পোস্টগুলি

জানুয়ারী, ২০২৪ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Big Bang Theory - মহাবিস্ফোরণ/সৃষ্টিতত্ত্ব:

ছবি
Big Bang Theory - মহাবিস্ফোরণ/সৃষ্টিতত্ত্ব:  এ জগৎ বহু রহস্যে আবৃত। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত জগৎ এর সকল অত্যাশ্চর্য আমাদের বিস্মিত করে এবং কৌতূহলী করে তোলে। সে কৌতূহল এর মধ্যে এ মহাবিশ্বের সৃষ্টির ধারণা আমাদের মাঝে সবচেয়ে বেশি আগ্রহ ও সংশয়ের জন্ম দেয়। কিছু শতাব্দী পূর্বেও মানুষ বিশ্বাস করতো যে এই বিশাল ব্রহ্মান্ড Static বা স্থির কিন্তু এরুপ ধারণা এখন আর প্রযোজ্য নয়। কারণ, আমাদের সকলের নিকট এখন এই তত্ত্ব পরিষ্কার যে মহাবিশ্ব সম্প্রসারণ হচ্ছে আলোর চেয়েও দ্রুত গতিতে। এই সম্প্রসারণ শুরু হয়েছিল সেই মহাবিস্ফোরণের মাধ্যমে। যা বিগব্যাং তত্ত্ব নামে পরিচিত। বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয়েছে বিগ ব্যাং নামক এক মহাজাগতিক বিষ্ফোড়নের মাধ্যমে যেটা ১০ থেকে ২০ বিলিয়ন বছর পূর্বে শুরু হয়েছিল। সৃষ্টির শুরুতে মহাবিশ্ব ছিল একটি গরম আগুনের গোলার মত। মহাবিষ্ফোড়নের প্রথম সেকেন্ড থেকেই মাধ্যাকর্ষণ সৃষ্টি হয়। মহাবিশ্ব তখন খুব দ্রুতই সম্প্রসারিত হতে লাগলো । চারিদিকে অতিপারমানবিক কণা গুলো ছড়িয়ে পড়ছিল যারা একে অপরের সাথে ধাক্কা খাচ্ছিল। এ সময় প্রোটন, ইলেক্ট্রন এবং নিউট্রনের সৃষ্টি হয়। ডাজ...

ঈশ্বর - দেবতা - ভগবান

ছবি
ঈশ্বর - দেবতা - ভগবান  ➡️ ঈশ্বর:  ধর্ম যা প্রাণী মাত্রই সুখ ও সমৃদ্ধির কামনা করার অনুপ্রেরণা প্রদান করে। ধর্ম মানবকে পশু থেকে ভিন্ন পরিচয় প্রদান করে। ধর্ম অর্থাৎ সত্য, ন্যায়, কল্যাণ, ক্ষমা, সাম্য, জ্ঞান, নৈতিকতা, মূল্যবোধ ইত্যাদি। যদি আমরা এসকল আদর্শকে ধারণ করি তবেই আমরা ধার্মিক। ধর্মের অন্যতম প্রধান বা মৌলিক সত্য হলো ঈশ্বর। কারণ ঈশ্বর ব্যতীত এ জগৎ সৃষ্টি, ধ্বংস কিংবা ভারসাম্য অসম্ভব। ঈশ্বরই ধর্মের সৃষ্টিকারী, ঈশ্বরই সকল কারণের মূল কারণ। তবে ঈশ্বর কে?  (ঈশ ঐশ্বর্য়ে) এই ধাতু থেকে ঈশ্বর শব্দ সিদ্ধ হয়।য় ঈষ্টে সর্বৈশ্বর্য়বান্ বর্ততে স ঈশ্বরঃ। অর্থাৎ, যাঁর সত্য,বিচারশীল,জ্ঞান এবং অনন্ত ঐশ্বর্য আছে,সেই পরমাত্মার নাম "ঈশ্বর"। যোগদর্শনে ঈশ্বর সম্পর্কে বলা হয়েছে  "ক্লেশকর্মবিপাকাশয়ৈরপরামৃষ্টঃ পুরুষবিশেষ ঈশ্বরঃ"  -যোগদর্শন ১/২৪ অর্থাৎ, অবিদ্যাদি পঞ্চ ক্লেশ, শুভ, অশুভ ,মিশ্র কর্ম, বিপাক বা কর্মফল, আশয় বা সুখ-দুঃখ ভোগের সংস্কার; এই সকল হতে সম্বন্ধ রহিত এবং জীব হতে ভিন্ন স্বভাবযুক্ত চেতন সত্তা বিশেষকে 'ঈশ্বর' বলা হয়। "ঈশ্বরঃ কারণং পুরুষকর্ম্মফলাদর্শনাৎ...

বিবাহের প্রকারভেদ

ছবি
"বিবাহের প্রকারভেদ" নমস্কার সকল অমৃতের সন্তানগণ 🔥🚩  মনুষ্য জন্ম গ্রহণ করে এবং সময়ের পরিক্রমায় সে হয়ে উঠে দায়িত্বশীল একজন ব্যক্তিত্ব। সেজন্য, জন্ম থেকে মৃত্যু অবধি মনুষ্যের রয়েছে কিছু বিবিধ সংস্কার। যা ১৬ সংস্কার নামে সমোধিক পরিচিত। সনাতন ধর্মে ১৬ সংস্কার পাশাপাশি জীবনকে মোক্ষ মার্গে পরিচালিত করার জন্য রয়েছে চতুরাশ্রম। যা একজন মনুষ্যের জীবনকে বিদ্যার্থী থেকে বিদ্বান এবং পরিশেষে আদর্শ মানব হিসেবে গড়ে তুলতে অপরিসীম ভূমিকা পালন করে। বিবাহ সংস্কার সেই চতুরাশ্রম এর ২য় আশ্রমের প্রবেশদ্বার।  বিবাহ সংস্কার মনুষ্যের জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে। এর মাধ্যমে একজন পুরুষ এবং নারীর মাঝে তৈরি হয় এক সেতুবন্ধন। নারী ও পুরুষ উভয়ে ব্রহ্মচর্য পূর্ণ করে গুরুকুল থেকে বেদবিদ্যাসহ বিবিধ জ্ঞান অর্জন করে গৃহে ফিরে আসে। দেশ, সমাজ ও ধর্মের প্রতি নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনের নিমিত্তে নিজেকে নিবেদিত করে। বিবাহ সেই নারী পুরুষ উভয়কে এক দৃঢ় বন্ধনে আবদ্ধ করে।  কিন্তু বিবাহ কত প্রকার এবং কোন বিবাহই সর্বোপরি উত্তম?  মানবজাতির আদি সংবিধানের প্রণেতা মহর্ষি মনু মনুস্মৃতির ৩য় অধ্যায়ের ২১তম ...

ত্রিবিধ দুঃখ

ছবি
নমস্কার সকল অমৃতের সন্তানগণ। 🙏🚩 📜✍️ মনুষ্য এ জগৎে বিবিধ সুখ ও দুঃখ ভোগ করে থাকে। কিছু দুঃখ তাহার কর্মফল হিসেবে সে ভোগ করে থাকে এবং কিছু দুঃখ প্রকৃতি থেকে পেয়ে থাকে আবার কিছু দুঃখ অপর মনুষ্য কর্তৃক প্রদত্ত হয়। সাংখ্য দর্শন অনুসারে– "কুত্রাপি কোঽপি সুখী ন" -সাংখ্য ৬।৭ অর্থাৎ, কোথাও কেউই সুখী নয় । জগৎ মাঝে কেউ পূর্ণ সুখী নয় বলে, আমরা পূর্ণ সুখ অর্থাৎ মোক্ষ অর্জনের লক্ষ্যে শাস্ত্রোক্ত কর্ম করে থাকি।  কিন্তু সেই দুঃখ সমূহ কি কি যা আমাদের এই মনুষ্য জন্মে ভোগ করতে হয় ? সাংখ্য দর্শনে বলা হয়েছে,  ❝অথ ত্রিবিধদুঃখাত্যন্তনিবৃত্তিরত্যন্ত পুরুষার্থঃ।❞ -[]সাংখ্য ১।১[]-  অর্থাৎ, তিন প্রকার দুঃখ থেকে অত্যন্ত নিবৃত্তিই হলো অত্যন্ত পুরুষার্থ (মোক্ষ) । সাংখ্য দর্শনে যে ত্রিবিধ দুঃখ হতে নিবৃত্তির উল্লেখ রয়েছে তা সনাতন শাস্ত্র অনুসারে হলো, ➡️ আধ্যাত্মিক দুঃখ– নিজের মনে হিংসা , বিদ্বেষ , অহংকার প্রভৃতি থেকে যে দুঃখ উৎপন্ন হয় । ➡️ আধিভৌতিক দুঃখ– আশ পাশের মানুষ , জীব-জন্তু প্রভৃতি থেকে যে দুঃখ প্রাপ্ত হয় ৷  ➡️আধিদৌবিক দুঃখ– ঝড় , বন্যা , খরা প্রভৃতি প্রাকৃতিক বস্তু থেকে যে দুঃখ...

সনাতন ধর্ম শাস্ত্রে ৩৩ কোটি দেবতা নাকি ৩৩ প্রকার দেবতার উল্লেখ রয়েছে ?

ছবি
সনাতন ধর্ম শাস্ত্রে ৩৩ কোটি দেবতা নাকি ৩৩ প্রকার দেবতার উল্লেখ রয়েছে ?  নমস্কার সকল অমৃতের সন্তানগণ 🔥🚩  সনাতন ধর্ম সর্বদা এক ও অদ্বিতীয় পরমাত্মার সর্বশ্রেষ্ঠত্ব স্বীকার করে এবং তাহারই উপাসনা করে। তিনি সুমহান, সর্বজ্ঞ, অন্তর্যামী এবং একমাত্র উপাস্য। তবে সনাতন ধর্ম শাস্ত্রে দেবতা বা দেবী শব্দের উল্লেখ রয়েছে। যা অনেক এর মনে সংশয়ের উদ্ভুত করে থাকে যে, মহান ঈশ্বর যদি এক ও অদ্বিতীয় হয়ে থাকে তাহলে দেবতা বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে। এরুপ সংশয়ের সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন কুচক্রীমহল সনাতনীদের  বিভ্রান্ত করার প্রয়াস করে থাকে যে, সনাতন ধর্মে ৩৩ কোটি দেবদেবী রয়েছে এবং একজন মনুষ্যের পক্ষে এত দেবদেবীর উপাসনা করা কিভাবে সম্ভব? তাই এরুপ সংশয় নিবারণে প্রয়োজন সত্যকে জানার। কারণ, সত্য জানার মাধ্যমে অন্ধকার থেকে অমৃতে ফিরে আসা সম্ভব।  দেবতা: নিরুক্তে দেব শব্দের বিবিধ অর্থ পরিলক্ষিত হয়। ''দেবো দানছা দীপনাথাদ্যোতনায়া দ্যুস্থানো ভবতীতি বা। য়ো দেবঃ সা দেবতা।'' - নিরুক্ত ৭:১৫  অর্থাৎ দেবের লক্ষণ হচ্ছে দান। সবার হিতার্থে যে দান করে, সে দেব বা দেবতা।  দেবতার গুণ হচ্ছে দীপন অর্থা...