পোস্টগুলি

Pinned Post

"আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কি ধর্মের সঠিক উত্তরদাতা"

ছবি
"আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কি ধর্মের সঠিক উত্তরদাতা"  "Artificial intelligence" বা এআই বর্তমান সময়ের আধুনিক সমাজব্যবস্থা ও টেকনোলজির যুগের অন্যতম প্রধান সঙ্গী। সোশ্যাল মিডিয়া বা নিরাপত্তা ব্যবস্থা কিংবা এডুকেশন সেক্টর প্রতিটি ক্ষেত্রে এআই এর দৃপ্ত পদচারণা। ফলস্বরূপ, এআই এখন হয়ে উঠেছে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম। Chatgpt, Gemini, Deepseek বর্তমান সময়ে সার্চ ইঞ্জিনের নতুন ধারণা প্রদান করছে। একসময়, সাধারণ মানুষেরা কিছু খোঁজার জন্য গুগলের ক্রোম ব্রাউজার ব্যবহারে অভ্যস্ত ছিল। সেখানে, বর্তমান সময়ে মানুষ Chatgpt, Gemini, Deepseek এর মতো অ্যাপ ব্যবহার করে এআই এর সর্বোত্তর ব্যবহার নিশ্চিত করছে। কিন্তু Chatgpt, Gemini, Deepseek এর মতো মাধ্যম গুলো কি আমাদের একদম নির্ভূল সিদ্ধান্ত প্রদান করে থাকে ⁉ নাহ! Chatgpt, Gemini, Deepseek এর মতো প্ল্যাটফর্ম সমূহ এখনো Under developing পর্যায়ে রয়েছে। সেজন্য, সকল উত্তর নিশ্চিতরুপে Chatgpt, Gemini, Deepseek দিতে সক্ষম নাহ। এই বিষয়টি Gemini এর মতো Google বেইসড এআই প্রথমে ব্যবহারকারীকে সতর্ক করে দেয় এই অনিশ্চয়তা সম্পর্কে। উদাহরণস্বরূপ, Chat...

"ইতিহাসগ্রন্থ হতে ধর্মশিক্ষা" - ০৭

ছবি
"ইতিহাস হতে ধর্মশিক্ষা - মনুষ্যের অসম্পূর্ণতা" এই পৃথিবীতে সকল মনুষ্য অধিকার এর দৃষ্টিকোণ থেকে সমান। সকলেই পরমাত্মার সন্তান। কিন্তু এই লোকসমাজে আমরা সামর্থ্যের ক্ষেত্রে সকলকে সমকক্ষ প্রত্যক্ষ করি নাহ। কেউ বুদ্ধিমান, কেউ বলশালী তো কেউ সরলতার প্রতিমূর্তি। তবে সেজন্য কাহারো প্রতি দ্বেষ কিংবা অসম ভাবাপন্ন হওয়া উচিত নয়। কারণ, সকললর মধ্যেই বল এবং পরাক্রম রয়েছে। এই সত্যকে স্বীকার করে মহাভারতে বলা হয়েছে,  "মাবমংস্থাঃ পরান্ রাজন্নস্তি বীর্যং নরে নরে।  সমং তেজস্ত্বয়া চৈব বিশিষ্টং বা নরেশ্বর॥" - মহাভারত ২/২২/২১ অর্থাৎ, প্রত্যেক মানুষের মধ্যেই বল এবং পরাক্রম রয়েছে। কারো কিছুটা কম, কারো কিছুটা বেশি। সেজন্য কাউকে দূর্বল ভাবা উচিত নয়। সকলের মাঝে বল ও পরাক্রম রয়েছে। সঠিক মার্গ প্রদর্শনের মাধ্যমে সে বল ও পরাক্রম সম্মুখে আসে। "ইতিহাসগ্রন্থ হতে ধর্মশিক্ষা" - ০৭ 🔎 Run with #veda #krishna

"যা ছিল সনাতনী সমাজে,কিন্তু নেই সনাতন শাস্ত্রে"

ছবি
"যা ছিল সনাতনী সমাজে, কিন্তু নেই সনাতন শাস্ত্রে" সনাতন ধর্ম সদা সত্য ও যৌক্তিক সিদ্ধান্ত প্রদান করে। বৈষম্য কিংবা কুসংস্কার এর স্থান নেই সনাতন ধর্মে। যুক্তিতর্কের মাধ্যমে যেকোনো সংশয় নিবারন করার পরম্পরা সনাতনের ঐতিহ্য। সেজন্য, একজন সনাতনী তাহার কর্তব্য অকর্তব্য নির্ধারণে শাস্ত্রকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে।  কিন্তু সময়ের আবর্তে বিভিন্ন সময়ে কিছু স্বার্থান্বেষী, অজ্ঞানী ব্যক্তিদের মূর্খতারূপ সিদ্ধান্তের কারণে কুসংস্কার সমাজে নিয়ে আসে দুর্দশা ও বৈষম্য। যা সাম্য ভিত্তিক সমাজে বৈষম্য, সুন্দর সমাজকে কুৎসিত এবং ধার্মিক সমাজে পাপাচারের প্রতিষ্ঠা করে থাকে। ধর্মের আড়ালে অধর্মকে মূল উপজীব্য করে তোলা হয়। ফলস্বরূপ, সমাজ হয়ে উঠে বসবাসের অযোগ্য। সেজন্য, সনাতনী সমাজকে কুসংস্কার মুক্ত করতে বারংবার মনিষীগণ আশ্রয় নিয়েছেন ধর্মশাস্ত্রের।  সতীদাহপ্রথা:  মধ্যযুগে প্রচলিত সতীদাহপ্রথা ছিল এক বর্বর প্রথা। সহমরণ এর মতো স্বইচ্ছা সিদ্ধান্তকে জোরপূর্বক বাধ্য করার মাধ্যমে সতীদাহ প্রথা চলতে থাকে শত শত বৎসর ধরে। রাজা রামমোহন রায় এই কুপ্রথা বিলুপ্তির জন্য প্রাণপণ সংগ্রাম করেন। ফলশ্রুতিতে, লর্ড বেন্...

"ইতিহাসগ্রন্থ হতে ধর্মশিক্ষা" - ০৬

ছবি
"ইতিহাস হতে ধর্মশিক্ষা -মহাভারতের ধর্মবৃক্ষ" ধর্ম সদা পরম আশ্রয়। এই সমাজে ধার্মিক ও অধার্মিক উভয় শ্রেণীর মানুষের বসবাস। কিন্তু সে সমাজের ধর্ম ও অধর্মের চরিত্র সমূহের অবস্থান থাকে ভিন্ন। মহাভারতের সে উভয় প্রকৃতির মনুষ্যের অবস্থান বর্নিত হয়েছে।  অধর্ম বৃক্ষ:  "সুয়োধনো মন্যুময়ো মহাদ্রুমঃ স্কন্ধঃ কর্ণঃ শকুনিস্তস্য শাখাঃ । দুঃশাসনঃ পুষ্পফলে সমৃদ্ধে মূলং রাজা ধৃতরাষ্ট্রোঽমনীষী ॥" - মহাভারত ৫/২৯/৫২ অর্থাৎ, দুর্যোধন ক্রোধপূর্ণ বিশাল বৃক্ষ সমতুল্য, কর্ণ সেই বৃক্ষের কাণ্ড, শকুনি তার শাখা এবং দুঃশাসন সমৃদ্ধ ফল-ফুল। অজ্ঞ রাজা ধৃতরাষ্ট্রই এর মূল (শিকড়)। ধর্ম বৃক্ষ: "যুধিষ্ঠিরো ধর্মময়ো মহাদ্রুমঃ স্কন্ধোঽর্জুনো ভীমসেনোঽস্য শাখাঃ।  মাদ্রীসুতৌ পুষ্পফলে সমৃদ্ধে মূলং কৃষ্ণো ব্রহ্ম চ ব্রাহ্মণাশ্চ ॥" - মহাভারত ৫/২৯/৫৩ অর্থাৎ, যুধিষ্ঠির ধর্মপূর্ণ বিশাল বৃক্ষ, অর্জুন (সেই বৃক্ষের) কাণ্ড, ভীমসেন শাখা এবং মাদ্রীনন্দনদ্বয় নকুল-সহদেব এর সমৃদ্ধ ফল-ফুল। আমি (শ্রীকৃষ্ণ) , বেদ ও ব্রাহ্মণই এই বৃক্ষের মূল (শিকড়)। ধর্ম ও অধর্ম বৃক্ষ একই দৃশ্যপটে অবস্থান। কিন্তু একজন মনুষ্য হি...

"ইতিহাসগ্রন্থ হতে ধর্মশিক্ষা" - ০৫

ছবি
"ইতিহাসগ্রন্থ হতে ধর্মশিক্ষা - Meritocracy" শাসক সর্বদা নিজ গুণাবলির উপর ভিত্তি করে শাসনকার্য পরিচালনা করতে পারে নাহ। উত্তম শাসন সেটাই - যেখানে শাসকের উপদেষ্টা কিংবা পরিচালনা পর্ষদে মেধাবী ও জ্ঞানীর সমাবেশ ঘটে। সে জ্ঞানী পার্ষদগণের অর্জিত জ্ঞান ও মেধা শাসককে উত্তম সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও প্রজা কল্যাণের জন্য অগ্রসর হতে সহায়তা করে থাকে। গণতন্ত্র কিংবা সমাজতন্ত্র বা রাজতন্ত্র - প্রতিটি শাসনকার্যে মেধাতন্ত্র বা Meritocracy এর যথাযথ মূল্যায়ন হওয়া আবশ্যক। গনতন্ত্র বহুমত এর ভিত্তিতে আসা প্রতিনিধি কিংবা রাজতন্ত্রে রাজার প্রিয় ব্যক্তি যদি উত্তম গুণগত সম্পন্ন না হওয়া সত্ত্বেও নিয়োগপ্রাপ্ত হয় তবে সে রাজ্যের জন্য হিতকর কোনো কার্যক্রম করতে পারে নাহ। কিন্তু শাসক যদি উত্তম গুণগত ব্যক্তিকে পর্ষদে স্থান দেয়, তবে সে শাসক ও রাজ্যের জন্য উত্তম সিদ্ধান্ত বয়ে নিয়ে আসে। সেজন্য, শাসককে সর্বদা নিজ মূখ্যমন্ত্রীদের পরামর্শ গ্রহণ এবং শ্রেষ্ঠদের অভিমত বিবেচনা করা উচিত। যদি শাসক উত্তম ব্যক্তিদের পরিবর্তে অধম বা নীচব্যক্তিদের পরামর্শ গ্রহণ করে, তবে সে শাসকের পতন অনিবার্য। উদাহরণস্বরূপ, হস্তিনাপুরের ...

"ইতিহাসগ্রন্থ হতে ধর্মশিক্ষা" - ০৪

ছবি
"ইতিহাস হতে ধর্মশিক্ষা - জুয়ায় আসক্তির পরিণাম" ক্রীড়া আমাদের মন-শরীরের জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ। মানসিক শান্তি ও শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ক্রীড়া বা খেলাধুলা আমাদের জন্য সত্যিকার অর্থে উপযোগী মাধ্যম। সেজন্য, স্বামী বিবেকানন্দ শ্রীমদ্ভগবদগীতা পাঠের পূর্বে ফুটবল খেলার উপদেশ দিয়েছিলেন। সুস্থ দেহে সুস্থ মন গঠনে খেলাধুলার গুরুত্ব সর্বাধিক।  ক্রীড়া বিবিধ প্রকারের হয়ে থাকে। কিছু খেলা শারীরিক কসরত এর উপর ভিত্তি করে, যেমন কুস্তি, কাবাডি, সাঁতার আবার কিছু খেলা মানসিক বা বুদ্ধিভিত্তিক যেমন দাবা। কিন্তু সে ক্রীড়া সর্বদা শারীরিক বা মানসিক প্রশান্তির জন্য হয় নাহ, বরং লোভাতুর চিন্তার উপর ভিত্তি করে হয়ে থাকে। যা প্রচলিত বাংলায়, জুয়া হিসেবে স্বীকৃত। প্রাচীন সময় থেকে বর্তমান পর্যন্ত জুয়া এমন এক অবৈধ ক্রীড়া যা ব্যক্তিকে সর্বশান্ত করে দেয়। শুধু সেই ব্যক্তি বিনাশপ্রাপ্ত হয় তা নহে, বরং সে তার সম্পূর্ণ পরিবারকেও ধ্বংসের সম্মুখীন করে তোলে। জীবনের এক পর্যায়ে সে ব্যক্তি, হতাশার চরম বিষাদে নিষ্পেষিত হতে হতে বেছে নেয় আত্মহননের মতো অধর্মকে।  জুয়া খেলা সনাতন শাস্ত্র অনুসারে নিষিদ্ধ কর্ম। কিন্তু ব...

"ইতিহাসগ্রন্থ হতে ধর্মশিক্ষা" - ০৩

ছবি
"ইতিহাসগ্রন্থ হতে ধর্মশিক্ষা - যথোপযুক্ত ব্যবহার" ব্যবহার আমাদের পরিচয় করিয়ে দেয় অপরের নিকট যে আমরা কতটুকু সুশিক্ষিত ও উত্তম ব্যক্তি। কদর্য ব্যবহার কিংবা শঠতা, প্রতারণা, সুযোগসন্ধানী অভিব্যক্তি সম্পন্ন মনুষ্যকে সকলেই ঘৃণা করে এবং এড়িয়ে চলার প্রয়াস করে থাকে। কারণ, সে ব্যক্তির ব্যবহার যথোপযুক্ত নয়। যে সর্বদা অপরের ক্ষতি ও নিজ স্বার্থ চরিতার্থ করতে বদ্ধপরিকর, সে এই জগতের জন্য কল্যাণপ্রদায়ী হতে পারে নাহ।  কিন্তু একজন ধার্মিক, সদাচরণকারী কিংবা সুশিক্ষিত ব্যক্তির এরুপ ব্যক্তির অনৈতিক ব্যবহারের বিপরীতে কিরূপ আচরণ করা আবশ্যক। কেউ যদি সকলের প্রতি প্রতারণা করে, স্বার্থান্বেষী ভাবনায় ডুবে থাকে এবং কদর্য ব্যবহার করে কিংবা শঠতাকে ধারণ করে করে তবে তার প্রতি সদাচরণ করা মূর্খামি ছাড়া কিছুই নয়। কারণ, সে এই সদাচরণ এর মূল্যায়ন এর পরিবর্তে নিজের সে কদর্য রূপের বহিঃপ্রকাশ ঘটাবে। উদাহরণস্বরূপ, মহাভারতে শকুনি যেন ছলনার আশ্রয় নিয়ে পঞ্চ পান্ডবদের পরাজিত করতে চেয়েছিলো, তার বিপরীতে অর্জুন কর্তৃক ধনুর্বিদ্যা দ্বারা সূর্য অস্তমিত হওয়ার পরিবেশ সৃষ্টি করে দুরাচারী সিন্ধুরাজ জয়দ্রথকে হত্যা করে। ...