বাল্মিকী রামায়ণ অনুসারে শ্রী রাম ও মাতা সীতার বিবাহ বন্ধন:-
বাল্মিকী রামায়ণ অনুসারে শ্রী রাম ও মাতা সীতার বিবাহ বন্ধন:-
শ্রীরাম ও মাতা সীতার বিবাহ তিথি:-
✨রাজা জনক মহারাজ দশরথকে বললেন:-
রামলক্ষ্মণয়ো রাজন্ গোদানং কারয়স্ব হ। পিতৃকার্যং চ ভদ্রং তে ততো বৈবাহিকং কুরু।। (বাল্মীকি রামায়ণ, আদিকাণ্ড, সর্গ ৭১, শ্লোক ২৩)
- রাজন! রাম-লক্ষ্মণের কল্যাণের জন্য (প্রজাদের) গো দান করান। আপনার মঙ্গল হোক। আপনি পিতৃকার্য করে অতঃপর বিবাহ -সম্বন্ধীয় কার্য করুন।
মঘা হ্যদ্য মহাবাহো তৃতীয়দিবসে প্রভো। ফল্গুন্যামুত্তরে রাজংস্তস্মিন্ বৈবাহিকং কুরু। রামলক্ষ্মণয়োরর্থে দানং কার্যং সুখোদয়ম্।। (আদিকাণ্ড, সর্গ ৭১, শ্লোক ২৪)
- হে মহাবাহু! আজ মঘা নক্ষত্র! আজ থেকে তৃতীয় দিনে সেই উত্তর ফাল্গুনী নক্ষত্রে বিবাহসম্বন্ধীয় কার্য করবেন।
রাজন! রাম-লক্ষ্মণের মঙ্গলের জন্য গো-সুবর্ণাদি (প্রজাদের) দান করুন। তাতে তাদের দুজনের মঙ্গল হবে।
✨ বিশ্বামিত্র বশিষ্ঠের সাথে রাজা জনককে বললেন:-
অচিন্ত্যান্যপ্রমেয়াণি কুলানি নরপুঙ্গব। ইক্ষ্বাকূণাং বিদেহানাং নৈষাং তুল্যোঽস্তি কশ্চন। সদৃশো ধর্মসম্বন্ধঃ সদৃশো রূপসম্পদা। রামলক্ষ্মণয়ো রাজন্ সীতা চোর্মিলয়া সহ।। ( আদিকাণ্ড, সর্গ ৭২, শ্লোক ২-৩)
- হে নরশ্রেষ্ঠ! ইক্ষ্বাকুদের এবং বিদেহদের বংশ অচিন্তনীয় ও অপরিমেয় মহিমাময়। অন্য কেউই এদের তুল্য নয়।
রাজন! সীতা ও উর্মিলার সঙ্গে রাম-লক্ষ্মণের বিবাহ সম্বন্ধ যথোচিত। রূপ এবং ঐশ্বর্যেও এঁদের মধ্যে সমানতা বর্তমান।
বক্তব্যং চ নরশ্রেষ্ঠ শ্রূয়তাং বচনং মম। ভ্রাতা যবীয়ান্ ধর্মজ্ঞ এষ রাজা কুশধ্বজঃ।। অস্য ধর্মাত্মনো রাজন্ রূপেণাপ্রতিমং ভুবি। সুতাদ্বয়ং নরশ্রেষ্ঠ পত্ন্যর্থং বরয়ামহে।। ভরতস্য কুমারস্য শত্রুঘ্নস্য চ ধীমতঃ। বরয়ে তে সুতে রাজংস্তেয়োরর্থে মহাত্মনৌঃ।।
(বাল্মীকি রামায়ণ, আদিকান্ড, সর্গ ৭২, শ্লোক ৪-৬)
- রাজন! আমার একটা কথা শুনুন! এই ধর্মজ্ঞ রাজা কুশধ্বজ আপনার ছোট ভাই।
হে মনুষ্যপ্রবর! এই ধর্মাত্মা রাজার অতুলনীয়া রূপবতী কন্যা (মাণ্ডবী ও শ্রুতকীর্তি) দুটিকে পুত্রবধূরূপে বরণ করছি।
হে নরশ্রেষ্ঠ রাজন! মহাত্মা ধীমান দুই রাজকুমার ভরত ও শত্রুঘ্নের জন্যই সেই কন্যাদ্বয়কে বরণ করছি।
পুত্রা দশরথস্যেমে রূপযৌবনশালিনঃ। লোকপালসমাঃ সর্বে দেবতুল্যপরাক্রমাঃ।।
উভয়োরপি রাজেন্দ্র সম্বন্ধেনানুবধ্যতাম্। ইক্ষ্বাকুকুলব্যগ্রং ভবতঃ পুণ্যকর্মণঃ।।
- রাজা দশরথের পুত্রগণ সকলেই রূপবান ও তারুণ্যে (উপযুক্ত বয়স) ভরপুর; লোকপাল অর্থাৎ রাজগুণসম্পন্ন এবং দেবতুল্য পরাক্রমী।
হে রাজেন্দ্র! আপনার মতো পুণ্যকর্মার সঙ্গে বৈবাহিক সূত্রে উভয় রাজবংশকে (ইক্ষ্বাকুবংশ এবং জনকবংশ) আবদ্ধ করে ইক্ষ্বাকুকুলকে ধন্য করুন।
✨ রাজা জনক মুনিবরদ্বয়কে বললেন-
এবং ভবতু ভদ্রং বঃ (আদিকান্ড, সর্গ ৭২, শ্লোক ১১)
- তাই হোক। আপনাদের মঙ্গল হোক।
একাহ্ণা রাজপুত্রীণাং চতসৃণাং মহামুনে। পাণীন্ গৃহ্ণন্ত্ত চত্বারো রাজপুত্রা মহাবলাঃ।।
(আদিকান্ড, সর্গ ৭২, শ্লোক ১২)
- হে মুনিবর! মহাবলশালী চার রাজপুত্র একই দিনে চার রাজকন্যার পাণিগ্রহণ করুক। (চার রাজকন্যাকে বিবাহ করুক)।
উত্তরে দিবসে ব্রহ্মন্ ফল্গুনীভ্যাং মনীষিণঃ। বৈবাহিকং প্রশংসন্তি ভগো যত্র প্রজাপতিঃ।। (আদিকাণ্ড, সর্গ ৭২, শ্লোক ১৩)
- ব্রহ্মণ! আগামী পরশু ফাল্গুনী নক্ষত্রযুক্তা তিথি, যার দেবতা প্রজাপতি ভগ। মনীষীরা ঐদিন বিবাহ কার্যের উপযুক্ত বলে প্রশংসা করেন।
🌱 পরদিন প্রভাতে :-
প্রভাতে কাল্যমুত্থায় চক্রে গোদানমুত্তমম্ (আদিকান্ড, সর্গ ৭২, শ্লোক ২১)
- রাজা দশরথ নিদ্রোত্থিত হয়ে উত্তম গোসমূহ (প্রজাদের) দান করলেন।
বিবাহ আসরে যাওয়ার আগে চলুন একটা সংশয় মিটিয়ে নিই।
রাম ও সীতা তথা অন্য রাজকুমার বা রাজকুমারীগণ কি বিবাহের বয়সে অনুপযুক্ত ছিলেন?
রাম ও লক্ষ্মণ সম্বন্ধে রাজা জনক মহর্ষি বিশ্বামিত্রকে বলেছেন -
ইমৌ কুমারৌ ভদ্রং তে দেবতুল্যপরাক্রমৌ। গজতুল্যগতী বীরৌ শার্দূলবৃষভোপমৌ।।
পদ্মপত্রবিশালাক্ষৌ খড়্গতূণীধনর্ধরৌ। অশ্বিনাবিব রূপেণ সমুপস্থিতযৌবনৌ।।
যদৃচ্ছয়েব গাং প্রাপ্তৌ দেবলোকাদিবামরৌ। কথং পদ্ভ্যামিহ প্রাপ্তৌ কিমর্থং কস্য বা মুনে।। বরায়ুধরয়ৌ বীরৌ কস্য পুত্রৌ মহামুনে। ভূষয়ন্তাবিমং দেশং চন্দ্রসূর্যাবিবাম্বরম্। । পরস্পরস্য সদৃশৌ প্রমাণেঙ্গিতচেষ্টিতৈঃ। কাকপক্ষধরৌ বীরৌ শ্রোতুমিচ্ছামি তত্ত্বতঃ।। - (আদিকাণ্ড, সর্গ ৫০, শ্লোক ১৭-২১)
- হে ঋষি! আপনার তপস্যা শুভময় হোক! হে মুনিবর! দেবতুল্য পরাক্রমশালী, হস্তীর ন্যায় দৃঢ় অথচ ধীর গতিসম্পন্ন, কিন্তু ব্যাঘ্র ও বৃষ তুল্য বীর, শ্রেষ্ঠ অস্ত্র সকল এবং ঋণখড়্গ তুণীর ও ধনুর্ধারী বীর, এরা কারা? নবযৌবনপ্রাপ্ত এবং পদ্মপত্রের ন্যায় বিশাল নয়নদ্বয়যুক্ত, এরা রূপে অশ্বিনীকুমারদ্বয় তুল্য; এদের দেখে মনে হচ্ছে স্বর্গ থেকে দুজন দেবতা যেন স্বেচ্ছায় মর্ত্যে অবতীর্ণ হয়েছেন। চন্দ্র-সূর্য যেমন আকাশে সৌন্দর্য বিধান করে, এরা দুজন তদ্রুপ আমার এই দেশে সৌন্দর্য বিধান করেছে। কাকপক্ষধর (সুন্দর জুলপিধারী) বীর, পরস্পর হৃদয়ের ভাব প্রকাশে তুল্যরূপ এই কুমারদ্বয় কার পুত্র? কেনই বা পদব্রজে এরা এখানে এসেছে? এই সকল তথ্য আমি পুরোপুরি শুনতে ইচ্ছা করি।
✨ মাতা সীতা সম্পর্কে রাজা জনক বলেছেন-
বীর্যশুল্কেতি মে কন্যা স্থাপিতেযমযোনিজা (আদিকান্ড, সর্গ ৬৬, শ্লোক ১৫)
- হে মুনিশ্রেষ্ঠ! অযোনিসম্ভবা আমার এই কন্যাকে (মাতা সীতা) বীর্যশুল্কা (বীর্য গ্রহণে সমর্থ তথা যুবতী) করলাম।
এছাড়াও মাতা সীতা ঋষিপত্নী অনুসূয়াকে বলছেন-
পতিসংযোগসুলভং বয়ো দৃষ্ট্বা তু মে পিতা। চিন্তামভ্যগমদ্ দীনো বিত্তনাশাদিবাধনঃ।। ( অযোধ্যাকাণ্ড, সর্গ ১১৮, শ্লোক ৩৪)
- কিছুকাল পরে পিতা (রাজা জনক) আমাকে পতিসংযোগসুলভ (বিবাহের বয়স হয়েছে) লক্ষ্য করে চিন্তিত হলেন।
তস্য বুদ্ধিরিয়ং জাতা চিন্তায়ানস্য সন্ততম্। স্বয়ংবরং তনূজায়াঃ করিষ্যামীতি ধর্মতঃ।। (অযোধ্যাকাণ্ড, সর্গ ১১৮, শ্লোক ৩৮)
- সব সময় আমার বিবাহের বিষয় চিন্তা করতে করতে তাঁর (রাজা জনকের) মনে হল, তিনি ধর্মানুসারে কন্যার (মাতা সীতার) স্বয়ংবরের ব্যবস্থা করবেন।
এছাড়াও রাজা দশরথের পুত্রগণের জন্য (রূপযোবনশালিনঃ- আদিকাণ্ড, ৭২,৭) পদের প্রয়োগ হয়েছে।
অন্যান্য রাজকুমারীদের জন্য (রূপসম্পদা- আদিকাণ্ড, ৭২, ৩) (রূপেণাপ্রতিমং - আদিকাণ্ড, ৭২,৫) পদের প্রয়োগ হয়েছে। যা স্পষ্টই ইঙ্গিত করে তাঁরা বিবাহে উপযুক্ত ছিলেন।
প্রভাতে পুনরত্থায় কৃত্বা কর্মাণি তত্ত্ববিৎ। ঋষীংস্তদা পুরষ্কৃত্য যজ্ঞবাটমুপাগমৎ।।
(আদিকাণ্ড, সর্গ ৭৩, শ্লোক ৮)
- অতঃপর প্রভাতে পুনরত্থিত হয়ে প্রাতঃক্রিয়াদি (সন্ধ্যেপাসনা ও হোমাগ্নি) সমাপনান্তে ঋষিগণ পুরঃসর যজ্ঞভূমিতে উপস্থিত হলেন।
যুক্তে মুহূর্তে বিজয়ে সর্বাভরণভূষিতৈঃ। ভ্রাতৃভিঃ সহিতো রামঃ কৃতকৌতুকমঙ্গলঃ।। ( বাল্মীকি রামায়ণ, আদিকাণ্ড, সর্গ ৭৩, শ্লোক ৯)
- বিজয় নামক শুভ মুহূর্তে নানালঙ্কারে সজ্জিত ভ্রাতৃগণের সঙ্গে সুসজ্জিত রামচন্দ্র বিবাহ-কালোচিত সূত্রবন্ধনাদি মঙ্গলাচরণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন করলেন।
রামচন্দ্রের বিবাহের পৌরহিত্যে ছিলেন স্বয়ং মহর্ষি বশিষ্ঠ।
বসিষ্ঠং পুরতঃ কৃত্বা - ৭৩.১০
✨ তিনি রাজা জনককে বললেন:-
রাজা দশরথো রাজন্ কৃতকৌতুকমঙ্গলৈঃ। পুত্রৈর্নরবরশ্রেষ্ঠো দাতারমভিকাঙ্ক্ষতে- ৭৩.১১
- রাজন! রাজা দশরথ মঙ্গলাচরণ শেষে কন্যাদাতাকে আকাঙ্ক্ষা করছেন।
✨ রাজা জনক মহর্ষি বশিষ্ঠকে বললেন,
কঃ স্থিতঃ প্রতিহারো মে কস্যাজ্ঞাং সম্প্রতীক্ষতে। স্বগৃহে কো বিচারোঽস্তি যথা রাজ্যমিদং তব।। কৃতকৌতুকসর্বস্বা বেদিমূলপাগতাঃ। মম কন্যা মুনিশ্রেষ্ঠ দীপ্তা বহ্ণেরিবার্চিষঃ।। সদ্যোঽহং ত্বৎ প্রতীক্ষোহস্মি বেদ্যামস্যাং প্রতিষ্ঠিতঃ। অবিঘ্নং ক্রিয়তাং সর্বং কিমর্থং হি বিল্যম্বতে।। - ৭৩ .১৪-১৬
- প্রবেশদ্বারে কে আছে? হে মহর্ষে! রাজা দশরথ কার নির্দেশের অপেক্ষায় আছেন?
আপনার মাধ্যমে তাকে জানাই - হে রাজন! এই রাজ্য যেমন আমার সেরূপ আপনার ও। নিজগৃহে প্রবেশের জন্য অনুমতির প্রয়োজন আছে কি?
হে মহর্ষি! মাঙ্গল্যসূত্রাদিসংযুক্তা অগ্নিদ্যুতির ন্যায় দ্যুতিময়ী আমার কন্যারা যজ্ঞবেদিমূলে উপস্থিত হয়েছে। এখন আমিও এই বেদিমূলে আপনার অপেক্ষায় উপবিষ্ট আছি। সকল কার্য নির্বিঘ্নে সমাধা করুন, বিলম্ব কীসের?
জনকের বাক্য শুনে রাজা দশরথ পুত্রগণকে সাথে নিয়ে যজ্ঞাসভায় প্রবেশ করলেন।
প্রবেশয়ামাস সুতান্ সর্বানৃষিগণানপি - ৭৩.১৭
বিশ্বামিত্রং পুরুস্কৃত্য শতানন্দং চ ধার্মিকম্। প্রপামধ্যে তু বিধিবদ্ বেদিং কৃত্বা মহাতপাঃ। - ৭৩.২০
তখন মহর্ষি বশিষ্ঠ , বিশ্বামিত্র এবং ধর্মাত্মা শতানন্দকে পুরোভাগে নিয়ে মণ্ডপমধ্যে শাস্ত্রীয় বিধিমতে বেদি নির্মাণ করলেন।
✨বেদির বৈশিষ্ট্য
অলংকার তাং বেদি গন্ধপুষ্পৈঃ সমন্ততঃ। সুবর্ণপালিকাভিশ্চ চিত্রকুম্ভৈশ্চ সাঙ্কুরৈঃ।। অঙ্কুরাঢ্যৈঃ শরাবৈশ্চ ধূপপাত্রৈঃ সধূপকৈঃ। শঙ্খপাত্রৈঃ স্রুবৈঃ স্রগভিঃ পাত্রৈরর্ধ্যাদিপূজিতৈঃ।। লাজপূর্ণৈশ্চ পাত্রীভিরক্ষতৈরপি সংস্কৃতৈঃ। দর্ভৈঃ সমৈঃ সমাস্তীর্য বিধিবন্মন্ত্রপূর্বকম্।। অগ্নিমাধায় তং বেদ্যাং বিধিমন্ত্রপুরস্কৃতম্। জুহাবাগ্নৌ মহাতেজা বসিষ্ঠো মুনিপুঙ্গবঃ।। - ৭৩.২১-২৪
- চারদিকে গন্ধদ্রব্য, পুষ্প, সুবর্ণ পালিকা (সোনার ঝালর) দিয়ে সেই বেদিকে সুসজ্জিত করলেন। অঙ্কুরিত শস্যপূর্ণ চিত্রিত কলস এবং অঙ্কুরিত শস্যপূর্ণ শরা স্থাপন করে ধূপ-ধুনা সহ ধূপপাত্র-ধুনাচি, শঙ্খপাত্র স্থাপন করলেন। স্রক-স্রুবসহ (যজ্ঞীয় পাত্র), পূজিত অর্ঘ্যপাত্র মন্ত্রদ্বারা শুদ্ধ করে লাজ (খৈ) এবং অক্ষত (আতপ চাল) সাজিয়ে রাখলেন। যজ্ঞ বেদির চারদিকে কুশ বিস্তীর্ণ করে বিধিবৎ মন্ত্রোচ্চারণপূর্বক বেদিতে অগ্নি স্থাপন করে তাতে আহুতি দিলেন।
✨ তখন রাজা জনক নানা অলঙ্কারে সুসজ্জিতা সীতাকে নিয়ে এসে অগ্নির সামনে রাঘব রামচন্দ্রের অভিমুখে বসালেন এবং বললেন -
ইয়ং সীতা মম সুতা সহধর্মচরী তব।।
প্রতীচ্ছ চৈনাং ভদ্রং তে পাণিং গৃহ্ণীষ্ব পাণিনা।
পতিব্রতা মহাভাগা ছায়েবানুগতা সদা।। - ৭৩. ২৬-২৭
- আমার সীতা তোমার সহধর্মিণী। এঁকে গ্রহণ করো। তোমার কল্যাণ হোক। তোমার হস্ত দ্বারা এর হস্ত ধারণ করো। এই মহাভগ্যবতী পতিব্রতা সর্বদা ছায়ার মতো তোমার অনুগতা হবে।
এবং দত্ত্বা সুতাং সীতাং মন্ত্রোদকপুরষ্কৃতাম্ - ৭৩.২৯
এইরূপে মন্ত্রপূত জল নিক্ষেপ দ্বারা কন্যা সীতাকে শ্রীরামচন্দ্রের হস্তে সমর্পণ করলেন।
পালাক্রমে শ্রীলক্ষ্মণ মাতা ঊর্মিলার, শ্রীভরত মাতা মাণ্ডবীর, শ্রীশত্রুঘ্ন মাতা শ্রুতকীর্তির পাণিগ্রহণ করলেন - ৭৩. ৩০-৩৩
✨ রাজা জনক বললেন-
সর্বে ভবন্তঃ সৌম্যাশ্চ সর্বে সুচরিতব্রতাঃ। পত্নীভিঃ সন্তু কাকু্ৎস্থা মা ভূৎ কালস্য পর্যায়ঃ।। - ৭৩.৩৩
- রাজকুমারগণ! তোমরা সকলে কাকুৎস্থকুলতিলক, সৌম্যদর্শন ও সচ্চরিত্রবান। নিজ নিজ পত্নী গ্রহণ করো। দেরি করো না।
চত্বারস্তে চতসৃং বসিশ্ঠস্য মতে স্থিতাঃ - ৭৩.৩৫
মহারাজ জনকের বাক্য শ্রবণ করে মহর্ষি বশিষ্ঠের অনুমতিক্রমে সেই চার রাজকুমার হস্ত দ্বারা চার রাজকন্যার হস্ত স্পর্শ করলেন।
অগ্নিং প্রদক্ষিণং কৃত্বা বেদিং রাজানমেব চ।।
ঋষীচাংশ্চাপি মহাত্মানঃ সহভার্যা রঘূদ্বহাঃ।
যথোক্তেন ততশ্চক্রুর্বিবাহং বিধিপূর্বকম্।। - ৭৩.৩৫-৩৬
- রাজকুমারগণ বেদবিধি অনুসারে বিবাহ করলেন। নিজ স্ত্রীদের সাথে অগ্নি তথা যজ্ঞবেদি, মহাত্মা দশরথ এবং ঋষিমণ্ডলীকে প্রদক্ষিণ করলেন।
🌱 এইসময় :-
পুষ্পবৃর্ষ্টির্মহত্যাসীদন্তরিক্ষাৎ সুভাস্বরা। দিব্যদুন্দুভিনির্ঘোষৈর্গীতবাদিত্র নিঃস্বনৈঃ।। - ৭৩.৩৭
- চারদিক হতে পুষ্প ছিটাতে লাগলেন উপস্থিত সকলে যেন পুষ্প বৃষ্টি। চর্তুদিক হয়ে ওঠল উজ্জ্বল। দিব্য দুন্দুভি (বাদ্যযন্ত্র) বাজতে লাগল। নৃত্য, গান ও পরিবেশন হলো।
ত্রিরগ্নিং তে পরিক্রম্য ঊহুর্ভার্যা মহৌজসঃ - ৭৩.৩৯
- মহাবীর চার রাঘবভ্রাতা নিজ নিজ পত্নীদের সাথে তিনবার অগ্নি কে পরিক্রমণ করলেন।
শুভবিবাহ সম্পন্ন হলো।🖤
✏️अन्तु
প্রচারে:- Veda
🔎Run with #veda
মন্তব্যসমূহ