পোস্টগুলি

জুলাই, ২০২৪ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

▪️ বেদ ও বিজ্ঞান পর্ব :- ৩ ["বৈদিক রসায়ন বিজ্ঞান"]

ছবি
▪️ বেদ ও বিজ্ঞান পর্ব :- ৩ "বৈদিক রসায়ন বিজ্ঞান" ➡️ নমস্কার! সনাতনধর্ম শাস্ত্র শুধু নীতি কিংবা জীবন নির্দেশক গ্রন্থই নয় বরং বিজ্ঞান, রাজনীতিসহ বহুবিধ জ্ঞানের এক সমুদ্র। বেদ সেই সকল ধর্মশাস্ত্রসমূহের মূল স্তম্ভ। জ্ঞানের বিবিধ আলোচনার এক হিমালয় প্রতিম সম্ভার বেদ।  অমৃত জ্ঞানের সম্ভার বেদ এর মধ্যে বহু বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব বিদ্যমান। বেদ এর মধ্যে তেমনি একটি বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব  নিয়ে আজকের আলোচনা।  ➡️ বৈদিক রসায়ন বিজ্ঞান  বেদে রসায়ন বিজ্ঞানের সংবদ্ধ অনেক মহত্ত্বপূর্ণ সূত্র পাওয়া যায়। এর মধ্যে জলের উৎপত্তি, জলের মহত্ত্ব, জলের গুণ,  জলের ভেদ, জল থেকে সৃষ্টি আদির বর্ননা পাওয়া যায়। জলের উৎপত্তি বিষয়ে বেদে উল্লেখিত বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব-  💧জলের উৎপত্তিঃ-  অথর্ববেদে বলা হয়েছে যে জলে অগ্নি (Hydrogen) এবং সোম (Oxygen) এই দুইই বিদ্যমান রয়েছে। এস্থলে এটা ধ্যান রাখা উচিত যে, বেদে Oxygen এর জন্য - সোম, মিত্র, বৈশ্বানর এবং মাতরিশ্বা আদি শব্দের প্রয়োগ হয়েছে। Hydrogen এর জন্য অগ্নি,জল, আপঃ, সলিল, বরুণ আদি শব্দের প্রয়োগ হয়েছে। অথর্ববেদের একটি মন্ত্রে বলা হয়েছে যে, জলে মাতর...

আমাদের ব্যবহার কেমন হওয়া উচিত ❓

ছবি
▫️আমাদের ব্যবহার কেমন হওয়া উচিত ❓ বাংলায় একটি প্রবাদ বাক্য রয়েছে।  ▫️ব্যবহারে বংশের পরিচয়।  ▪️ব্যবহার এবং পারষ্পরিক প্রীতি নিয়ে বেদে বলা হয়েছে:-  🌸মধুমন্মে নিক্রমণং মধুমন্মে পরায়ণম্। বাচা বদামি মধুমঞ্জুয়াসং মধুসংদৃশঃ ॥🌸 ✅অথর্ব০ ১।৩৪।৩ ✍️আমার আসা যাওয়া মধুর হোক, আমার কথায় মধুরতা হোক, আমি মধুর ন্যায় মিষ্টি যেন হই। 🌸জিহ্বায়া অগ্রে মধু মে জিহ্বামূলে মধূলকম্। মমেদহ ক্রতাবসো মম চিত্তমুপায়সি ॥🌸 ✅ অথর্ব০ ১।৩৪।২ ✍️আমার জিহ্বার অগ্রভাগ মধুময় হোক আর জিহ্বার মূলে মধুরতা হোক। আমার কাজে এবং আমার মনেও মাধুর্যতার বাস হোক। 🌸যদ্বদামি মধুমত্তদ্বদামি যদীক্ষে তদ্বনন্তি মা। ত্বিষীমানস্মি জুতিমানবান্যান্হন্মি দোধতঃ ॥🌸 ✅ অথর্ব০ ১২।১৯।৫৮ ✍️যার সাথে কথা বলি মিষ্টি কথা বলি, যার দিকে তাকাই সে আমাকে স্নেহ করতে শুরু করে। একদিকে আমার এই মিষ্টি রূপ রয়েছে, কিন্তু একই সাথে আমি এত তেজস্বী এবং বেগবান যে আমি স্বীয় ক্রোধ প্রদর্শন করে দুষ্টদের বচন দ্বারাই ধূলিস্যাৎ করি ✅ তাই আমরা সর্বদা ব্যবহারে [ কথায় ] মধুরতা বজায় রাখি।   ▪️উত্তম ব্যবহারে তৈরি হবে, উত্তম সমাজ, উত্তম জাতি,উত্ত...

শ্রীমদভগবদগীতা পড়ি কিন্তু মান্য করি কি❓

ছবি
☑️ শ্রীমদভগবদগীতা পড়ি কিন্তু মান্য করি কি❓ 🖋️ নমস্কার। শ্রীমদ্ভগবদগীতা বর্তমান সময়ে অন্যতম জনপ্রিয় এবং অধ্যয়নকৃত গ্রন্থ। যা বহু ইতিহাস বিখ্যাত মানুষের পথনির্দেশক হিসেবে ভূমিকা যেমন রেখেছে, তেমনি বহু মানুষের মার্গ পরিবর্তন করে সঠিক দিশা দেখিয়েছে স্মৃতি শাস্ত্রের মধ্যে প্রাণময় গ্রন্থটি। শ্রীমদ্ভগবদগীতার অধ্যয়নের ফলে মনুষ্য যেমন সংশয় দ্বিধা দূর করে নিজেকে অমৃতপানে পরিচালিত করতে পারে, তেমনি সিদ্ধান্ত গ্রহণে রয়েছে এর হিমালয়প্রতিম গুরুত্ব।  কিন্তু শ্রীমদ্ভগবদগীতা সনাতনীদের সুপ্রসিদ্ধ গ্রন্থ হওয়া সত্ত্বেও আমরা প্রত্যেকে শ্রীমদ্ভগবদগীতার নামে শ্রীমদ্ভগবদগীতার উপদেশ সমূহের পালন করছি না। ফলস্বরূপ, আমরা আর্যাবর্তের অধিবাসীগণ নিজের হীরক খচিত মুকুট এর সঠিক সমাদর করতে ব্যর্থ হচ্ছি।  ➡️ আজকে সেই আলোচনায় মনোনিবেশ করা উচিত। ➡️ আমরা শ্রীমদ্ভগবদগীতার জ্ঞান উপদেশ কতটুকু মান্য করছি?   ☑️ শাস্ত্র মান্যতা: কর্তব্য অকর্তব্য নির্ধারণে শাস্ত্রই আমাদের বিবেচ্য হওয়া উচিত। কোনো ব্যক্তিবিশেষ এর মত অনুসরণীয় বা অনুকরণীয় হতে পারে কিন্তু তাহা শাস্ত্রের উর্ধ্বে নয়। বর্তমান সময়ে বিভিন্ন স্...