পোস্টগুলি

মে, ২০২৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

▫️গরু ও গোমাংস সম্পর্কে সনাতন ধর্মের মতামত কী ❓

ছবি
▫️গরু ও গোমাংস সম্পর্কে সনাতন ধর্মের  মতামত কী ❓ 🔸 উত্তর : পৃথিবীর উপকারী প্রাণীর মধ্যে গরু অন্যতম। বৈদিক ঋষিগণ এই মহৎ প্রাণীকে হত্যা ও ভক্ষণ করা থেকে সর্বদা বিরত থাকতে বলেছেন। কিন্তু বর্তমান একটি শ্রেণি প্রচার করে যে বেদ গোমাংস ভক্ষণের অধিকার দিয়েছে। এই ভুল ধারণার পেছনে রয়েছে বেদের ভুল অনুবাদ। 'গো' শব্দটি দ্বারা সংস্কৃতে বিভিন্ন অর্থ বুঝায়। ✅ গো শব্দের অর্থ :- গো (সংস্কৃত, গম+ও) গোরু, গরু (সংস্কৃত, গরূপ)। অর্থ হলোঃ— জ্ঞান, ঐশ্বর্য, ধনু, গাভি, ষাঁড়, বৃষ, নিরেট বোকা, মূর্খ প্রভৃতি। গো (বিশেষ্য পদ) গরু, গো-জাতি, পশু, স্বর্গ, রশ্মি, চন্দ্র, চক্ষু গোচর, পৃথিবী, জল, গৃহ,  গোপতি। গো মানে সর্বদা গরু অনুবাদ করাতে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে যা পুঁজি করে এক শ্রেণির মানুষ মিথ্যা প্রপোগান্ডা চালাচ্ছে। অনেক হিন্দুধর্মবিদ বলে থাকেন যে এক সময় গোমাংস খাওয়া হতো পরে নিষিদ্ধ করা হয় কিন্তু এটা চরম ভুল ধারণা  নিচের সূত্রগুলো দেখলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে বলে আশা করি- প্র নু বোচং চিকিতুষে জনায়, মা গামনাগা মদিতিং বধিষ্ট ॥ ✅ঋগ্বেদ, ৮/১০১/১৫ অনুবাদ : পরমেশ্বর উপদেশ দিচ্ছেন...

ভগবান কে ❓

ছবি
ভগবান কে ⁉️ ভগবানঃ 'ভগ' শব্দের অর্থ ছয়টি ঐশ্বর্য(ষড়ৈশ্বর্য) এবং 'বান' শব্দের অর্থ যুক্ত বা সমন্বিত। বিষ্ণু পুরাণ মতে (৬.৫.৭৯), যিনি পরম ঐশ্বর্য, বীর্য, যশ, শ্রী, জ্ঞান ও বৈরাগ্য এই ছয় গুনযুক্তা তিনিই ভগবান। অর্থাৎ যে পুরুষদের মাঝে সমগ্র ঐশ্বর্য, সমগ্র বীর্য, সমগ্র যশ, শ্রী, জ্ঞান ও বৈরাগ্য পাওয়া যায় তার নামের পূর্বেই ভগবান শব্দটি উল্লেখ করা যাবে। মহাভারতে বিভিন্ন ঋষী এবং মহাপুরুষদের নামের পূর্বে ভগবান শব্দের উল্লেখ রয়েছে। এছাড়া সংস্কৃত অভিধানে “ভগবান” এর “ভগ” শব্দের অর্থ – Fortune, Wealthy, Prosperity, Blessed. যেখানে – Fortune= শ্রী Wealthy= ঐশ্বর্য Prosperity= বীর্য+যশ Blessed= জ্ঞান+বৈরাগ্য অথ্যাৎ তিনিই ভগবান যিনি মানব কল্যাণের জন্য – শ্রী দাতা, সকল ঐশ্বর্য দাতা, সকল প্রকার জ্ঞান দাতা, সকল প্রকার বীর্য ও যশ দাতা, যিনি সর্বদা ভোগ বিষয়ে অনাসক্ত(বৈরাগ্য) তিনিই ভগবান। প্রচারে: VEDA

What should be remembered at the time of death❓

ছবি
🔥 নমস্কার 🔥 প্রতিটি ব্যক্তির জীবনে মৃত্যু একটি চিরন্তন সত্য। এই নশ্বর দেহের যেমন সৃষ্টি হয়েছে তেমনি প্রকৃতি নিয়ম অনুসারে জীবাত্মা এই দেহ ত্যাগ করে নতুন দেহে প্রবেশ করবে। সেজন্য শ্রীমদ্ভগবদগীতায় যোগেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন,  "জাতস্য হি ধ্রুবো মৃত্যুর্ধ্রুবং জন্ম মৃতস্য চ।  তস্মাদপরিহার্যেহর্থে ন ত্বং শোচিতুমর্হসি"।। =[] গীতা: ২/২৭ []=  অনুবাদ: যার জন্ম হয়েছে তার মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী এবং যার মৃত্যু হয়েছে তার জন্মও অবশ্যম্ভাবী। অতএব অপরিহার্য কর্তব্য সম্পাদন করার সময় তোমার শোক করা উচিত নয়। কিন্তু জীবাত্মা শরীর ত্যাগের সময় কি উচ্চারণ করা উচিত? ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কি বলেছেন এ বিষয়ে? বহু মতে বিভক্ত সমাজে বহু মতের প্রচার। একেক মত খন্ডন করে আরেক মতকে। কিন্তু শ্রীমদ্ভগবদগীতায় বেদজ্ঞ ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন পবিত্র বেদ এরই কথা। মৃত্যুর সময় যোগেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন পরমাত্মার শ্রেষ্ঠ নাম ॐ স্মরণ করতে।  "সর্ব্বদ্বারাণি সংযম্য মনো হৃদি নিরুধ্য চ। মুর্দ্ধ্ন্যাধায়াত্মনঃ প্রাণমাস্থিতো যোগধারণাম্।।১২ ওমিত্যেকাক্ষরং ব্রহ্ম ব্যাহরন্ মামনুস্মরন্। যো প্রয়াতি ত্যজন্ দেহং স...

▪️একাদশী" কি শাস্ত্র সম্মত ❓

ছবি
▫️একাদশী" কি শাস্ত্র সম্মত ❓ ▫️একাদশীর উৎপত্তি:- 🔸 শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু তাঁর লীলাবিলাসের প্রথম থেকেই একাদশীর উপবাসের প্রথা প্রবর্তন করেছিলেন। শ্রীল জীব গোস্বামী তাঁর ভক্তিসন্দত গ্রন্থে স্কন্দ পুরাণের একটি উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন, "যে-মানুষ একাদশীর দিন শস্যদানা গ্রহণ করে, সে তার পিতা, মাতা ভাই এবং শুরু হত্যাকারী , এবং সে যদি বৈকুণ্ঠলোকেও উন্নীত হয়, তবুও তার অধঃপতন হয়। একাদশীর দিন শ্রীবিষ্ণুর জন্য সব কিছু রন্ধন করা হয়, "এমন কি অন্ন এবং ডালও, কিন্তু শাস্ত্রে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, সেদিন বৈষ্ণবদের বিষ্ণুর প্রসাদ পর্যন্ত গ্রহন করা উচিত নয়। সেই প্রসাদ পরের দিন গ্রহণ করার জন্য রেখে দেওয়া যেতে পারে। একাদশীর দিন কোন রকম শস্যদানা এমন কি অন্ন-তা যদি বিষ্ণুপ্রসাদও হয়, তবুও তা গ্রহণ করতে কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে। বিধবা না হলেও শাস্ত্র অনুসারে একাদশীর ব্রত পালন করার প্রথা শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু প্রবর্তন করেছিলেন (দ্রষ্টব্য- শ্রীচৈতন্যচরিতামৃত', আদিলীলা, ১৫/৮-১০) উল্লেখ করেছেন:-    শ্রীল প্রভুপাদ । ▫️ একাদশী নিয়ে উল্লেখ রয়েছে:-  বিষ্ণু সংহিতা ৪৯/...

সকলের জন্য সুখকামনা

ছবি
🙏🕉️ নমস্কার 🕉️🙏 পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ সুখী সমৃদ্ধ হওয়ার প্রত্যাশা করে। কিন্তু এ সংসারে কেউ পূর্ণ সুখী হতে পারে না। আমরা সুখকে প্রাপ্ত করার জন্য নিরলস প্রচেষ্টায় লিপ্ত থাকি কিন্তু প্রকৃত সুখ কি তা উপলব্ধি করতে পারি না।  তাহলে কিভাবে প্রকৃত সুখকে প্রাপ্ত করতে পারে? এ অভিধান বর্ণনায় প্রয়োজন প্রকৃতিতে ফুলের অবদান উপমাকে উন্মোচিত করে। ফুল কখনো নিজের জন্য ফোটে না বরং সে তার সৌরভ ও সৌন্দর্য দ্বারা সকলের মনকে আনন্দিত করে তোলে। তাহার প্রচেষ্টা শুধু নিজেকে নিয়ে নয় বরং সকলের প্রতি নিজেকে সমর্পিত করার মাঝে।  তদরুপ, মনুষ্য কখনো নিজ স্বার্থ, অহংবোধ এবং একাকী সুখী হতে পারে না। কারণ তার আকাঙ্ক্ষার শেষ নেই।  "পুলুকামো হি মর্ত্যঃ"  [ ঋগ্বেদ ১.১৭৯.৫ ]  ‌ মানুষের চাওয়া ও পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা নিবৃত্তির কোনো শেষ নেই ।  তাই মনুষ্যকে নিজের সুখের পাশাপাশি অপরের প্রতি সহমর্মিতা, ভালোবাসা ও সুখ সমৃদ্ধির কামনা করাই উচিত।  "আ শাসতে প্রতি হর্যন্ত্যুক্থেমা হরী বহতস্তা নো অচ্ছ" - [ঋগ্বেদ ১.১৬৫.৪]  অর্থাৎ , যেভাবে নিজের সুখের কামনা করা হয় , সেভাবে সকলের সুখের জন্য ত...