) অর্থাৎ বেদই সমস্ত  ধর্মের মূল। . 🚩" ধর্ম জিজ্ঞাসমানানাং প্রমাণং পরমং শ্রুতিঃ।।" ----(মনু০ ২।১৩ )---- অর্থাৎ যে ধর্মের বিষয়ে জ্ঞান প্রাপ্ত করতে চায় তাহার জন্য বেদই মূখ্য প্রমাণ। 🚩 বিভর্তি সর্বভূতানি বেদশাস্ত্রং সনাতনম্। তস্মদেতৎপরং মন্যে যজ্ঞন্তোরস্য সাধনম্।। (মনু০ ১২।৯৯) অর্থাৎ সনাতন বেদশাস্ত্র সম্পূর্ণ জীবের সর্বদা ধারণ তথা পোষণ করেন এইজন্য ইহা প্রাণীবর্গের পরম সাধন। 🔶এবার দেখে নেব অত্রি সংহিতায় বেদ নিয়ে কি বলা হয়েছে। ⚜️সন্তানের জন্য মায়ের চেয়ে বড় যেমন কোন শিক্ষক নেই তেমনি কোন ব্যাক্তির জন্য বেদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ অার কোন গ্রন্থ নাই। ---(অত্রি সংহিতা ১৫১)-- 💠 শ্রুতি=বেদ এবং স্ম...

▪️মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী ২০০তম জন্ম জয়ন্তী উপলক্ষে আলোচনা:-

ছবি
➡️ মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী ২০০তম জন্ম জয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনার সারসংক্ষেপ:- 🌼 নমস্কার সকল অমৃতের সন্তানগণ "আধুনিক ভারতের মহান পথপ্রদর্শক স্বামী দয়ানন্দের প্রতি আমার প্রজন্ম হতে শ্রদ্ধা জানাই, যিনি ধর্ম ও প্রথার বিভ্রান্তিকর জটিলতার মধ্য থেকে আমাদের দেশের অধঃপতিত দিনগুলোকে আলোকিত  করেছিলেন যা একটি সরল পথের দিকে নিয়ে যাওয়ায় তার উদ্দেশ্যে ছিল।" - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর,শান্তিনিকেতন 🌿 🌼✍️মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতীর আদর্শ এবং শিক্ষা এমনই ছিলো যে তা মহাত্মা গান্ধী থেকে A. David Jackson, USA পর্যন্ত সকল বিদ্বান ব্যক্তিই তার আদর্শের প্রতি সম্মান জানাতে ছিলেন তৎপর।  আধুনিক ভারতের ঋষি খ্যাত মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী   ছিলেন ভারত গড়ার পুরোধা ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম। তিনি তৎকালীন কুসংস্কারাচ্ছন্ন, যুক্তিবোধহীন সনাতনী সমাজকে এক নতুন দিশা দিয়েছিলেন। ভারত যখন ইংরেজ শাসন বিধস্ত তখন আলোর মশাল নিয়ে সকলকে স্বরাজে স্বপ্ন দেখানো ব্যক্তি মহর্ষি। একজন ঋষি কিভাবে পুরো পরাধীন জাতিকে স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখিয়েছেন তা সত্যি গবেষণার বিষয়। সনাতনী সমাজকে উদ্বুদ্ধ করতে তিনি বলেন,  “ তো...

শরীরে আত্মার নিবাসস্থান ||

ছবি
আত্মার নিবাসস্থান:-                    📚বেদ-প্রতিপাদিত‌📚                 "শরীরে‌ আত্মার নিবাস‌-স্থান" যে‌ ব্যক্তি আত্মাকে উৎপত্তিবিনাশধর্মী মানেন, অর্থাৎ শরীর ব্যতীত অন্য কোনো নিত্য‌ পদার্থকে স্বীকার‌ করেনা, [দ্র০–পুরাতন চার্বাক মতানুযায়ী এবং আধুনিক বিকাসবাদী] তার‌ মনে এই প্রশ্ন‌ই উৎপন্ন হয় না যে‌, আত্মা শরীরের কোন স্থানে নিবাস করে ? তদ্রূপ যে‌ আত্মাকে শরীর‌ হইতে পৃথক নিত্য‌ মেনে‌ও তাকে সর্বব্যাপক বলে মান্য করে, [দ্র০–নৈয়ায়িক আদি দার্শনিক] তার মনেও এই প্রশ্ন উৎপন্ন হয় না। এই প্রশ্ন‌ তো কেবল‌ তার মনেই উৎপন্ন হয়, যে‌  আত্মাকে শরীর হইতে পৃথক নিত্য‌ পদার্থ মেনে তাকে অণু‌, পরমাণু‌ বা পরিচ্ছিন্ন পরিমাণশীল মানেন ।                       "তিন মত" আত্মার শরীরে অবস্থান বিষয়ে‌ তিনটি মত প্রচলিত রয়েছে। কেহ...

প্রাচীন ভারতের ব্যাটারি আবিষ্কার। ঋষি অগস্ত্য

ছবি
নমস্কার।  আমরা "অগস্ত্য যাত্রা" প্রবাদ বাক্যের সাথে খুবই পরিচিত। এর অর্থ, শেষ যাত্রা। অগাস্ত্য মুনির শেষ যাত্রা সম্পর্কে বিভিন্ন আলোচনা হলেও তার রচিত অগস্ত্য সংহিতা নিয়ে আলোচনা খুবই ক্ষীণ। তবে ঋষি অগাস্ত্য কতৃক প্রণীত এ মহান গ্রন্থ এবং আধুনিক বিজ্ঞানের মধ্যে এক সম্পর্ক রয়েছে। যা বর্তমান সময়ে এসেও লোকচক্ষুর আড়ালে রয়ে গেছে।  তাই আজকে আমরা আলোচনা করবো ঋষি অগস্ত্য এবং তার প্রণীত অগস্ত্য সংহিতায় আধুনিক ব্যাটারি আবিষ্কার এর তত্ত্বের উপস্থিতি।  আমরা সকলে বর্তমান সময়ে জ্ঞান বিজ্ঞান এর প্রসারের ফলে জানি যে, ইতালীয় পদার্থবিজ্ঞানী, আলেসান্দ্রো ভোল্টা ব্যাটারী বা বিদ্যুৎ কোষ  আবিষ্কার করেন। যা সকল মহল কতৃক স্বীকৃত একটি সত্য। কিন্তু আলেসান্দ্রো ভোল্টা এর বহু পূর্বে ঋষি অগস্ত্য কতৃক তার অগস্ত্য সংহিতায় ব্যাটারী তৈরির ফর্মুলা প্রদান করেন।  অগস্ত্য সংহিতা ও বৈদ্যুতিক ব্যাটারী:-  সংস্থপ্য মৃন্ময় পাত্রে তাম্রপাত্রম সুসংস্কৃতম ছদ্যে শিখিগ্রিবেন, ছরদ্রবিহ, কাষ্ঠপমসুবিহ। দস্থালস্থ নিধত্যহ পর্দাচ্ছদিতস্থহ সন্যােগজ্জতে তেজ মিত্রবরুণসংগ্যিতম। - অগস্ত্য সংহিতা 📖🌿 অর্...