পোস্টগুলি

জুলাই, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

🔸 কর্মফল🔸

ছবি
🌿🌿🌿🌿🌿🙏কর্মফল🙏🌿🌿🌿🌿🌿 অথত্রিবিধদুঃখ্যাত্যন্তনিবৃত্তিরত্যন্তপুরুষার্থঃ॥" [সাংখ্য দর্শন ১/১] পদ পাঠ— "অথ । ত্রিবিধদুঃখ্যাত্যন্তনিবৃত্তিঃ । অত্যন্তপুরুষার্থ" অর্থাৎ তিন প্রকাররের দুঃখ অত্যন্তভাবে নিবৃত্তি হয়ে যাওয়া প্রাণীমাত্রের মূল উদ্দেশ্য৷  জীব ফল ভোগ করার জন্য পরতন্ত্র।অর্থাৎ কর্ম আমাদের অধীন কিন্তু ফলপ্রাপ্তি ঈশ্বরাধীন।নিজস্ব সামর্থের অনুকূল কর্ম করতে জীব সতন্ত্র কিন্ত যখন সে পাপ করে থাকে তখন ঈশ্বরের ব্যবস্থাতে পরাধীন হয়ে পাপের ফলকে ভোগ করে।মানুষ কর্ম করলে সেই ফল কিভাবে পাবে?একটি কর্মের ফল অপর কর্মের ফলকে বাঁধা দিয়ে নীট ফলাফল শূন্য করে কি না এধরণের প্রশ্ন সর্বদা আমাদের মনে উদয় হয়।কর্মফল বিষয়ক উপর্যুক্ত প্রশ্ন গুলোর বিষয়ে মহর্ষি জৈমিনি তাঁর বিখ্যাত দর্শন গ্রন্থ মীমাংসা দর্শনে বলেছেন– 🌿"নিয়মো বা তন্নিমিত্তত্বাৎ কর্তুস্তৎকারণং স্যাৎ॥" [মীমাংসা দর্শন ৬/২/১৫] সরলার্থ— জীবের ভোগ (ফল) পূর্ব কর্ম অনুসারে প্রাপ্ত হয়।কিন্তু জীব কর্ম করায় স্বতন্ত্র হয়ে থাকে।এরূপ নিয়ম অর্থাৎ ব্যবস্থা রয়েছে।বর্তমানে ক্রিয়ামান কর্ম পূর্ব কর্ম ভোগ করার নিমিত্তে হতে পার...

"স্তুতি" কেন করা হয় ❓

ছবি
🔸আমরা সনাতনীরা সনাতন ধর্ম কে ঠিকভাবে বুঝি আর নাই বা বুঝি, তবুও আমরা কম-বেশি ঈশ্বরের স্তুতি করে থাকি। যেমন তিনি সচ্চিদানন্দ স্বরূপ অর্থাৎ ঈশ্বর সত্য-চেতন যুক্ত ও আনন্দ স্বরূপ, তিনি শিব স্বরূপ অর্থাৎ তিনি জীবের মঙ্গলকারী ইত্যাদি। আমরা ঈশ্বরের নানান গুণগত নাম দ্বারা স্তুতি করে থাকি। স্তুতির বিষয়ে ঋষি দয়ানন্দ বলেছেন-''ঈশ্বরের স্তুতি করলে তার প্রতি প্রীতি জন্মে। তার গুণ-কর্ম-স্বভাব দ্বারা নিজ গুণ কর্ম স্বভাবের সংশোধন হয়'' [সত্যার্থ প্রকাশ, সপ্তম সমুল্লাস] । যেমন ঈশ্বরের এক নাম 'শিব' [য়জুর্বেদ ১৬/২,৩,৪ ১৩] অর্থাৎ তিনি কল্যাণকারী, এই স্তুতি থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়া উচিত যে আমরাও যেন কল্যাণকারী হই। ঈশ্বরের আর এক নাম 'কবি' [য়জুর্বেদ ৪০/৮]  অর্থাৎ তিনি সর্বজ্ঞ। এই স্তুতি থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়া উচিত যে আমরাও যেন বেদ আদি শাস্ত্র দ্বারা অপরা-পরা বিদ্যা সম্পর্কে জ্ঞাত হই। ঈশ্বরের আর এক নাম 'শুদ্ধম্' অর্থাৎ তিনি শুদ্ধ, তিনি অবিদ্যা আদি দোষ রহিত, তাই আমরাও যেন অবিদ্যা আদি দোষ রহিত হতে পারি এবং শারীরিক ও মানসিক দিক দিয়ে শুদ্ধ থাকি। ঈশ্বর 'অপাপব...

ঈশ্বর কে ❓

ছবি
ঈশ্বর কে?  ईस्वर कौन हौ?   من هو الله / الخالق؟ Man Hu Alkhaliqu? ♦  ঈশ্বর স্ত্রী নাকি পুরুষ?  উত্তর :- • তিনি "অকায়ম্ "  (যজুর্বেদঃ- ৪০/৮)।  অর্থাৎ, তিনি কায়রহিত/ শরীররহিত বা নিরাকার।  সুতরাং, যেই পরমাত্মা শরীররহিত তার নারী-পুরুষ হবার প্রশ্নই আসে না।  আত্মার যেমন নারী-পুরুষ হয় না, পরমাত্মারও হয় না৷ নারী-পুরুষ ভেদ মনুষ্য দেহের হয়। • কঠোপনিষদ—২/৩/৮ - ঈশ্বর অলিঙ্গ বা লিঙ্গহীন বা চিহ্নহীন।    • ঈশ্বর স্ত্রীও নহেন, পুরুষও নহেন এবং নপুংসকও নহেন ; কেবল জ্ঞানমাত্র ;  অথচ তাঁহার উপরেই সমগ্র জগৎ রহিয়াছে।। [মহাভারত. শান্তিপর্ব- ২১৮/৯০]  ♦ নিবেদনে :- © ॐ শাস্ত্রপৃষ্ঠা 🙏 স্বাধ্যায়ান্মা প্রমদঃ    - স্বাধ্যায়ে/ অধ্যয়নে প্রমাদ করবে না।         [তৈত্তিরীয় উপনিষদ]   [ শিক্ষাবল্লী/১১ অনুবাক/১ম মন্ত্র ] প্রাচারে: Beauty of Veda

"হিন্দু শব্দের উৎপত্তি"

ছবি
______________"হিন্দু শব্দের উৎপত্তি"______________      "হিন্দু" শব্দ নিয়ে আজকের এই লেখা সকল সনাতন ধর্মাবলম্বী ভাই বোনদের জন্য। প্রাচীনকাল হতে আমাদের পরিচয়ে যে "আর্য" শব্দের প্রচলন ছিল, কিন্তু হটাৎ কবে থেকে তা "হিন্দু" হয়ে গেলো বা কোথা থেকে এই "হিন্দু" কথাটির উৎপত্তি হলো? আজ সে বিষয় নিয়েই আলোচনা করবো শাস্ত্র প্রমানসহ।  সবার প্রথমে "আর্য" কথাটি পরিষ্কার করে নেওয়া যাক। "আর্য" শব্দটি কোনো জাতিগত নাম নয়। "আর্য" হলো মানবের গুণগত অর্থাৎ গৌনিক নাম। আমাদের জাতি হলো একটাই তা "মনুষ্য" জাতি। "আর্য" শব্দের অর্থ হলো শ্রেষ্ঠ/জ্ঞানী ব্যক্তি, এর একটা সাধারণ প্রমাণ দিচ্ছি গীতা থেকে, ⭕️ দেখুন শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে কি বলছেন - "কুতস্ত্বা কশ্মলমিদম্‌ বিষমে সমুপস্থিতম্‌    অনার্যজুষ্টমস্বর্গ্যমকীর্তিকরমর্জুনঃ"                                        গীতা - ২ অঃ / শ্লোক ২ ভাবার্থ : হে অর্জুন! এই অসময়ে তোমার মধ্যে এরুপ মোহ কোথা হইতে এলো? শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিরা এমন আচরণ করে না এ...

📕 একাদশীতে উপবাস করা কতটা যুক্তিক?

ছবি
📕 একাদশীতে উপবাস করা কতটা যুক্তিক? 📖 গীতা: ৬/১৬ নাত্যশ্নতস্ত যোগোগস্তি ন চৈকান্তমনশ্নতঃ। ন চাতিস্বপ্নশীললস্য জাগ্রতো নৈব চার্জুন।। 👉অনুবাদঃ হে অর্জুন! যে অতিরিক্ত ভোজন করে অথবা উপবাস থাকে, আবার যে অতিরিক্ত নিদ্রা অথবা সমস্ত রাত্রি জাগিয়া থাকে, তাহার যোগ হয় না।    📖 গীতা: ৬/১৭ যুক্তাহারবিহারস্য যুক্তচেষ্টাস্য কর্মসু। যুক্তস্বপ্নাববোধস্য যোগো ভবতি দুঃখহা।। 👉অনুবাদঃ আহার, বিহার, কর্ম, নিদ্রা ও জাগরণে যিনি সমতা রাখিয়া চলেন, তাহার যোগ দুঃখনাশী হয়। 📖 গীতা ১৬/২৩ যঃ শাস্ত্রবিধিমুৎসৃজ্য বর্ততে কামকারতঃ। ন স সিদ্ধিমবাপ্নোতি ন সুখং ন পরাং গতিম্।।  👉অনুবাদঃ যে শাস্ত্রবিধি ( বেদ)পরিত্যাগ করে কামাচারে বর্তমান থাকে, সে সিদ্ধি, সুখ অথবা পরাগতি লাভ করতে পারে না। 📖 পদ্ম পুরান- সৃষ্টি খন্ড,অঃ -৩৪, শ্লোক- ৭৪  পতৌজীবতিয়ানারীউপবাসব্রতংআরেৎ। আয়ুষ্বংহরতেভর্তুর্মৃতানরকামিচ্ছতি।। 👉অনুবাদঃ পতির জীবিত অবস্থায় যে নারী উপবাসাদি ব্রত পালন করে,  সে নারী পতির আয়ু হরন করে এবং মৃত্যুর পর নরক কামনা করে।  🥱((পৌরনিকদের জন্য))🥱 অতএব, একাদশী পবিত্র বেদ ও গীতা, উপনিষদ, ...

🔸চাঁদের কি নিজস্ব কোন আলো আছে ❓

ছবি
ঋগ্বেদ ৫/৪০/৫ যত্ত্বা সূর্য স্বর্ভানুস্তমসাবিধ্যদাসুরঃ। অক্ষেত্রবিদ্যথা মুগ্ধো ভুবনান্যদীধয়ুঃ। "যত্ । ত্বা । সূর্য । স্বঽভানুঃ । তমসা । অবিধ্যত্ । আসুরঃ । অক্ষেত্রঽবিত্ । যথা । মুগ্ধঃ । ভুবনানি । অদীধয়ুঃ ।।" পদার্থ — হে (সূর্য) সূর্য ! (যত্) যে (ত্বা) তোমার (স্বর্ভানুঃ) প্রকাশ দ্বারা প্রকাশিত [কিন্তু] (আসুরঃ) স্বয়ং প্রকাশহীন অর্থাৎ অন্যের দ্বারা প্রকাশিত [চন্দ্র] (তমসা) অন্ধকারময় ভাগ দ্বারা [তোমায়] (অবিধ্যত্) বেধ করে অর্থাৎ আবৃত করে তখন (ভুবনানি) অন্য সমস্ত লোকও  অর্থাৎ নক্ষত্রাদি (অদীধয়ুঃ) এরূপ চমকিত হতে দেখা যায় (যথা) যার ফলে (অক্ষেত্রবিত্) অক্ষেত্রবিদ অর্থাৎ রেখাগণিত বা জ্যামিতি জ্ঞানে অজ্ঞ পুরুষ (মুগ্ধঃ) আশ্চর্য হয়ে যায়।   ভাবার্থ — চাঁদের নিজের আলো নেই,এটি সূর্যের দ্বারা আলোকিত হয়।কিন্তু যখন এই চাঁদ পরিভ্রমণরত অবস্থায় পৃথিবীর সাপেক্ষে সেই সূর্যের সাথে একই রেখায় অবস্থান করে,তখন পৃথিবী থেকে দেখা যায় চাঁদ তার অন্ধকার পৃষ্ঠ দ্বারা সম্পূর্ণ সূর্যকেই আবৃত করে ফেলছে।এই সময়ে পৃথিবী অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যায়।ফলে তখন পৃথিবী থেকে অসময়ে অন্যান্য নক্ষত্র সেগুলোও দৃশ্যমান হয়ে...

🔘 ব্রহ্মচারী কাকে বলে ❓

ছবি
🔘 ব্রহ্মচারী কাকে বলা হয় ? 🧘‍♂️🧘‍♀️ উত্তর : যিঁনি নিত্যকাল ব্রহ্মতত্ত্বে নির্ভুল ভাবে বিচরণ করেন । এবং শাশ্বত , সনাতন , সর্ব্বব্যপি , সর্ব্বপ্রাণ ব্রহ্মসাগরে ডুবে থেকে যিঁনি নিজের জন্ম-কর্মকে সার্থক করতে পারেন , তিঁনিই ব্রহ্মচারী । ও৩ম্ শান্তিঃ  শান্তিঃ শান্তিঃ 

🔸সাত্ত্বিক_আহার কেন গ্রহণ করবো?

ছবি
🔸সাত্ত্বিক_আহার কেন গ্রহণ করবো? 🍓অসাবি দেবং গোঋজীকমন্ধো ন্যস্মিন্নিন্দ্রো জনুষেমুবোচ। বোধামসি ত্বা হয়র্শ্ব য়জ্ঞৈবোধা ন স্তোমমন্ধসো মদেষু॥ (সামবেদ ৩১৩) অথবা (সামবেদ ৯/৩/১) 🍎সরলার্থঃ আহার সেটিই উত্তম যা কিনা উৎপাদন করা হয়েছে। আহার ভূমিমাতা থেকে উৎপন্ন শস্যাদিরই করা উচিত, সাথে গোদুগ্ধ। এই আহারই সাত্ত্বিক ও দৈবী সম্পত্তির জন্মদাতা। এই সাত্ত্বিক ভোজনে নিশ্চিতভাবেই, স্বভাবতই ইন্দ্রিয়সমূহের শাসক হওয়া যায়, দাস নয়। অর্থাৎ সাত্ত্বিক ভোজন দ্বারা ইন্দ্রিয়সমূহকে বশীভূত করা যায়। পক্ষান্তরে রাজসিক ও তামসিক আহার ইন্দ্রিয়ের দাসত্বের কারণ। প্রভু উপদেশ দিচ্ছেন শীঘ্রতাযুক্ত ইন্দ্রিয়রূপ অশ্বযুক্ত মানব ! তোমাকে যজ্ঞসমূহ দ্বারা জ্ঞানযুক্ত করি। ভক্ত বলছেন, সাত্ত্বিক আহারের আনন্দে বিহ্বলিত আমাদের স্তুতি সমূহকেও জ্ঞাত হও। অর্থাৎ, সাত্ত্বিক আহারী মানব প্রভুকে বিস্মৃত হয় না। বরং সর্বদা স্মরণ করে। 🍇ভাবার্থঃ পরমেশ্বরের উপাসনা দ্বারা যোগাভ্যাসী মানুষ নিজের ইন্দ্রিয়কে সরলপথে চালিত করতে পারে। এই জন্য সকলের শ্রদ্ধাপূর্বক পরমেশ্বরের উপাসনা করা উচিত।  🍉সাত্ত্বিক আহারের সুফলসমূহ -  ১...

What Is God in form or formless ❓

ছবি
বেদ অনুযায়ী ঈশ্বর নিরাকারঃ নিরাকার :- স পর্যগাচ্ছুক্রমকায়ম ব্রণম স্নাবিরং শুদ্ধ মপাপ বিদ্ধম্ কবির্মনীষী পরিভূঃ স্বয়ম্ভূর্যাথা তথ্যতোহর্থাম্ব্যদধাচ্ছা শ্বতীভ্যঃ সমাভ্যঃ ।। যজুর্বেদ. ৪০/৮৷ বঙ্গানুবাদঃ- পরমাত্মা সর্বব্যাপক, সর্বশক্তিমান, শরীররহিত, ছিদ্ররহিত, স্নায়ু আদির বন্ধন রহিত, রোগরোহিত, জম্মরহিত,শুদ্ধ, নিষ্পাপ, সর্বজ্ঞ, অন্তর্যামী, দুষ্টের দমন কর্তা ও অনাদি। তিনি তাহার শ্বাশত প্রজা জীবের জন্য যথাযথ ফলের বিধান করেন। ঈশ্বর এক — ন দ্বিতীয়ো ন তৃতীয় শ্চতুর্থো নাপ্যুচ্যতে। ন পঞ্চমো ন ষষ্ঠঃ সপ্তমো নাপ্যুচ্যতে। নাষ্টমো ন নবমো দশমো নাপ্যুচ্যতে। য এতং দেবমেক বৃতং বেদ।। অথর্ব্ববেদ. ১৩/৪/২ বঙ্গানুবাদঃ- পরমাত্মা এক, তিনি ছাড়া কেহই দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম, ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম, নবম বা দশম ঈশ্বর বলিয়া অভিহিত হয় না। যিনি তাঁহাকে শুধু এক বলিয়া জানেন তিনিই তাঁহাকে প্রাপ্ত হন। এক ঈশ্বর চিন্তন জ্ঞানীর, বহু ঈশ্বরের ধারণা মুর্খের। 🔸বেদ ও সাধারণ জ্ঞান অনুযায়ী তিনি নিরাকার। যদি তার একটি আকার থাকতো তবে তিনি সর্বত্র বিরাজমান হতে পারতেন না, কারণ আকার একটা নির্দিষ্ট সীমাবদ্ধ অস্তি...