পোস্টগুলি

সেপ্টেম্বর, ২০২৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

সংশয় || Qualms || বৈদিক প্রশ্নোত্তর || Beauty of veda || Vedas

ছবি
সংশয় || Qualms ||  বৈদিক প্রশ্নোত্তর || Beauty of veda || Vedas 🙏🕉️ নমস্কার 🕉️🙏 ➡️ ভোরের আলোয় যেমন সকল অন্ধকার দূরীভূত হয়ে আলোকিত হয়ে উঠে তেমনি মনুষ্য তাহার জীবনে সনাতন ধর্মের আলোয় নিজেকে আলোকিত করে। এটা সত্য!  মানুষ নাস্তিকতা বা ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাসহীন হয়ে বেঁচে থাকতে পারে এবং প্রগতি লাভ করতে পারে কিন্তু একজন ধার্মিক এর জীবন ততটাই সুশৃঙ্খল ও শ্রেষ্ঠত্ব পূর্ণ হয়ে উঠে যতটা একজন পথচারীর হাতে আলোর মশাল থাকলে তাহার চলার পথ সুগম হয়ে উঠে। রাত্রিকালীন সময়ে উভয় পথচারী গন্তব্যে পৌঁছতে ইচ্ছুক হলেও যাহার হাতে আলোর মশাল থাকে সে পথে হোঁচট না খেয়ে, সঠিক পথ অবলম্বন করে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে কিন্তু মশাল বিহীন ব্যক্তি তা পারে কি? সনাতন ধর্ম আমাদের জীবনে সে মশাল স্বরূপ যার আলোক জৌতি হলো পবিত্র বেদ ও বৈদিক শাস্ত্র সমূহের জ্ঞান এবং আমাদের লক্ষ্য বা গন্তব্য হলো মোক্ষ।  ➡️ নিজেকে অন্ধকারে নিমজ্জিত রাখার মাঝে কোনো শ্রেষ্ঠত্ব নেই বরং নিজের মনে উত্থিত হওয়া প্রশ্ন বা সংশয় নিবারণ করার মাধ্যমে ব্যক্তি হতে পারে শ্রেষ্ঠ। জ্ঞানই সেই সকল সংশয় নিবারণ করতে পারে। একজন আদর্শহীন,মূল্যবোধহীন...

Upanishad || উপনিষদ

ছবি
🙏🕉️ নমস্কার 🕉️🙏 ➡️জ্ঞানই আমাদেরকে অন্ধকার থেকে অমৃতের দিকে নিয়ে আসে। তাই সনাতন ধর্ম সর্বোপরি জ্ঞানস্বরুপ পরমাত্মার উপাসনা করে যিনি সর্বজ্ঞ। সনাতন ধর্ম তাহার দর্শনে শুধু জ্ঞানের স্থান দিয়েছে কারণ অজ্ঞানতা সকল জড়তা, মোহ ও পাপের মূল। সনাতন ধর্ম পবিত্র বেদ ব্যতীত আরো বহুল গ্রন্থের উপস্থিতি রয়েছে যা তাহার জ্ঞানের পরিধির পরিচয়কে প্রকাশ করে। বিজ্ঞান, দর্শন, জ্যামিতি, প্রকৃতি সকল বিষয়ের উন্মুক্ত আলোচনার স্থান দেয় সনাতন। তাই জন্য সনাতনে নাস্তিক্যবাদী চার্বাক দর্শনের প্রবক্তাকেও ঋষি বলে সম্বোধন করা হয়।  ➡️উপনিষদ সনাতন ধর্ম শাস্ত্রের জ্ঞানের আলোক জৌতি স্বরুপ। উপনিষদ এর রয়েছে যেমন দার্শনিক ভিত্তি, তেমনি রয়েছে ধর্মের অনন্য আলোচনা। বৈদিক দর্শনের মুকুটরুপ এই গ্রন্থসমূহকে শোপেনহাওয়ার , জোসেফ শেলিং ,এমারসন , থরো সহ অসংখ্য  পাশ্চাত্য পণ্ডিতগণ “মানবজ্ঞানের সর্বোচ্চ উৎকর্ষের বহিঃপ্রকাশ” বলে আখ্যায়িত করেছিলেন । বেদের অন্তে যে দর্শন পাওয়া যায় তাই বেদান্ত তথা উপনিষদ । উপনিষদ শব্দের অর্থ নিকটে এসে শোনা । প্রাচীন মহর্ষিদের তপোবনে গুরুগৃহে গুরুর নিকটে এসে শিষ্যদের প্রশ্ন ও গুরু কর্তৃক প...

বৈদিক গণিতের বিস্ময় ব্রহ্মগুপ্ত। 📖

ছবি
Brahmagupta (598 - 668 CE) was an Indian mathematician and astronomer. He is the author of two early works on mathematics and astronomy: the Brahmasphutasiddhanta (dated 628), a the- oretical treatise, and the Khandakhadyaka (dated 665), a more practical text. Brahmagupta was the first to give rules to compute with zero. The texts composed by Brahmagupta were in elliptic verse in Sanskrit, as was common practice in Indian mathematics. Brahmagupta was born in 598 CE according to his own state- ment. He lived in Bhillamala in Gurjaradesa (modern Bhinmal in Rajasthan, India) during the reign of the Chavda dynasty ruler, Vyagrahamukha. He was the son of Jishnugupta and was a Hindu by religion, in particular, a Shaivite. He lived and worked there for a good part of his life. Prithudaka Svamin, a later com- mentator, called him Bhillamalacharya, the teacher from Bhilla- mala. In the year 628, at the age of 30, he composed the Brahmas- phutasidd...

গীতায় সাত্ত্বিক, রাজসিক ও তামসিক সুখ ⁉️

ছবি
গীতায় সাত্ত্বিক, রাজসিক ও তামসিক সুখ ⁉️ 🕉️🙏নমস্কার🙏🕉️ ➡️ মনুষ্য জন্ম থেকে শুরু করে মৃত্যু অবধি সুখের অন্বেষণ করে। কিন্তু সে সুখ যেন অধরা। শ্রীমদ্ভগবদগীতায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ সে সুখের ব্যাখ্যা করেছেন সাত্ত্বিক, রাজসিক ও তামসিক অর্থে।  ➡️সাত্ত্বিক:  "যত্তদগ্রে বিষমিব পরিণামেহমৃতোপমম্।।  তৎসুখং সাত্ত্বিকং প্রোক্তমাত্মবুদ্ধিপ্রসাদজম্"।।  - গীতা ১৮/৩৭  অর্থাৎ, যে সুখ প্রথমে বিষের মতো কিন্তু পরিণামে অমৃততুল্য এবং আত্মনিষ্ঠ বুদ্ধির নির্মলতা থেকে জাত, সেই সুখ সাত্ত্বিক বলে কথিত হয়।    ➡️রাজসিক: বিষয়েন্দ্রিয়সংযোগাদ্-যত্তদগ্রেহমৃতোপমম। পরিণামে বিষমিব তৎসুখং রাজসং স্মৃতম্।। - গীতা ১৮/৩৮ অর্থাৎ, বিষয় ও ইন্দ্রিয়ের সংযোগের ফলে যে সুখ প্রথমে অমৃতের মতো এবং পরিণামে বিষের মতো অনুভূত হয়, সেই সুখ রাজসিক সুখ বলে কথিত হয়।  ➡️তামসিক:  যদগ্রে চানুবন্ধে চ সুখং মোহনমাত্মনঃ।  নিদ্রালস্যপ্রমাদোথং তত্তামসমুদাহৃতম্।। - গীতা ১৮/৩৯ অর্থাৎ, যে সুখ প্রথমে ও শেষে আত্মার মোহজনক এবং যা নিদ্রা, আলস্য ও প্রমাদ থেকে উৎপন্ন হয়, তা তামসিক সুখ বলে কথিত হয়।  জী...

নাসদীয় সূক্ত

ছবি
✅ নাসদীয় সূক্ত:- नासदासीन्नो सदासीत्तदानीं नासीद्रजो नो व्योमा परो यत्। किमावरीवः कुह कस्य शर्मन्नम्भः किमासीद्गहनं गभीरम् ॥১॥ নাসদাসীন্নো সদাসীত্তদানীং নাসীদ্রজো নো ব্যোমা পরো যৎ,। কিমবরীবঃ কুহ কস্য শর্মন্নম্ভঃ কিমাসীদগহনং গভীরম্।। অনুবাদ:  তখন(মুলারম্ভে) অসৎও ছিল না, সৎও ছিল না; অন্তরীক্ষ ছিল না এবং তাহার অতীত আকাশও ছিল না; কে (কাহাকে) আবরণ করিল? কোথায় কাহার স্থান ছিল? অগাধ ও গহন জল কি তখন ছিল? न मृत्युरासीदमृतं न तर्हि न रात्र्या अह्न आसीत्प्रकेतः। आनीदवातं स्वधया तदेकं तस्माद्धान्यन्न परः किञ्चनास ॥২॥ ন মৃত্যুরাসীদমৃতং ন তর্হি ন রাত্র্যা অহ্ন আসীৎ প্রকেতঃ,। আনীদবাতং স্বধয়া তদেকং তস্মাদ্ধানান্ন পরঃ কিং চনাস।। অনুবাদ: তখন মৃত্যুও ছিল না, অমৃতত্বও ছিল না; রাত্রি ও দিনের প্রভেদ ছিল না. সেই এক ও অদ্বিতীয় একমাত্র আপন শক্তি দ্বারাই, বায়ু ব্যতীত, শ্বাসোচ্ছ্বাস করিয়া স্ফূর্তিমান ছিলেন, তাঁহা ব্যতীত অন্য কিছুই ছিল না। तम आसीत्तमसा गूहळमग्रे प्रकेतं सलिलं सर्वाऽइदम्। तुच्छ्येनाभ्वपिहितं यदासीत्तपसस्तन्महिनाजायतैकम् ॥৩॥ তম আসীত্তমসা গৃহমগ্রেহপ্রকেতং সলিলং সর্বমা ইদম্।  ...

যোগেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ও গায়ত্রী উপাসনা

ছবি
নমস্কার সকল অমৃতের সন্তানগণ 🕉️🙏 ➡️✍️ পৃথিবীতে বহু মানুষ জন্মলাভ করে এবং প্রতিনিয়ত মৃত্যু বরণ করে। ইহা সমগ্র জগৎ অটুট নিয়ম। কিন্তু কিছু শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি এই জগৎ এ এমন কিছু কর্মসম্পাদন করে যা তাকে নিয়ে যায় শ্রেষ্ঠত্বের আসনে। সকলে তাহাকে অনুসরণ করে তেমনি শ্রেষ্ঠ হওয়ার অনুপ্রেরণা লাভ করে। সে শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিদের মধ্যে শ্রেষ্ঠতম আর্য শ্রেষ্ঠ যোগেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। তিনি ছিলেন ইতিহাস শ্রেষ্ঠ রাজনৈতিক চরিত্র, কুটনৈতিক এবং শ্রেষ্ঠ যোদ্ধা। মহাভারত অশ্বমেধিক পর্ব ৬৩/১৮-২২ বলা হয়েছে  "ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কখনো মিথ্যা বলতেন না, এমনকি হাস্য পরিহাসও না। সত্য ও ধর্মই তার মধ্যে নিত্য প্রতিষ্ঠিত ছিল। তিনি (ধর্ম) যুদ্ধে কখনো পৃষ্ঠ প্রদর্শন করতেন না।"  ➡️✍️সে আর্য শ্রেষ্ঠ এর জন্ম জয়ন্তী উপলক্ষে তাহার নিকট থেকে আমাদের অনুপ্রেরণা লাভ করার জন্য সামান্য কিছু তথ্যাদি উপস্থাপন। বাসুদেব শ্রীকৃষ্ণ ছিলেন বেদজ্ঞ জ্ঞানী। তিনি সকল সময় ধর্মাচরণ ও বেদবিহিত কর্মকে অনুসরণ করতেন। আমাদের অনেক এর জানার আগ্রহ রয়েছে যে যোগেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ নিজে কোন মহামন্ত্র জপ করতেন। এরুপ সংশয় নিবারণ এর জন্য উত্তর হলো ত...

Ayurvedic flu treatment || আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা

ছবি
 এই আয়ুর্বেদিক মিশ্রনটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করতে সাহায্য করবে, এবং এমনকি কাশি, সর্দি, সাইনোসাইটিস, অ্যালর্জি, ভাইরাল সংক্রমণ এবং জ্বরের মতো কাফজা ব্যাধি গুলো পরিচালনা করতে সহায়তা করবে । • মিশ্রনটি তৈরি করার উপকরণ গুলো :- • তুলসী- পবিত্র তুলসী যা শ্রেষ্ঠ অ্যান্টিসেপটিক এবং অ্যান্টি-ভাইরাল এবং অন্যান্য উপাদান যেমন:- •  শুঁথি ( শুকনো আদা পাউডার )- সেরা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি) • মরিচ ( গোল মরিচ) - শ্বাসযন্ত্রের ডিটক্সিফায়ার। সিস্টেম, গুডুচি (সাধারণ ভাষায় গিলয় নামে পরিচিত যা অমৃত নামে পরিচিত সেরা রোগ প্রতিরোধক ভেষজ) , •  হরিদ্রা ( হলুদ ) - সেরা অ্যান্টিবায়োটিক, কান্তকারি ( সর্বোত্তম কার্যকারি), • দারুচিনি-চর্বি/কাফা বার্নার। (আজয়াইন -হিট মসলা, ফেউগ্রিক-কাফজ রোগের জন্য সেরা,) • এলা (এলাচ) – মিষ্টি মশলা এবং ভাসা (সাধারণত আরদুসি/আরদুসি নামে পরিচিত) -কাশি, সর্দি এবং সাইনোসাইটিসের জন্য সেরা ভেষজ। সেবনের নিয়ম:- :- এই আয়ুর্বেদিক শুকনো শরবত সব বয়সের (বাচ্চা-প্রাপ্তবয়স্ক-বয়স্ক) দ্বারা খাওয়া যেতে পারে। :- প্রাপ্তবয়স্ক এবং বয়স্কদের জন্য -মধু/কুসুম গরম জ...

আয়ুর্বেদ শাস্ত্র কি ⁉️ প্রাচীন ভারতে আয়ুর্বেদ চর্চা !

ছবি
প্রাচীন ভারতবর্ষে জ্ঞানের সর্ববিধ শাখার অকল্পনীয় উন্নতি হয়েছিল। কাব‍্যের পরিধি থেকে বেরিয়ে এসে বিজ্ঞান সংক্রান্ত বা অন্যান্য বিদ্যার পরিধি লক্ষণীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছিল।  বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শাস্ত্রে র শাখাগুলির মধ্যে আছে আয়ুর্বেদ, জ্যোতির্বিদ্যা, গণিত, রসায়নবিদ্যা, ধাতুবিদ্যা, রত্নবিদ্যা, ভূগোল, কৃষি, সঙ্গীত,প্রসাধন,পাকশাস্ত্র এবং আরও অনেক কিছু। আয়ুর্বেদ শাস্ত্র কি আয়ুর্বেদ শব্দের মধ্যে দুটি পদ আছে- আয়ু ও বেদ। অর্থ জীবনের বিজ্ঞান। আয়ুর্বেদ পঞ্চম বেদ হিসেবে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত। এর জন্মও যুগযুগব‍্যাপী বিকাশ এই ভারতেই হয়েছে। কোন এক প্রাচীনকালে হিমালয়ের পাদদেশে ঋষিদের এক মহাসম্মেলনে আয়ুর্বেদের সৃষ্টি হয়েছিল। মহর্ষি আত্রেয়র সভাপতিত্বে তাঁর ছয়জন শিষ‍্য ছয়টি আয়ুর্বেদ গ্রন্থ রচনা করেছিলেন। তাই আয়ুর্বেদকে নিত‍্য ও অপৌরুষেয় বলা হলেও আয়ুর্বেদ গ্রন্থগুলি পৌরষেয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানে আয়ুর্বেদের উপযোগিতা কি ? যে শাস্ত্রের সাহায্যে আয়ু বা জীবন লাভ করা যায়, সেই শাস্ত্রকে বলা হয় আয়ুর্বেদ। ভারতে যে আয়ুর্বেদ বা চিকিৎসা বিজ্ঞান পরবর্তীকালে বিশেষ প্রতিষ্ঠা লাভ করেছিল, তার মূল...