পোস্টগুলি

মে, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

বিশ্ব মা দিবসে সকল "মা" দের শুভেচ্ছা। 🍂

ছবি
বিশ্ব মা দিবসে সকল "মা" দের শুভেচ্ছা।  • “মা” একটি সুমিষ্ট শব্দ। এই শব্দের গভীরতা যে কত, তা সবাই জানেন। • "মা"কে নিয়ে একটি কবিতাঃ "একট রং একটা তুলি  রাঙাবো আজ স্বপ্নগুলি,,,,  জাগে রাত জাগে তারা  ভাবনাগুলি বাধন হারা !!!!  কখনো রাগ কখনো হাসি  তারপরও তোমায় ভালোবাসি,,,,  • "দুনিয়ার সব কিছুই বদলাতে পারে, কিন্তু মায়ের ভালবাসা কখনো বদলাবার নয়..!! 🍂মহাভারতের মাকে নিয়ে বলা হয়েছে  মাতার সমান কোন রক্ষক নেইঃ মহাভারতঃ ‘নাস্তি মাতৃসমা ছায়া, নাস্তি মাতৃসমা গতিঃ। নাস্তি মাতৃসমং ত্রাণ, নাস্তি মাতৃসমা প্রিয়া॥’ [মহাভারত- শান্তি পর্ব, অধ্যায় ২০৬,শ্লোক ৩১] (অর্থাত, মাতার সমান কোন ছায়া নেই, মাতার সমান কোন আশ্রয় নেই। মাতার সমান কোন রক্ষক নেই এবং মাতার সমান কোন প্রিয় জিনিস হয় না।) মহাভারতঃ সমর্থ বাসমর্থ বা কৃশং বাপ্যকৃশং তথা, রক্ষত্যে সুতং মাতা নান্য পোষ্ট বিধানতঃ (মহাভারত শান্তপর্ব ২৬৬/২৯) (সন্তান সমর্থ হোক বা অসমর্থ হোক, দূর্বল হোক বা সফল হোক,মাতাই তাকে রক্ষা করেন। মা ছাড়া কেউ তাকে যথাযথভাবে পালন পোষণ করতে পারে না।)  • বেদে "মা" কে ঈশ্...

🔹 পবিত্র বেদ ঈশ্বরকৃত কি ❓ অন্যান্য গ্রন্থ ঘোষণা করে যে বেদ কি ঈশ্বরকৃত ❓

ছবি
🔹 অন্যান্য সকল গ্রন্থ গুলো ঘোষণা করে বেদ  ঈশ্বরকৃত  গ্রন্থ।  🍂 মুণ্ডকোপনিষদঃ ▪️ বেদবিবৃত বাক্যসকলই ঈশ্বরীয় জ্ঞানস্বরূপ ৷                              (মুণ্ডকোপনিষদ- 2/1/4) মুণ্ডকোপনিষদঃ ▪️ সেই পরমেশ্বর/পরমাত্মা হতেই ঋগ্বেদ, যজুর্বেদ, সামবেদাদি উৎপন্ন হয়েছে ৷                               (মুণ্ডকোপনিষদ- 2/1/7) বৃহদারণ্যক উপনিষদঃ ▪️ ঋগ্বেদ, যজুর্বেদ, সামবেদ ও অথর্ববেদ সেই মহান পরমেশ্বরের নিঃশ্বাস স্বরূপ ৷                      (বৃহদারণ্যক উপনিষদ- 4/5/11) গীতাঃ ▪️ জেনে রাখো, বেদ সরাসরি অক্ষর পরমাত্মা থেকে প্রকাশিত হয়েছে ৷                                (গীতা 3/15) মহাভারতঃ ▪️ সৃষ্টির আদিতে স্বয়ম্ভূ পরমাত্মা হতে এই বেদ বাণী প্রকাশিত হয়েছিল যার না আদি আছে, না তো অন্ত, যা নিত্য ...

🔹মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী সংক্ষিপ্ত জীবনীঃ 🍂

ছবি
🔹ভারতবর্ষে যুগের প্রয়োজনে বারে বারে বহু মহামানবের জন্ম হয়েছে সমাজকে সুস্থ করে তোলা ও সঠিক পরিচালনা করার জন্য। আমরা সেইসব মানুষের জীবনী নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করে মহামানবের স্তরে স্থান দিয়েছি। ভারতে যখন দয়ানন্দ সরস্বতী তাঁর মত করে সমাজ সংস্কার করার চেষ্টা করছেন, তখন এই বঙ্গ প্রদেশেও চলছে এক কথায় বাঙালি । রেনেসাঁ, বিদ্যাসাগর, রবীন্দ্রনাথ, শ্রীরামকৃষ্ণ, বিবেকানন্দ, রামমোহন সেতালিকা নিতান্তই ছোট নয়।হ্যাঁ, তার মধ্যে সামান্য সময়ের জন্য কলকাতায় এলেও আলাদা ভাবেই দৃষ্টি আকর্ষণ করেন মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী। দয়ানন্দ সরস্বতীকে অনেকেই প্রচলিত হিন্দু ধর্মের বিপরীত মনে করেন। আসলেও তাইই ছিলেন তিনি।তিনি ছিলেন সঠিক বৈদিক আচারের পক্ষে। অবৈদিক কোনও ক্রিয়া তাঁর কাছে ছিল অগ্রহণযোগ্য। এই মহামানব গুজরাট রাজ্যের কাঠিয়াবাড় এলাকার পুরাতন মৌর্ডি নামক রাজ্যের রাজধানী মৌর্তির নিকটস্থ টঙ্কারা গ্রামে ১৮২৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন।দয়ানন্দর পূর্ব নাম মূলজী শঙ্কর। তাঁর পিতার নাম কর্ষণজী ও পিতামহের নাম লালজি ত্রিপাড়ি – উদীচী শ্রেণীর ব্রাহ্মণ। বেদানুরাগী ও ধর্মভীরু কর্ষণজী ছিলেন উচ্চপদস্থ রাজকর্মচারী...

মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী 🍂

ছবি
🔴 মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী জন্ম : - গুজরাটের কাঠিয়াবাড় প্রদেশের মােভী রাজ্যের টংকারা নামক গ্রামে শ্রী কনজি তেওয়ারির ঘরে ১৮২৪ খ্রীঃ এক পুত্র জন্ম গ্রহণ করে । তাহার নাম রাখা হয় মূলশঙ্কর । এই পুত্ৰ গৃহত্যাগ করিয়া সন্ন্যাস গ্রহণ করিয়া স্বামী দয়ানন্দ নামে বিখ্যাত হন । 🔴 বাল্যশিক্ষা : -  ১৪ বৎসর বয়সে প্রথম ব্যাকরণ শব্দাবলীর অভ্যাস করিয়া সমস্ত যজুর্বেদ এবং অন্যান্য বেদের কিছু কিছু অংশ কণ্ঠস্থ করেন । 🔴 গৃহত্যাগ : - ১৮৪৬ খ্রীঃ প্রকৃত শিবের সন্ধান করিতে এবং মৃত্যুঞ্জয়ী হইবার উদ্দেশ্য লইয়া তিনি গৃহত্যাগ করেন। 🔴 সন্ন্যাসাশ্রমে দীক্ষা : - ১৮৪৮ খ্রীঃ স্বামী পূৰ্ণানন্দ সরস্বতীর নিকট সন্ন্যাস দীক্ষা লইয়া দয়ানন্দ সরস্বতী নাম গ্রহণ করেন । জ্বালানন্দ পুরী ও শিবানন্দ গিরির নিকট যােগবিদ্যায় দীক্ষিত হন । যােগবিদ্যা শিক্ষা ও শাস্ত্রাধ্যয়নের তীব্র আকাঙ্খ লইয়া তিনি ভারতবর্ষের গভীর অরণ্যে , অলােকনন্দার হিমাচ্ছাদিত তটভূমির শীতাধিক্য হিমালয়ের দুর্গম , হিমাবৃত , পর্বতশিখরের দুরারােহ মার্গের দুর্বিসহ ক্লেশ , বন-জঙ্গলের কন্টকাকীর্ণ পথে ক্ষত-বিক্ষত , পাদ-হস্ততল নির্গত রুধির ধারা , ...

🍂বেদে "হিংসা বা লোভ" নিয়ে কি আছে ❓

ছবি
🍂 বেদে   "হিংসা বা লোভ" নিয়ে কি আছে    ❓ ঘটনা ১ঃ স্ত্রী- দেখেছো পাশের বাড়ির দাদা তার স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে থাইল্যান্ড ঘুরে এলো,গতমাসেই ওরা নতুন গাড়ি কিনলো আর তুমি! ঈশ্বর জানে কোন পাপে তোমার ঘরে এসে পড়েছি! ঘটনা ২ঃ- স্বামী- তোমার বান্ধবীর যেমন রুপ তেমন গুণ,তার হাতের রান্না,যেন অমৃত আর এই তুমি!!!  আমার কপালে জুটেছো, তোমার  না আছে রূপ না আছে গুণ,না ঘরের না বাইরের কোন কাজে তুমি পারদর্শী!  ঘটনা ৩ঃ- পিতামাতা- বাবু তোর বন্ধুর রেজাল্ট এত ভালো আর তোর এ অবস্থা কেন!তোকে কি দেইনা আমরা!যা চাস পেয়ে যাস,তারপরও তোর কোন উন্নতি নেই!তোর কি ইচ্ছে করেনা তোর বন্ধুদের মতন ভালো ছাত্র হতে? এসকল কথা আমরা হরহামেশা শুনি এবং বলি যা বিষ রূপে মানুষের মনে আঘাত দেয়, লোভ অতি ভয়ানক জিনিস, যা কখনো মানুষকে সুখী হতে দেয়না। ঘটনা ৪ঃ শারীরিকভাবে দেখা যায় যে আমাদের পরিবারগুলোতে , এক ভাই বিদেশ থেকে কিছু টাকা ইনকাম করলে৷ তার অন্য ভাই তাকে হিংসা করে। এগুলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সবার পরিবারে হয়ে থাকে  !  হিংসা করে পারিবারিকভাবে একটা ঝামেলা সৃষ্টি হয়। এর কারণে  পরিবারে ...

🍂"হিংসা ও কুটিলতাবিহীন" জীবন " শ্রেয়ঃ🍁

ছবি
🌿 যজ্ঞমঞ্চারং বিশ্বঃ পরিতৃৎসি মে 🌿 🍂{ঋগ্বেদ◾১.১.৩}🍂 🍂হিংসা ও কুটিলতাবিহীন জীবন,যজ্ঞই সফল হয় এবং উত্তম ফল প্রদান করে!🍂

🍂বর্ণ পরিচয়ঃ- গীতায়ঃ 🍂

ছবি
বর্ণ পরিচয়ঃ “চাতুর্বর্ণ্যং ময়া সৃষ্টং গুণকর্মবিভাগশঃ। তস্য কর্তারমপি মাং বিদ্ধ্যকর্তারমব্যয়ম।।”                          [গীতা-(৪:১৩)] • ভাবার্থঃ  “প্রকৃতির তিনটি গুণ ও কর্ম অনুসারে আমি মানব-সমাজে চারিটি বর্ণবিভাগ সৃষ্টি করেছি।আমি এই প্রথার স্রষ্টা হলেও আমাকে অকর্তা এবং অব্যয় বলে জানবে।” "জ্ঞানেতে ব্রাক্ষণ আমি,ক্ষত্রিয় রক্ষায়.. বাণিজ্যিতে বৈশ্যরূপে জানিবে আমায়.. তপস্যাতে শুদ্র হই,শাস্ত্রে তাহাই জানি.. বর্ণ আমার কর্মগুণে,জন্মগুণে নয়.... আদি ভুমি পুত্র আমি,সনাতনীই আমার পরিচয়।"                                                                                 卐 ও৩ম্ কৃণ্বন্তো বিশ্বমার্যম   

🌿 বেদের গুরুত্ব ❗

ছবি
#মনুসংহিতা: [১/৮৫ "চারযুগে(সত্য,ত্রেতা, দ্বাপর,কলি)দায়িত্বের রকমভেদ রয়েছে কারন প্রতি যুগে মানুষের আয়ু হ্রাস পাচ্ছে" ১/৮৬ ""সত্য যুগে তপস্যা, ত্রেতায় জ্ঞান, দ্বাপর এ যজ্ঞাদি ও কলিতে দান ই শ্রেষ্ঠ ধর্ম।' (যদিও অনেক অপপ্রচারকারীরাই বলেন কলিতে নাকি হরিনাম ই একমাত্র ধর্ম!!!) ১/৮৭ "কিন্তু মহাবিশ্বের ভারসাম্য রক্ষার্থে সবসময় ই চার ধরনের পেশা ভাগ করা হয়েছে" ১/৮৮ "ব্রাক্ষ্মনরা নিজ স্বার্থত্যগ করে কাজ করবে,বেদ পরবেএবং তা অপরকে শেখাবে" ১/৮৯ "ক্ষত্রিয়রা বেদ পরবে,লোকরক্ষা ও রাজ্যপরিচালনায় নিযুক্ত থাকবে" ১/৯০ "বৈশ্যরা বেদ পরবে,ব্যবসা ওকৃষিকর্মে নিজেদের নিযুক্তকরবে" ১/৯১ "শুদ্ররা বেদ পাঠ করবে এবং সেবামুলক কর্মকান্ডে নিযুক্ত থাকবে"। সমগ্র মহাবিশ্ব ধ্বংস বা পুনঃসৃষ্টি হলেও বেদ সকল কালের জন্য প্রযোজ্য ও সর্বদা অপরিবর্তিত যুগ...।""      ঋগবেদ ১০/১৯০/১-৩]

🍂"মহাবীর পরশুরামের জন্মজয়ন্তীর শুভেচ্ছা" ♥

ছবি
🍂"ভৃগুকূলনন্দন জমদগ্নি পুত্র - অরিদল সংহারক - 🍁"মহাবীর পরশুরামের  জন্মজয়ন্তীর শুভেচ্ছা" ♥                               卐 `~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~` ☘️"অহিংসা পরমো ধর্ম্ম ; ধৰ্ম্ম হিংসা তথৈব চ"☘️ 🍂ভাবার্থঃ হিংসা না করা মানুষের প্রকৃত ধর্ম। কিন্তু ধর্ম রক্ষার প্রয়োজনে হিংসার আশ্রয় নেওয়া তার চেয়েও বড় ধর্ম। 🍂 `~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~`                             卐 🍂ও৩ম্ কৃণ্বন্তো বিশ্বমার্যম।🍂

🍀 সনাতন ধর্ম অনুযায়ী বিবাহ কত প্রকার❓

ছবি
সনাতন ধর্ম অনুযায়ী বিবাহ কত প্রকারঃ উত্তরঃ ব্রাহ্মো দৈবস্তথৈবার্ষঃ প্রাজাপত্যস্তথা S সুরঃ। গান্ধর্বো রাক্ষসশ্চৈব পৈশাচশ্চাষ্টমোSধমঃ ॥ মনু০ আট প্রকারের বিবাহ—ঃ •  প্রথম ব্রাহ্ম, •  দ্বিতীয় দৈব, •  তৃতীয় আর্য, • চতুর্থ প্রাজাপত্য, • পঞ্চম আসুর, • ষষ্ঠ গান্ধর্ব, • সপ্তম রাক্ষস, • অষ্টম পৈশাচ। •  এই সকল বিবাহের ব্যবস্থা এই রূপঃ— বর-কন্যা উভয়ে যথোচিত ব্রহ্মচর্য পালন করিয়া পূর্ণ বিদ্যাসম্পন্ন ধার্মিক ও সুশীল হইবে। তাহাদের পরস্পর প্রসন্নতার সহিত বিবাহ হওয়াকে ‘ব্রাহ্ম’ বিবাহ বলে। • বিস্তৃত যজ্ঞে ঋত্বিকর্মে নিযুক্ত জামাতাকে সালঙ্কারা কন্যা দান করাকে ‘ দৈব ’ বিবাহ বলে।   বরের নিকট হইতে কিছু গ্রহণের পরিবর্তে বিবাহ হওয়াকে ‘ আর্য ’, ধর্মোন্নতিকল্পে দুই জনের বিবাহ হওয়াকে প্রাজাপত্য,বর এবং কন্যাকে কিছু প্রদানপূর্বক বিবাহ হওয়াকে ‘ আসুর ’; অনিয়মে এবং অসময়ে বরকন্যা উভয়ে স্বেচ্ছায় কোন কারণ বশতঃ সংযোগ হওয়াকে ‘ গান্ধর্ব ’। যুদ্ধ করিয়া, বলাৎকার দ্বারা অর্থাৎ বলপূর্বক ছিনাইয়া লইয়া অথবা কপটতার দ্বারা কন্যাগ্রহণ করাকে ‘ রাক্ষস ’ এবং নিদ্রিত অথবা...

🍀বিবাহের বয়স এবং রীতি কোনটি উত্তম ❓

ছবি
☘️ বিবাহের বয়স এবং রীতি কোনটি উত্তম? 🍀 উত্তরঃ ষোড়শ বর্ষ হইতে চতুর্বিংশতি বর্ষ পর্যন্ত কন্যার এবং পঞ্চাবিংশতি বর্ষ হইতে - অষ্টাচত্বারিংশৎ বর্ষ পর্যন্ত পুরুষের বিবাহের উত্তম বয়স। ষোড়শ এবং পঞ্চবিংশ বৎসর বয়সে বিবাহ ‘নিকৃষ্ট’। অষ্টাদশ অথবা বিংশ বৎসরের স্ত্রীর সহিত ত্রিংশ, পঞ্চত্রিংশ বা চত্বারিংশ বর্ষের পুরুষের বিবাহ ‘মধ্যম’, চতুর্বিংশ বর্ষের স্ত্রী এবং অষ্টাচত্বারিংশ বর্ষের পুরুষের বিবাহ ‘উত্তম’। যে দেশের বিবাহবিধি এইরূপ উৎকৃষ্ট এবং যে দেশে ব্রহ্মচর্য্য ও বিদ্যাভ্যাস অধিক হয়, সেই দেশ সুখী এবং যে যে দেশে বাল্যাবস্থায় তথা অযোগ্যদের বিবাহ হয়, সেই দেশ দুঃখে নিমজ্জিত হয়। কেননা, ব্রহ্মচর্য্য ও বিদ্যাধ্যয়ন পূর্বক বিবাহের সংস্কার। সকল বিষয়ের সংস্কার এবং উহার বিকৃতি দ্বারাই সকল বিষয়ের বিকৃতি ঘটিয়া থাকে। তথ্যসূত্রঃ "সত্যার্থ প্রকাশ" ✍️ হৃদয় সূত্রধর 

ব্রাহ্মণ কে ❓

ছবি
ব্রাহ্মণ কাকে বলে Brahman kake bole Who is Brahmin #ব্রাহ্মণ কাকে বলে | #Brahman kake bole | Who is #Brahmin ?  পবিত্র বেদ মন্ত্র ও অন্যান্য ধর্ম গ্রহন্থের রেফারেন্স : 👍 👇👇👇👇👇 #পবিত্র বেদ ভাষ্য এবং বর্ণপ্রথা সনাতনী সমাজের অধঃপতনের আরেক কারণ বর্ণপ্রথা। নামের শেষে টাইটেলের তকমা,আর সমাজ নিয়ন্ত্রন যেন এরাই করে। আর কোথাও দেখতে পান বা না পান বিয়ের বাজারে টাইটেলের মুল্য কতখানি তা হারে হারে টের পাবেন! আজ জেনে নিব, বেদভাষ্য মতে ব্রাহ্মণ কে?? যে ঈশ্বরের প্রতি গভীর ভাবে অনুরক্ত,অহিংস, সৎ, নিষ্ঠাবান, সুশৃঙ্খল, বেদ প্রচারকারী, বেদ জ্ঞানী, নিয়মিত বেদোক্ত অনুসারে ধ্যান যজ্ঞাদি কর্মে লিপ্ত, সে ব্রাহ্মণ।  ঋগ্বেদ ৭.১০৩.৭,৮,৯ ব্রহ্ম হি ব্রাহ্মণঃ (শতপথ ব্রাহ্মণ ৫.১.১.১১) অর্থাৎ, যিনি ব্রহ্মজ্ঞান সম্পন্ন, উত্তম কর্ম সম্পাদন কারী তিনিই ব্রাহ্মণ। অধ্যাপনমধ্যয়নং যজনং যাজনং তথা। দানং প্রতিগ্রহঞ্চৈব ব্রাহ্মণামকল্প্যত।। (মনুসংহিতা ১.৮৭) অর্থাৎ, অধ্যাপন,অধ্যয়ন, যজন, যাজন, দান ও প্রতিগ্রহ যারা করেন তারাই ব্রাহ্মণ। শুধু বেদ নয়, গীতায় ও এ সম্পর্কে বলা হয়েছে, শমো দমস্তপঃ শৌচং ক্ষান্তিরাজর্ব...

☘️ আমাদের ধর্মে কি জাত-পাত ভেদাভেদ আছে ❓

ছবি
☘️অনেকেই অনেক সন্দেহ প্রবণ হয়ে থাকেন, আমাদের ধর্মে কি জাত-পাত ভেদাভেদ আছে ❓ • প্রমাণ্য শাস্ত্র শ্রুতির আলোকে বলি, বিন্দুমাত্রও নেই।  • যেখানে পরমাত্মার নিকটই সকলে সমান, সেখানে আমরা অনন্ত ব্রহ্মাণ্ডের একটি ক্ষুদ্রাংশের জীব হয়ে কিভাবে ভেদাভেদ করব?!  "অজ্যেষ্ঠাসো অকনিষ্ঠাস এতে সং ভ্রাতরো বাবৃধুঃ" (ঋগ্বেদ ৫.৬০.৫) পরমাত্মার নিকট কোন মানুষই বড় বা ছোট নয়। সকল মানুষই সমান এবং পরস্পরের ভ্রাতৃস্বরূপ। "সমানো মন্ত্রঃ সমিতিঃ সমানী সমানং ব্রতং সহ চিত্তমেষাম্। সমানেন বো হবিষা জুহোমি সমানং চেতো অভিসংবিশধ্বম্ "    (অথর্ববেদ ৬.৬৪.২) অর্থাৎ তোমাদের চিন্তা-চেতনা এক হোক, তোমাদের মন এক হোক, তোমাদের সম্মেলন, আধ্যাত্মিকতা এক হোক, পান, ভোজন একসাথে হোক, সকলের লক্ষ্য এক হোক।   "সং গচ্ছধ্বং সং বদধ্বং সং বো মনাংসি জানতাম্" (ঋগ্বেদ ১.১৯১.২) হে মনুষ্য! একসাথে চলো, একসাথে বলো, তোমাদের মন সমান বিচার-সম্পন্ন হোক। তাই যারা জাত-পাত নিয়ে এখনো অহংকার ও অন্ধবিশ্বাসে ডুবে আছে তাদের ত্যাগ করা উচিত।  ও৩ম্ শান্তিঃ  শান্তিঃ  শান্তিঃ

☘️ মহাবিশ্বের প্রাথমিক অবস্থা ও সৃষ্টিতত্ত্বঃ ☘️

ছবি
🌿মহাবিশ্বের প্রাথমিক অবস্থা ও সৃষ্টিতত্ত্বঃ মহাবিশ্বের প্রাথমিক অবস্থায় ছিল শূন্য তাপমাত্রা। জিরো ডেনসিটি নো ফোর্স জিরো নয়েস বা ফ্রিকোয়েন্সি। সুপ্ত অবস্থায় একটি মহাবিশ্ব। পদার্থের সমস্ত বৈশিষ্ট্য ভর সহ নিষ্ক্রিয় ছিল কারণ পদার্থের বৈশিষ্ট্যগুলি নিজেই নিষ্ক্রিয় ছিল সুতরাং মহাবিশ্বের সেই অবস্থাটি সনাক্ত করা অসম্ভব, পদার্থের সমস্ত বৈশিষ্ট্য স্লিপিং মোডে ছিল। মহাবিশ্বের শুরুতে পদার্থের প্রাথমিক অবস্থাঃ ১. এটি শূন্য তাপমাত্রা ছিল ২. শূন্য ঘনত্ব ৩. শূন্য বল ৪. অত্যন্ত শান্ত ৫. গতি শূন্য ৬. তখন সময় ও ছিল না ৭. আকাশ ছিল না ৮. তখন দিক ছিল না ৯. এটি সুপ্ত অবস্থায় ছিল ১০. ভর সহ সমস্ত পদার্থের বৈশিষ্ট্য নিষ্ক্রিয় ছিল। মহাবিশ্বের মূল বিষয় [মূল প্রকৃতি] বা বস্তুগত কারণের ৩ টি বৈশিষ্ট্য রয়েছে সত্ত্ব ( Force ) রজঃ ( Matter / mass ) তমঃ (Motion), এই তিনটি বৈশিষ্ট্য যা মহাবিশ্বের শুরু হওয়ার সময় নিষ্ক্রিয় থাকে। সত্ত্বঃ, রজঃ, তমঃ এই তিন গুণের সাম্য অবস্থার নামই প্রকৃতি ( সাংখ্য ১/২৬)।। পরমাত্মা ঐ প্রকৃতিতে বাক্ রশ্মি যোগ করে দেয়। পরা ওম্ রশ্মির নাম বাক্ রশ্মি। বাক্ বৈ ভর্গঃ।। বাক্...

🌿 ব্রহ্মচর্যাশ্রম কী ❓

ছবি
🌸 ব্রহ্মচর্যাশ্রম কী ⁉️ 👉 মানবজীবনের চার আশ্রমের প্রথম আশ্রম হল ব্রহ্মচর্যাশ্রম। উপনয়নের পর গুরুগৃহে শিক্ষালাভের সময়কালকে বলার হয় ব্রহ্মচর্য আশ্রম ।  👉 গার্হস্থ্য আশ্রমের পূর্ব পর্যন্ত এই আশ্রমের স্থিতিকাল ৷ ব্রহ্মচর্য পালনকারীদের বলা হয় ব্রহ্মচারী। আর নারীদের বলা হয় ব্রহ্মচারিণী । ব্রহ্মচর্য শব্দটিকে বিশ্লেষণ করলে পাওয়া যায় - ব্রহ্মন্ - চর-য। আলোচনার সুবিধার্থে আমরা ব্রহ্মচারী শব্দটিই ব্যবহার করবো কেননা বিধি ও বিধান উভয়ের জন্যই প্রযোজ্য🚩 💥 ব্রহ্মচারী অর্থ কি? 'ব্রহ্মন্' শব্দের অর্থ - পরব্রহ্ম, বেদমন্ত্র, বেদ, ওঙ্কার, ব্রাহ্মণ, ব্রহ্মশক্তি, জ্ঞান, তপ, পবিত্রতা, মুক্তি, সত্য, অন্ন, ধন, জল, সূর্য, মহত্ত্ব, বৃহত্তম ইত্যাদি । ' বৃহ - মন্‌' ধাতু থেকে ব্রহ্ম শব্দটি নিষ্পন্ন হয়েছে। এই ধাতুর অর্থ - বৃদ্ধি করা, উন্নত করা, বিকশিত করা, প্রগতিশীল করা, ব্যাপ্ত হওয়া। এই জন্য 'ব্রহ্ম' শব্দের অর্থ - বৃদ্ধি, প্রসারণ, বিকশিত ইত্যাদি হওয়া সম্ভব । 'চারী' (চারিন্) শব্দের অর্থ - চলনকারী, গতিশীল, উদ্যমী, পুরুষার্থী ইত্যাদি । 🚩অতএব, " 'ব্রহ...

🌿 কোন পথে যাবো আমরা ❓

ছবি
কোন পথে যাবো আমরা ⁉️ 🌸মৈতং পন্থামনু গা ভীম এষ যেন পূর্বং নেয়থ তং ব্রবীমি। তম এতৎপুরুষ মা প্র পত্থা ভয়ং পরস্তাদভয়ং তে অৰ্বাক্ ॥ 🌸 [অথর্ববেদ ৮।১।১০] 🔸অনুবাদঃ (এতম্) এই (পন্থাম্) পথে [অধর্মপথ] (মা অনু গাঃ) কখনো যেও না, (এষঃ) এটি (ভীমঃ) ভয়ানক, (যেন) যেই [মার্গে] (পূর্বম) এর আগে (ন ইয়থ) তুমি যাওনি, (তম্) সেই [মার্গ] সম্পর্কে (ব্রবীমি) আমি বলছি। (পুরুষ) হে মানব! (এতৎ) এই (তমঃ) অন্ধকারে (প্র) সামনে (মা পত্থাঃ) পা বাড়িও না (পরস্তাৎ) দূরস্থানে [কুপথ] (ভয়ম্) ভয় রয়েছে, (অর্বাক্) এদিকে [ধর্মপথে ] (তে) তোমার জন্য (অভয়ম্) অভয় রয়েছে ॥🚩 🔹জীবনে চলার পথ অত্যন্ত বন্ধুর। এই জড় জাগতিক জীবনে পারে। সাধারণ মানবগণ তো সামান্যই ‼️ কঃ পন্থাঃ❔ পথ কি ⁉️ 👉এটি সনাতন প্রশ্ন । অনাদিকাল হলে মানব এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে আসছে। দেশ-কাল - পাত্রভেদে কখনো কখনো জীবনের কোন এক একান্ত সময়ে নিজের মনে এই প্রশ্নের উদ্রেক হয়নি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর । খুব অল্প মহাত্মাই আছেন যারা কিনা এই প্রশ্নের উত্তর জানতে পেরেছে ও সেই অনুযায়ী জীবনকে সামনে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন।♥ 🌸মৈতং পন্থামনু গা.. 🌸  ...

🔥 বেদোৎপত্তি (বেদ উৎপত্তি) 🔥 :↓↓

ছবি
🔥 বেদোৎপত্তি (বেদ উৎপত্তি) 🔥 :↓↓ 🔹 তস্মাদ্যজ্ঞাৎ'সর্বহুত ঋচঃ সামা'নি জজ্ঞিরে। ছন্দাংনি জজ্ঞিরে তস্মাদ্যজুস্তস্মা'দজাযত।।  (১) [যজুর্বেদ অধ্যায় ৩১ মন্ত্র ০৭ ] 🔹য়স্মাদৃচো' অপা'তক্ষন্ য়জুয়'স্মাদপাক'ষন্। সামা'নি য়স্য লোমান্যথর্বংঙ্গিরসো মুখম্। স্কম্ভং তং ব্রূহি কতমঃ স্বিদেব সঃ।।  (২) [অথর্ববেদ কাং ১০ প্রপা ২৩ অনু ০৪ মং ২০] 🔸ভাষার্থঃ প্রথমে ঈশ্বরকে নমস্কার ও প্রার্থনা করিয়া, তৎ পশ্চাৎ বেদোৎপত্তি বিষয় 💥অর্থাৎ কোথা হইতে বেদ উৎপন্ন হইয়াছে, তাহা লিখিত হইতেছে।(মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী) (তস্মাৎ যজ্ঞাৎ ) সৎ যাঁহার কদাপি নাশ হয় না চিৎ যিনি সদা জ্ঞান স্বরূপ, যাঁহার কদাপি লেশমাত্র অজ্ঞান নাই আনন্দ যিনি সদা সুখস্বরূপ এবং সকলের সুখদাতা, এবস্তৃত সচ্চিদানন্দাদি | লক্ষণযুক্ত সর্বত্র পরিপূর্ণ, সকলের উপাসনার যোগ্য, ইষ্টদেব ও সর্বশক্তিমান পরমব্রহ্ম হইতে (ঋচঃ) ঋগ্বেদ ( য়জু) যজুর্বেদ (সামানি) সামবেদ (ছন্দাংসি) এবং অথর্ববেদ প্রকাশিত হইয়াছে। এজন্য সকলেরই বেদশাস্ত্র গ্রহণ ও তদনুযায়ী আচরণ করা কর্তব্য। বেদ অনেক বিদ্যার আধার, ইহা প্রকাশ করিবার জন্য, 'জ...