পোস্টগুলি

আগস্ট, ২০২৫ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

"যা ছিল সনাতনী সমাজে,কিন্তু নেই সনাতন শাস্ত্রে"

ছবি
"যা ছিল সনাতনী সমাজে, কিন্তু নেই সনাতন শাস্ত্রে" সনাতন ধর্ম সদা সত্য ও যৌক্তিক সিদ্ধান্ত প্রদান করে। বৈষম্য কিংবা কুসংস্কার এর স্থান নেই সনাতন ধর্মে। যুক্তিতর্কের মাধ্যমে যেকোনো সংশয় নিবারন করার পরম্পরা সনাতনের ঐতিহ্য। সেজন্য, একজন সনাতনী তাহার কর্তব্য অকর্তব্য নির্ধারণে শাস্ত্রকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে।  কিন্তু সময়ের আবর্তে বিভিন্ন সময়ে কিছু স্বার্থান্বেষী, অজ্ঞানী ব্যক্তিদের মূর্খতারূপ সিদ্ধান্তের কারণে কুসংস্কার সমাজে নিয়ে আসে দুর্দশা ও বৈষম্য। যা সাম্য ভিত্তিক সমাজে বৈষম্য, সুন্দর সমাজকে কুৎসিত এবং ধার্মিক সমাজে পাপাচারের প্রতিষ্ঠা করে থাকে। ধর্মের আড়ালে অধর্মকে মূল উপজীব্য করে তোলা হয়। ফলস্বরূপ, সমাজ হয়ে উঠে বসবাসের অযোগ্য। সেজন্য, সনাতনী সমাজকে কুসংস্কার মুক্ত করতে বারংবার মনিষীগণ আশ্রয় নিয়েছেন ধর্মশাস্ত্রের।  সতীদাহপ্রথা:  মধ্যযুগে প্রচলিত সতীদাহপ্রথা ছিল এক বর্বর প্রথা। সহমরণ এর মতো স্বইচ্ছা সিদ্ধান্তকে জোরপূর্বক বাধ্য করার মাধ্যমে সতীদাহ প্রথা চলতে থাকে শত শত বৎসর ধরে। রাজা রামমোহন রায় এই কুপ্রথা বিলুপ্তির জন্য প্রাণপণ সংগ্রাম করেন। ফলশ্রুতিতে, লর্ড বেন্...

"ইতিহাসগ্রন্থ হতে ধর্মশিক্ষা" - ০৬

ছবি
"ইতিহাস হতে ধর্মশিক্ষা -মহাভারতের ধর্মবৃক্ষ" ধর্ম সদা পরম আশ্রয়। এই সমাজে ধার্মিক ও অধার্মিক উভয় শ্রেণীর মানুষের বসবাস। কিন্তু সে সমাজের ধর্ম ও অধর্মের চরিত্র সমূহের অবস্থান থাকে ভিন্ন। মহাভারতের সে উভয় প্রকৃতির মনুষ্যের অবস্থান বর্নিত হয়েছে।  অধর্ম বৃক্ষ:  "সুয়োধনো মন্যুময়ো মহাদ্রুমঃ স্কন্ধঃ কর্ণঃ শকুনিস্তস্য শাখাঃ । দুঃশাসনঃ পুষ্পফলে সমৃদ্ধে মূলং রাজা ধৃতরাষ্ট্রোঽমনীষী ॥" - মহাভারত ৫/২৯/৫২ অর্থাৎ, দুর্যোধন ক্রোধপূর্ণ বিশাল বৃক্ষ সমতুল্য, কর্ণ সেই বৃক্ষের কাণ্ড, শকুনি তার শাখা এবং দুঃশাসন সমৃদ্ধ ফল-ফুল। অজ্ঞ রাজা ধৃতরাষ্ট্রই এর মূল (শিকড়)। ধর্ম বৃক্ষ: "যুধিষ্ঠিরো ধর্মময়ো মহাদ্রুমঃ স্কন্ধোঽর্জুনো ভীমসেনোঽস্য শাখাঃ।  মাদ্রীসুতৌ পুষ্পফলে সমৃদ্ধে মূলং কৃষ্ণো ব্রহ্ম চ ব্রাহ্মণাশ্চ ॥" - মহাভারত ৫/২৯/৫৩ অর্থাৎ, যুধিষ্ঠির ধর্মপূর্ণ বিশাল বৃক্ষ, অর্জুন (সেই বৃক্ষের) কাণ্ড, ভীমসেন শাখা এবং মাদ্রীনন্দনদ্বয় নকুল-সহদেব এর সমৃদ্ধ ফল-ফুল। আমি (শ্রীকৃষ্ণ) , বেদ ও ব্রাহ্মণই এই বৃক্ষের মূল (শিকড়)। ধর্ম ও অধর্ম বৃক্ষ একই দৃশ্যপটে অবস্থান। কিন্তু একজন মনুষ্য হি...

"ইতিহাসগ্রন্থ হতে ধর্মশিক্ষা" - ০৫

ছবি
"ইতিহাসগ্রন্থ হতে ধর্মশিক্ষা - Meritocracy" শাসক সর্বদা নিজ গুণাবলির উপর ভিত্তি করে শাসনকার্য পরিচালনা করতে পারে নাহ। উত্তম শাসন সেটাই - যেখানে শাসকের উপদেষ্টা কিংবা পরিচালনা পর্ষদে মেধাবী ও জ্ঞানীর সমাবেশ ঘটে। সে জ্ঞানী পার্ষদগণের অর্জিত জ্ঞান ও মেধা শাসককে উত্তম সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও প্রজা কল্যাণের জন্য অগ্রসর হতে সহায়তা করে থাকে। গণতন্ত্র কিংবা সমাজতন্ত্র বা রাজতন্ত্র - প্রতিটি শাসনকার্যে মেধাতন্ত্র বা Meritocracy এর যথাযথ মূল্যায়ন হওয়া আবশ্যক। গনতন্ত্র বহুমত এর ভিত্তিতে আসা প্রতিনিধি কিংবা রাজতন্ত্রে রাজার প্রিয় ব্যক্তি যদি উত্তম গুণগত সম্পন্ন না হওয়া সত্ত্বেও নিয়োগপ্রাপ্ত হয় তবে সে রাজ্যের জন্য হিতকর কোনো কার্যক্রম করতে পারে নাহ। কিন্তু শাসক যদি উত্তম গুণগত ব্যক্তিকে পর্ষদে স্থান দেয়, তবে সে শাসক ও রাজ্যের জন্য উত্তম সিদ্ধান্ত বয়ে নিয়ে আসে। সেজন্য, শাসককে সর্বদা নিজ মূখ্যমন্ত্রীদের পরামর্শ গ্রহণ এবং শ্রেষ্ঠদের অভিমত বিবেচনা করা উচিত। যদি শাসক উত্তম ব্যক্তিদের পরিবর্তে অধম বা নীচব্যক্তিদের পরামর্শ গ্রহণ করে, তবে সে শাসকের পতন অনিবার্য। উদাহরণস্বরূপ, হস্তিনাপুরের ...

"ইতিহাসগ্রন্থ হতে ধর্মশিক্ষা" - ০৪

ছবি
"ইতিহাস হতে ধর্মশিক্ষা - জুয়ায় আসক্তির পরিণাম" ক্রীড়া আমাদের মন-শরীরের জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ। মানসিক শান্তি ও শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ক্রীড়া বা খেলাধুলা আমাদের জন্য সত্যিকার অর্থে উপযোগী মাধ্যম। সেজন্য, স্বামী বিবেকানন্দ শ্রীমদ্ভগবদগীতা পাঠের পূর্বে ফুটবল খেলার উপদেশ দিয়েছিলেন। সুস্থ দেহে সুস্থ মন গঠনে খেলাধুলার গুরুত্ব সর্বাধিক।  ক্রীড়া বিবিধ প্রকারের হয়ে থাকে। কিছু খেলা শারীরিক কসরত এর উপর ভিত্তি করে, যেমন কুস্তি, কাবাডি, সাঁতার আবার কিছু খেলা মানসিক বা বুদ্ধিভিত্তিক যেমন দাবা। কিন্তু সে ক্রীড়া সর্বদা শারীরিক বা মানসিক প্রশান্তির জন্য হয় নাহ, বরং লোভাতুর চিন্তার উপর ভিত্তি করে হয়ে থাকে। যা প্রচলিত বাংলায়, জুয়া হিসেবে স্বীকৃত। প্রাচীন সময় থেকে বর্তমান পর্যন্ত জুয়া এমন এক অবৈধ ক্রীড়া যা ব্যক্তিকে সর্বশান্ত করে দেয়। শুধু সেই ব্যক্তি বিনাশপ্রাপ্ত হয় তা নহে, বরং সে তার সম্পূর্ণ পরিবারকেও ধ্বংসের সম্মুখীন করে তোলে। জীবনের এক পর্যায়ে সে ব্যক্তি, হতাশার চরম বিষাদে নিষ্পেষিত হতে হতে বেছে নেয় আত্মহননের মতো অধর্মকে।  জুয়া খেলা সনাতন শাস্ত্র অনুসারে নিষিদ্ধ কর্ম। কিন্তু ব...

"ইতিহাসগ্রন্থ হতে ধর্মশিক্ষা" - ০৩

ছবি
"ইতিহাসগ্রন্থ হতে ধর্মশিক্ষা - যথোপযুক্ত ব্যবহার" ব্যবহার আমাদের পরিচয় করিয়ে দেয় অপরের নিকট যে আমরা কতটুকু সুশিক্ষিত ও উত্তম ব্যক্তি। কদর্য ব্যবহার কিংবা শঠতা, প্রতারণা, সুযোগসন্ধানী অভিব্যক্তি সম্পন্ন মনুষ্যকে সকলেই ঘৃণা করে এবং এড়িয়ে চলার প্রয়াস করে থাকে। কারণ, সে ব্যক্তির ব্যবহার যথোপযুক্ত নয়। যে সর্বদা অপরের ক্ষতি ও নিজ স্বার্থ চরিতার্থ করতে বদ্ধপরিকর, সে এই জগতের জন্য কল্যাণপ্রদায়ী হতে পারে নাহ।  কিন্তু একজন ধার্মিক, সদাচরণকারী কিংবা সুশিক্ষিত ব্যক্তির এরুপ ব্যক্তির অনৈতিক ব্যবহারের বিপরীতে কিরূপ আচরণ করা আবশ্যক। কেউ যদি সকলের প্রতি প্রতারণা করে, স্বার্থান্বেষী ভাবনায় ডুবে থাকে এবং কদর্য ব্যবহার করে কিংবা শঠতাকে ধারণ করে করে তবে তার প্রতি সদাচরণ করা মূর্খামি ছাড়া কিছুই নয়। কারণ, সে এই সদাচরণ এর মূল্যায়ন এর পরিবর্তে নিজের সে কদর্য রূপের বহিঃপ্রকাশ ঘটাবে। উদাহরণস্বরূপ, মহাভারতে শকুনি যেন ছলনার আশ্রয় নিয়ে পঞ্চ পান্ডবদের পরাজিত করতে চেয়েছিলো, তার বিপরীতে অর্জুন কর্তৃক ধনুর্বিদ্যা দ্বারা সূর্য অস্তমিত হওয়ার পরিবেশ সৃষ্টি করে দুরাচারী সিন্ধুরাজ জয়দ্রথকে হত্যা করে। ...

"ইতিহাসগ্রন্থ হতে ধর্মশিক্ষা" - ০২

ছবি
"ইতিহাসগ্রন্থ হতে ধর্মশিক্ষা - ভাগ্যনির্ভরতা নাকি কর্ম" সাধারণের মধ্যে জ্ঞানের অজ্ঞানতা হেতু এরূপ উপলব্ধি হয় যে অদৃষ্টই আমাদের জীবনের একমাত্র সহায়৷ সেজন্য, লোকসমাজে এরুপ প্রবাদ প্রচলিত আছে যে, "যদি থাকে নসিবে, আপনাআপনি আসিবে"।  অর্থাৎ, কর্ম বা চেষ্টা যতই করা হোক না কেন ভাগ্যে যা লেখা আছে তা হবে। এ যেন মনুষ্যের প্রতি নিদারুণ অবিচার, অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত।  কিন্তু সত্য সনাতন বৈদিক ধর্ম এরুপ অদৃষ্টতাকে কখনো সমর্থন করে নাহ। কারণ সত্য সনাতনে কোনো অযৌক্তিক সিদ্ধান্তের কোনো স্থান নেই। ঋগ্বেদে স্পষ্ট মনুষ্যের কর্ম ও চেষ্টাকে মান্যতা দিয়ে বলা হয়েছে,  "অয়ং মে হস্তো ভগবানয়ং" -ঋগ্বেদ ১০/৬০/১২ অর্থাৎ, আমার এক হাতে কর্ম,অপর হাতে বিজয়। সনাতন ধর্মে কর্মকে সর্বশ্রেষ্ঠ হিসেবে গণ্য করা হয়। সেজন্য আমরা কর্মফল ও জন্মান্তরবাদে মতো যুক্তিনিষ্ঠ সিদ্ধান্তকে গ্রহণ করি। যেখানে মনুষ্যই তাহার গন্তব্য নির্ধারণ করে তাহার কৃত কর্ম দ্বারা।  কিন্তু এই লোকসমাজে যারা এরুপ ভাগ্য নির্ভরতাকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে তাদের পরিণতি শুভ নয়। কারণ, ভাগ্যের দোষ দিয়ে যাহারা উন্নতির আশা করে তাহাদের ...

"ইতিহাসগ্রন্থ হতে ধর্মশিক্ষা" - ০১

ছবি
"ইতিহাসগ্রন্থ হতে ধর্মশিক্ষা - সদুপদেশ" ♻️ ইতিহাস জীবনের গভীরতম উপলব্ধি, সিদ্ধান্তের পথপ্রদর্শক, সংশয়ের নিবৃত্তি অন্যতম সহায়িকা। সেজন্য, আমরা জীবনে সর্বদা ধর্মগ্রন্থের পাশাপাশি, ইতিহাসে সু-মহান চরিত্রদের করণিক কর্মসমূহকে অনুসরণ করি এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে সচেষ্ট হই। ধর্ম-অধর্ম কিংবা ন্যায়-অন্যায়, আপদকালীন ধর্ম এরুপ বহুবিধ প্রেক্ষাপটে ইতিহাস হয়ে উঠে অন্যতম প্রধান নির্ণায়ক। সেজন্য,  "ইতিহাস আমাদের শিখায়, কিভাবে ভুল না করতে হয়। কিন্তু আমরা সেটা প্রায়ই উপেক্ষা করি" - জন এফ. কেনেডি ▪️সনাতনীরা সে ইতিহাসগ্রন্থ বাল্মিকী রামায়ণ ও মহাভারত। যার প্রতিটি শ্লোকে শ্লোকে রয়েছে ধর্মকথা, জ্ঞানের উৎকৃষ্টতা, শিক্ষনীয় দৃষ্টান্ত, গৌরবের গাঁথা। ঐতিহাসিক শ্রেষ্ঠদের কৃত কর্তব্যের উদাহরণ যা আমাদের পথপ্রদর্শক। সে ঐতিহাসিক গ্রন্থ থেকে আমাদের প্রত্যহ চলার মার্গের কিছু বিষয় আমাদের জানা আবশ্যক। সে মার্গের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আলোচ্য বিষয় "সদুপদেশ" ▪️যে উপদেশ ব্যক্তির কল্যাণ, ন্যায় ও সত্য মার্গে গমনের জন্য প্রদান করা হয়, তা সদুপদেশ। সদুপদেশ সর্বদা আমাদের সঠিক দিশার পথপ্রদর্শক এবং...

আমাদের জন্মগ্রহণে এত বৈচিত্র্যতা ও ভেদাভেদ কেন ⁉️

ছবি
আমাদের জন্মগ্রহণে এত বৈচিত্র্যতা ও ভেদাভেদ কেন 🤔 ⁉️ ✨ জন্মান্তরবাদ অনুসারে প্রতিটি মনুষ্য কর্মফলের বন্ধন থেকে মোক্ষ অর্জন ব্যতীত বারংবার জন্মমৃত্যুর ঘূর্ণাবর্তে আবদ্ধ থাকবে। আমাদের বর্তমান জন্মগ্রহণ নিশ্চিত রুপে পূর্ব জন্মের কৃতকর্মের ফলস্বরূপ হয়েছে। যদি পুণর্জন্ম ধারণাকে অস্বীকার করা হয়, তবে একটি সংশয় উদীয়মান হয়ে উঠে যে, তাহলে আমাদের জীবাত্মার দেহলাভের এত ভেদাভেদ ও বৈচিত্র্যতা কেন? কেন কেউ জন্মলাভ করে পশু দেহে, কেউ বা জন্মগ্রহণ করে অতি বিদ্বান কিংবা ধার্মিক পরিবারে? ঈশ্বর যদি সর্বশ্রেষ্ঠ বিচারক ও নিরপেক্ষ হয়ে থাকেন তবে তিনি কেন এমন বৈষম্য করবেন? এরুপ সংশয় নিবারণে যোগেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ শ্রীমদ্ভগবদগীতায় এই রহস্য ভেদ করে বলেছেন,  "যদা সত্ত্বে প্রবৃদ্ধে তু প্রলয়ং যাতি দেহভৃৎ। তদোত্তমবিদাং লোকানমলান্ প্রতিপদ্যতে ।  রজসি প্রলয়ং গত্বা কর্মসঙ্গিযু জায়তে। তথা প্ৰলীনস্তমসি মূঢ়যোনিষু জায়তে৷।" - গীতা ১৪/১৪-১৫ অর্থাৎ, প্রাণধারী জীব নিশ্চিতভাবে সত্ত্বগুণের বৃদ্ধিতে যখন মৃত্যু প্রাপ্ত হয় তখন উত্তম সাধকের ন্যায় নির্মল জন্ম প্রাপ্ত হয়। রজোগুণের বৃদ্ধিতে মৃত্যু প্রাপ্ত হলে কর্...

"শ্রীকৃষ্ণ ও কুটনীতি"

ছবি
"শ্রীকৃষ্ণ ও কুটনীতি" আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি শ্রুত শব্দ কুটনীতি। কুটনীতি বা Diplomacy হলো সে শিল্প যা ব্যতীত জিওপলিটিক্স অসম্পূর্ণ। একজন কুটনৈতিক তাহার বুদ্ধি, প্রজ্ঞা, জ্ঞান সর্বথা নিয়োজিত থাকে নিজ রাষ্ট্রের বা রাজ্যের স্বার্থ রক্ষা করা যায়। সেজন্য, যুদ্ধ পূর্বাবস্থায় সকল সমরনায়ক, নীতিবাগীশ কিংবা চিন্তাবিদগণ কুটনৈতিক সমাধানের পথকে সর্বোত্তম হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সেজন্য একবাক্যে বলা যায়,  কুটনীতি হলো -  "একটি রাষ্ট্র, ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর সঙ্গে অন্য রাষ্ট্র, ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর সম্পর্ক পরিচালনা করার শিল্প, যেখানে বুদ্ধি, কৌশল, ধৈর্য ও বক্তব্যের সূক্ষ্মতা দিয়ে সমস্যা সমাধান করা হয়, যুদ্ধ বা সংঘর্ষ এড়িয়ে।" কুটনীতিতে নিজ স্বার্থ রক্ষা করা একমাত্র উদ্দেশ্য। এ এমন এক কৌশল যা দুই রাষ্ট্রকে বন্ধুতে পরিণত করে কিন্তু ব্যর্থতায় চিরশত্রু হয়ে উঠে। সেজন্য Winston Churchill বলেছিলেন,  “Diplomacy is the art of telling people to go to hell in such a way that they ask for directions.” অর্থাৎ, "কূটনীতি এমন একটি শিল্প যেখানে কাউকে নরকে যেতে বলাও এমনভ...

অন্যায় ও অত্যাচারীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ নিয়ে সনাতন ধর্মে কী শিক্ষা দেয় ⁉️

অন্যায় ও অত্যাচারীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ নিয়ে সনাতন ধর্মে কী শিক্ষা দেয় ⁉️ সনাতন ধর্মে ‘প্রতিবাদ’ মানে কেবল বিদ্রোহ নয়—এটি হল এক ধর্মীয় কর্তব্য, যা অধর্ম, অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দৃঢ়ভাবে অবস্থান নেওয়ার নাম। এই ধর্মজাগ্রত প্রতিবাদ যখন হয় জ্ঞান, বিবেক ও শাস্ত্রবোধের আলোকে, তখন তা স্রেফ প্রতিক্রিয়া নয়—বরং এক পবিত্র দায়িত্ব। 🔹 ধর্মজাগরণ ও গীতার বাণী: মহাভারতের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে ধর্ম ও অধর্মের সংঘাত, যার প্রকৃষ্ট উদাহরণ পাওয়া যায় ভগবদ্গীতায়, কুরুক্ষেত্রের মঞ্চে। যুদ্ধে অংশ নিতে অনিচ্ছুক অর্জুন যখন আত্মীয়-স্বজন, গুরু ও বন্ধুদের দেখে দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়েন, তখন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তাঁকে শুধু যুদ্ধ করতে বলেননি—তিনি তাঁকে ধর্মরক্ষার জন্য দাঁড়াতে নির্দেশ দেন। 📜 শ্লোক ( গীতা ২/৩১): স্বধর্মমপি চাবেক্ষ্য ন বিকম্পিতুমর্হসি। ধর্ম্যাদ্ধি যুদ্ধাচ্ছেয়োऽন্যৎ ক্ষত্রিয়স্য ন বিদ্যতে ॥ 📖 বাংলা অনুবাদ: স্বধর্মকে দেখেও তোমার কার্য ভয়ের নয়, কেননা যুদ্ধে মরা ক্ষত্রিয়ের জন্য কল্যাণ এর হেতু, অন্য কোনো মূখ্য কর্তব্য নেই। 🔍 শাস্ত্রীয় ব্যাখ্যা: এই শ্লোকে "স্বধর্ম" মানে শুধুই জন্মগত...