হেন্দের নামানুসারে কি হিন্দুধর্ম নামকরণ করা হয়েছে ⁉️


📜 হেন্দের নামানুসারে কি হিন্দুধর্ম নামকরণ করা হয়েছে ⁉️ 

নমস্কার সকল অমৃতের সন্তানগণ! বৈদিক অমৃত জ্ঞান প্রচার নিয়োজিত VEDA পেজ এ আপনাদের স্বাগতম। 

➡️ সভ্যতার উষা লগ্নে মনুষ্য জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানস্বরুপ ঋষিগণ ধ্যানের মাধ্যমে প্রাপ্ত করেন পরমাত্মার অমৃত জ্ঞান। যা মনুষ্য জাতির কল্যাণ, সমৃদ্ধি ও মুক্তি লাভের পথপ্রদর্শক হিসেবে অবতীর্ণ হয়। সেই অমৃত জ্ঞান অর্জন করে মনুষ্য উপলব্ধি করে এ জগৎ সৃষ্টি হয়েছে সেই সর্বশক্তিমান পরমাত্মা কর্তৃক। এ জগৎ এর শাশ্বত নিয়মের তিনি স্রষ্টা। এ জগৎ তারই বিভূতিতে আলোকময়। জগৎকে অনুধাবন করলে পরমাত্মার অশেষ দয়া ও প্রেমের উপলব্ধি হয় মানবমনে। পরমাত্মা মহাবিশ্বের সকল সৃষ্টিকে এক মহাজাগতিক নিয়মে সুশৃঙ্খলিত করেছেন। প্রকৃতির পঞ্চভূত থেকে চলমান প্রাণ সকল কিছুর মাঝে এক শৃঙ্খলা লক্ষ্য করা যায়। মনুষ্য সেই একই মহাজাগতিক নিয়মে আবদ্ধ। যা শাশ্বত ও সৃষ্টির শুরু থেকে বর্তমান। ইহার নাম ধর্ম।

➡️ ধর্ম: ধর্ম আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। আমাদের প্রাত্যাহিক কর্ম, আচরণ, খাদ্যাভাস এবং সংস্কৃতি বহুলাংশে আমাদের স্বধর্মের উপর নির্ভরশীল। আমরা কারো প্রতি কি আচরণ করবো, কিভাবে শব্দ প্রয়োগ করবো তাহা আমাদের ধর্মই নির্দেশনা প্রদান করে। তবে ধর্ম অর্থ কি? 

ধর্ম শব্দটি মূলত সংস্কৃত শব্দ। শাস্ত্রানুযায়ী 'ধর্ম' শব্দ কেবল এক সীমিত অর্থে প্রয়োগ হয়না।'ধর্ম' শব্দের বিবিধ এবং ব্যাপক অর্থ। ধর্ম শব্দের সব থেকে ব্যাপক অর্থ,  ব্যাকরণগত মূল ধাতু 'ধৃ' এর উপর আশ্রিত। 'ধৃ' অর্থ ধারণ করা। 'ধৃ' ধাতু দ্বারা নির্মিত হওয়ায় ধর্ম শব্দের অর্থ ধারণকারী। গুণ ও লক্ষণ ধারণ করা ধর্মের অভিপ্রায়। ধর্ম সম্পর্কে মহাভারতে উল্লেখ রয়েছে, 

"ধারণাদ্ ধর্মমিত্যাহুধর্মেণ বিধৃতা প্রজাঃ।
যঃ স্বাদ্ ধারণসংযুক্তঃ স ধর্ম ইতি নিশ্চয়ঃ"।। =[]মহা০-শান্তিপর্ব-১০৯/১১[]_

অর্থাৎ ধর্ম সব-কিছুকেই ধারণ করে এইজন্য ধর্মের নাম "ধর্ম", অধগতি প্রাপ্তি থেকে বাঁচায় এবং জীবন রক্ষা করে। ধর্মই সকল প্রজাকে ধারণ করে আছে; অতঃ যা দ্বারা ধারণ ও পোষণ সিদ্ধ হয়, তাহাই ধর্ম ; এরূপ ধর্মবেত্তাদের নিশ্চয়। 

➡️ মনুষ্যের মাঝে এরুপ সংশয় উদয় হয়ে থাকে যে, যদি জল, অগ্নি, বায়ুর ধর্ম যদি এক হয়ে থাকে তাহলে মনুষ্যজাতির ধর্ম কিভাবে একাধিক হতে পারে? উক্ত সংশয় নিবারণ এর জন্য আমাদের উপলব্ধি প্রয়োজন যে ধরিত্রীর মাঝে ধর্ম বলে যে সকল কৃষ্টি সংস্কৃতি প্রচলিত তাহা সংস্কৃত আভিধানিক অর্থে যাহা ধর্ম বলে সিদ্ধ তাহা নয়। ধর্ম ও রিলিজিয়ন এক বিষয় নয়। পৃথিবীতে আমরা যে সব প্রচলিত Religion দেখি সেগুলো ধর্ম নয়। সেগুলো নির্দিষ্ট কিছু আচার অনুষ্ঠান নিয়ম কানুনের সমষ্টিগত সাংস্কৃতিক, ভৌগলিক ও রাজনৈতিক মতাদর্শ। যা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মানুষের আদর্শের কারণে তৈরি যা বহু ক্ষেত্রে ভৌগোলিক ও ঐতিহাসিক পটভূমি দ্বারা প্রভাবিত। Religion শব্দের সংস্কৃত অর্থ ধর্ম নয়, Religion শব্দের সংস্কৃত অর্থ মার্গ। ধর্ম শব্দটা Religion এর বাংলা হিসেবে আমরা প্রচলিত ভুল অর্থে বা Misnomer হিসেবে ব্যবহার করি।

➡️ ধর্ম ধর্মই, তাহার আলাদা বিশেষণ এর প্রয়োজন পড়ে না। সেজন্য ধর্মের নাম হয় না। যেমনটা বর্তমানে দৃষ্ট হয় যে, আমি অমুক ধর্মের অনুসারী। সত্যি এরুপ ধারণা নিতান্তই অজ্ঞতা থেকে উৎপত্তি। ধর্ম এক ও অপরিবর্তনীয় এবং নিশ্চিতভাবে অলঙ্ঘনীয়। সেজন্য, ধর্ম পরিবর্তন হয় না বরং কেউ যখন ধর্মের লক্ষণ পরিত্যাগ করে সে ধর্মচ্যুত হয়। ন্যায়, সত্য, বিশুদ্ধ যেমন তুলনাহীন শব্দ, তেমনি ধর্ম তুলনাহীন এবং নিজস্ব বিশেষণে বিশেষায়িত। 

মহর্ষি কণাদ প্রণীত বৈশেষিক দর্শনে ধর্মের পরিভাষা করা হয়েছে যে- 

"যতোহভ্যুদয়নিঃশ্রেয়সসিদ্ধিঃ স ধর্মঃ"।।  (বৈশেষিক দর্শন– ১/১/২)

সূত্রার্থঃ- (যতঃ) যা দ্বারা (অভ্যুদয়) এই সংসারের [বিশ্বের] উন্নতি এবং (নিঃশ্রেয়স) মোক্ষ (সিদ্ধিঃ) সিদ্ধি হয় (স ধর্মঃ) তাকে ধর্ম বলা হয়। 

অর্থাৎ যা দ্বারা বিশ্বের উন্নতির সহির শান্তি এবং উত্তম আনন্দ প্রাপ্তি হয় তাহাই ধর্ম। কেহ যদি মনুষ্য শরীর প্রাপ্ত হয়েও পশুত্ব ধারণপূর্বক হিংসা, বিদ্বেষ আদি করে তাহলে সে নিজ ধর্ম হইতে বিচ্যুত হইলো এবং নরকে ধাবিত হইলো।

তাহলে যে ধর্ম পালন করে সে ধার্মিক, আর যে পাপাচারে লিপ্ত হয় ধর্ম পরিত্যাগ করে অধর্ম করে সে অধার্মিক। সে ধর্মের লক্ষণ বিষয় মহর্ষি মনু বলেছেন, 

"ধৃতিঃ ক্ষমা দমোহস্তেয়ং
শৌচমিন্দ্রিয়-নিগ্রহঃ।
ধীর্বিদ্যা সত্যমক্রোধো
দশকম্ ধর্মলক্ষণম্" 
-মনুসংহিতা, ৬/৯২

অর্থাত্‍, সহিষ্ণুতা,ক্ষমা ,চুরি না করা ,শুচিতা ,ইন্দ্রিয়সংযম,শুদ্ধ বুদ্ধি,জ্ঞান,সত্য এবং ক্রোধহীনতা-এইটি দশটি ধর্মের লক্ষণ। 

জলের ধর্ম যেমন তারল্য, অগ্নির ধর্ম যেমন দগ্ধ করা তেমনি মনুষ্যের স্বীয় ধর্ম রয়েছে আর তাহা হলো মনুষ্যত্ব। সেজন্য মনুষ্য জন্ম মাত্রই মনুষ্য হয়ে উঠে না৷ তাহার কর্ম, জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও ধার্মিক আচরণই তাকে মনুষ্য করে তোলে। 

স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী স্বমন্তব্যামন্তব্য প্রকাশঃ এ মনুষ্যের পরিভাষা করেছেন - "যিনি মননশীল হইয়া সকলের সুখ দুঃখ ও লাভালাভ নিজের ন্যায় মনে করেন, এবং যিনি শক্তিশালী অন্যায়কারীকে ভয় করেন না, কিন্তু দুর্বল ধর্মাত্মা হইতেও ভীত হন, তাঁহাকেই মনুষ্য বলে"। 

সেজন্য ধর্মের প্রধান ধর্মগ্রন্থ পবিত্র বেদ এ বলা হয়েছে, 

 মনুর্ভব জনয়া দৈবং জনম্
 ঋগ্বেদ, ১০/৫৩/৬।
অর্থাৎ, প্রকৃত মানুষ হও এবং অন্যকেও মানুষ হিসেবে গড়ে তোল।

➡️ধর্মের প্রবর্তক বা রচিয়তা কে? 

ধর্মের প্রবর্তক স্বয়ং ঈশ্বর। এবং সেই ধর্মই সনাতন অর্থাৎ চিরন্তন। ধর্ম বা সনাতন ধর্মের দু'টি প্রধান বৈশিষ্ট্য হল– দিব্য ও সত্য। অর্থাৎ,  সনাতন ধর্ম দিব্য, অর্থাৎ অপৌরুষেয় এবং যুগপৎভাবে সনাতন ধর্ম সত্য।
ঋগ্বেদ এর ১০ মন্ডলের ১২১তম সুক্তের ৯ম মন্ত্রে বলা হয়েছে, 

"মা নো হিংসীজ্জনিতা যঃ পৃথিব্যা যো ব্য দিবং সত্যধর্মা জজান্। 
যশ্চাপশ্চন্দ্র্য বৃহতীর্জজান কস্মৈ দেবায় হবিষা উর্ধ্বেম্"।।৷ - ঋগ্বেদ ১০/১২১/৯

অর্থাৎ, যিনি পৃথিবীর স্রষ্টা, যিনি দিব্য ও সত্যরুপ ধর্মের প্রবর্তক এবং ধারক, যিনি অন্তরীক্ষ সহ সকল লোককে সৃষ্টি করেছেন এবং যিনি অনন্ত জলরাশিকে সৃষ্টি করেছেন, যিনি চন্দ্রাসহ দীপ্যমান সকল বস্তুকে সৃষ্টি করেছেন, তিনি যেন আমাদের হিংসা না করেন, সেই তাকে ছাড়া আর কাকে আমরা হব্যদ্বারা উপাসনা করবো? 

➡️ ধর্মকে সনাতন বলা হয়েছে কেন? 

ধর্ম মাত্রই সনাতন বা চিরন্তন। অর্থাৎ, যা ছিল আছে থাকবে। যার শুরু নেই বা বিনাশ নেই। যা পরিবর্তন করা যায় না। তাহাই সনাতন বা চিরন্তন। অগ্নি পূর্বে সকল কিছু দগ্ধ করতো এখন করে না। যদি এমন হয় বা অগ্নি তার দগ্ধ করার ধর্ম পরিবর্তন করে তাহলে আমরা কি তাকে কখনো অগ্নি বলতে পারবো? অবশ্যই না। সেজন্য সৃষ্টির পূর্ব থেকে প্রতিটি বস্তু বা জীবের ধর্ম অস্তিত্ববান, তেমনি এখনো অস্তিত্ববান রয়েছে।সেজন্য, ধর্মকে সনাতন বলা হয়েছে। মনুসংহিতায় বলা হয়েছে,

"প্রিয়ং চ নানৃতং ব্রুয়াদেষ ধর্ম্মঃ সনাতনঃ"।।
- মনুস্মৃতি ৪/১৩৮

অর্থাৎ,  অপরের হিতকর প্রিয় সত্য কথা বলিবে, অপ্রিয় সত্য কথা কখনো বলিবে না যাহা লোকের মর্মভেদ করে, অপরকে প্রসন্ন করার নিমিত্তেও আবার মিথ্যা বলিবে না, ইহাই বেদবিহিত সনাতন ধর্ম।

শাস্ত্রে ধর্মকে যেমন সনাতন বলা হয়েছে, তেমনি পরমাত্মা [অথর্ববেদ, ১০/৮/২৩][অথর্ববেদ, ১০/৮/২২][শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা ১১/১৮] এবং পবিত্র বেদকেও সনাতন বলা হয়েছে [অথর্ববেদ, ১০/৮/৩২]। 

ইতোমধ্যে আমরা ধর্মের স্বরুপ সম্পর্কে অবগত হয়েছি এবং আমাদের মনে যে সংশয়ের উদয় হয়েছিলো তা নিশ্চয়ই দূরীভূত হয়েছে। 

➡️ অপপ্রচার: হেন্দের নামানুসারে কি হিন্দুধর্ম নামকরণ করা হয়েছে ⁉️  

উপরিউক্ত ব্যাখ্যা থেকে আমরা ধর্ম কি, ধর্মের উপমা এবং ধর্মের সৃষ্টি সম্পর্কে জ্ঞাত হয়েছি এবং আমাদের ধর্ম সত্য সনাতন বৈদিক ধর্ম তা জেনেছি। কিন্তু কিছু প্রোপাগাণ্ডা প্রচারকারী কপি পেস্ট তথ্য দ্বারা এরুপ আরোপ করে যে হেন্দের নামানুসারে হিন্দুধর্ম নামকরণ। কিন্তু ঐতিহাসিক মতে,  হিন্দু শব্দের উৎপত্তি ইন্দো-আর্য এবং সংস্কৃত শব্দ সিন্ধু থেকে উদ্ভূত। গেবিন ফ্লাডের মতে, "আসল পরিভাষা হিন্দু প্রথম দেওয়া হয় ফার্সি ভৌগোলিক পরিভাষা থেকে যা দ্বারা সিন্ধু নদীর পাশে বসবাসকারী লোকেদের বোঝানো হত। ভৌগলিকভাবে সিন্ধু অববাহিকায় বসবাসরত মানুষের হিন্দু হিসেবে উচ্চারণ করা হতো। আরবি সাহিত্যেও আল-হিন্দ الهند শব্দটির মাধ্যমে সিন্ধু নদ অববাহিকায় বসবাসকারী জনগোষ্ঠীকে বোঝানো হয়েছে। এবং আমাদের সকলের অবগত যে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের পামির পর্বতমালা এবং কারাকোরাম পর্বতমালার একটি অংশ  হিন্দুকুশ হিসেবে পরিচিত। যার রয়েছে বেদনাদায়ক ইতিহাস। অর্থাৎ, এটা স্পষ্ট যে হিন্দু শব্দের উৎপত্তি মোটেও হেন্দ নামক কোনো ব্যক্তি বিশেষ থেকে আসেনি বরং সিন্ধু নদের অববাহিকায় বিস্তৃত বসবাসকারী ভৌগলিক অর্থে প্রত্যেককে হিন্দু বলা হয়েছে। ভারতের সংবিধানে হিন্দু শব্দটি ব্যবহার করে যে কোন ভারতীয় বিশ্বাসকে বুঝিয়েছে। তাই অপপ্রচারকারীর দাবি সর্বতোভাবে মিথ্যা প্রতিপন্ন হয়। 

কিন্তু অপপ্রচারকারীর এরুপ দাবী পিছনে সত্যি কি কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে ⁉️ তা আপনারা বিচার করবেন।   

➡️ হে অমৃতের সন্তানগণ! সত্য যেমন সত্যই, ন্যায় যেমন ন্যায়, তেমনি ধর্মই ধর্ম তাহার আলাদা নামের প্রয়োজন নেই। বরং উপমা রয়েছে যা সনাতন। সেই উপমা যা পরমেশ্বরকে সনাতন বলে অভিহিত করে, সেই উপমা যা প্রকৃতিকেও সনাতন বলে। তাই সনাতন অর্থ যা ছিলো আছে থাকবে। তাই ধর্মও সনাতন তাহার পরিবর্তন মানে বস্তুর অস্তিত্ব অসম্ভব। সেজন্য ধর্মকেও সনাতন বলে অভিহিত করা হয়েছে। আর তাই সনাতন পরমব্রহ্ম প্রেরিত সনাতন বেদবাণীর দ্বারা বিধৃত ও দৃষ্ট যে ধর্ম তাই সনাতন ধর্ম। ধর্ম মানেই সনাতন কারণ সৃষ্টির আদি থেকেই ধর্ম বিদ্যমান। আর তাই কোন মানুষ ধর্মের প্রবর্তক হতে পারেনা কারণ মানুষ সৃষ্টির আগে থেকেই ধর্ম মহাজগতে উপস্থিত। 

➡️ এরুপ অপপ্রচার সম্পর্কে সচেতন হতে প্রয়োজন শাস্ত্রীয় জ্ঞান অর্জন। কারণ জ্ঞানই আমাদের অন্ধকার থেকে আলোতে পৌঁছে দেয়। তাই আসুন বৈদিক শাস্ত্রসমূহ এর অমৃত জ্ঞান অধ্যয়ন করি ও প্রচার করি। 

"শেয়ার করে পৌঁছে দিন 
 অপপ্রচার রুখে দিন" 📢✊

বি:দ্র: আমরা পৃথিবীর প্রতিটি মত ও পথকে সম্মান করি এবং শান্তি ও সৌহার্দ্যে বিশ্বাসী। উক্ত পোস্ট শুধুমাত্র সনাতন ধর্ম নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার এর প্রত্যুত্তর দেওয়া হয়েছে। কোনো মত বা পথ বা religion কে হেয় করা হয়নি।

প্রচারে:- VEDA

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ