"যা ছিল সনাতনী সমাজে,কিন্তু নেই সনাতন শাস্ত্রে"
"যা ছিল সনাতনী সমাজে, কিন্তু নেই সনাতন শাস্ত্রে" সনাতন ধর্ম সদা সত্য ও যৌক্তিক সিদ্ধান্ত প্রদান করে। বৈষম্য কিংবা কুসংস্কার এর স্থান নেই সনাতন ধর্মে। যুক্তিতর্কের মাধ্যমে যেকোনো সংশয় নিবারন করার পরম্পরা সনাতনের ঐতিহ্য। সেজন্য, একজন সনাতনী তাহার কর্তব্য অকর্তব্য নির্ধারণে শাস্ত্রকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। কিন্তু সময়ের আবর্তে বিভিন্ন সময়ে কিছু স্বার্থান্বেষী, অজ্ঞানী ব্যক্তিদের মূর্খতারূপ সিদ্ধান্তের কারণে কুসংস্কার সমাজে নিয়ে আসে দুর্দশা ও বৈষম্য। যা সাম্য ভিত্তিক সমাজে বৈষম্য, সুন্দর সমাজকে কুৎসিত এবং ধার্মিক সমাজে পাপাচারের প্রতিষ্ঠা করে থাকে। ধর্মের আড়ালে অধর্মকে মূল উপজীব্য করে তোলা হয়। ফলস্বরূপ, সমাজ হয়ে উঠে বসবাসের অযোগ্য। সেজন্য, সনাতনী সমাজকে কুসংস্কার মুক্ত করতে বারংবার মনিষীগণ আশ্রয় নিয়েছেন ধর্মশাস্ত্রের। সতীদাহপ্রথা: মধ্যযুগে প্রচলিত সতীদাহপ্রথা ছিল এক বর্বর প্রথা। সহমরণ এর মতো স্বইচ্ছা সিদ্ধান্তকে জোরপূর্বক বাধ্য করার মাধ্যমে সতীদাহ প্রথা চলতে থাকে শত শত বৎসর ধরে। রাজা রামমোহন রায় এই কুপ্রথা বিলুপ্তির জন্য প্রাণপণ সংগ্রাম করেন। ফলশ্রুতিতে, লর্ড বেন্...