পোস্টগুলি

নভেম্বর, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

▪️সনাতন ধর্ম ও সাম্যবাদ 🌱

ছবি
সাম্যবাদ হচ্ছে সনাতন ধর্মের অন্যতম সৌন্দর্য। এখন এই সাম্যবাদের মধ্যে অনেক কিছুই আসে যেমন সকল বর্ণে সমানতা, নারী-পুরুষ সমানতা, সকল জীবে সমানতা ইত্যাদি । ভেদাভেদ দূর করে সকলের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব স্থাপনের নির্দেশক হিসেবে ঈশ্বরের প্রদত্ত জ্ঞান বেদে এর  তুলনা হয় না। নিচে বৈদিক মন্ত্র ও বেদ বহির্ভূত কিছু শ্লোক দ্বারা সনাতন ধর্ম ও সাম্যবাদ নিয়ে আলোচনা করা হলো।  ------------সনাতন ধর্মে বর্ণবাদের সত্যতা---------- _______________________________________ বর্তমান সমাজের অনেকেই বর্ণবাদের অপব্যাখ্যা দিয়ে সনাতন ধর্মকে নিচু করে থাকেন। এখনো পর্যন্ত অনেক সনাতনীই আছেন যাদের বর্ণপ্রথা সম্পর্কে সঠিক জ্ঞানের অভাব রয়েছে। তাদের ধারনা বর্ণ নির্ধারিত হয় জন্মসূত্রে। ভগবান কি এতটাই নিষ্ঠুর যে তিনি কাউকে জন্মগতভাবেই কাউকে সম্মানিত করবেন আবার কাউকে লাঞ্ছিত....?? নাহ!!! কখনোই না। সনাতন ধর্মে বর্ণ জন্ম সূত্রে নয় কর্ম সূত্রে নির্ধারন করার বিধান দেওয়া হয়েছে। বর্ণবাদ সম্পর্কে যজুর্বেদে বলা হয়েছেঃ- 🏵️ ব্রাহ্মণাস্যে মুখমাসীদ্ধাহু রাজন্যঃ কৃতঃ  উরূ তদস্য যদ্বৈশ্য পভ্যাং শূদ্রোজায়তঃ  🏵️ 🌸 =[যজ...

▪️ডাক্তার স্কট নামের একজন চিকিৎসক ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ক্যাপ্টেন আরভাইনের কাছ থেকে এক অদ্ভুত গল্প🌸

ছবি
১৭৯৩ সালের দিকের কথা বলছি, ডাক্তার স্কট নামের একজন চিকিৎসক ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ক্যাপ্টেন আরভাইনের কাছ থেকে এক অদ্ভুত গল্প শুনলেন। তখন চৌর্যবৃত্তিসহ বিভিন্ন অপরাধের শাস্তি হিসেবে অপরাধীদের নাক কেটে দেওয়া খুব প্রচলিত সাজা ছিলো। ফলে ভুক্তভোগীকে আজীবন এই লজ্জা বয়ে নিয়ে বেড়াতে হতো। কিন্তু ক্যাপ্টেন আরভাইন জানালেন, পুনের ‘কুমার’ সম্প্রদায়ের ভেতর এমন কিছু মানুষ আছে যারা নিখুঁতভাবে কাটা নাক সারিয়ে দিতে পারে। তবে তাদের নিজেদের উদ্ভাবন নয় এই অস্ত্রোপচার।  বহু বছর ধরে বংশপরম্পরায় অর্জন করেছে এই জ্ঞান। কবে কে উদ্ভাবন করেছিলো এই পদ্ধতি, তারা নিজেরাও জানে না! এমন গল্প শুনে অবিশ্বাসে ভ্রু কুঁচকে ফেললেন ডাক্তার স্কট। কাটা নাক সারিয়ে ফেলা মানে? এটা কীভাবে সম্ভব! ডাক্তার স্কট সরেজমিনে তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিলেন। কিন্তু তার পক্ষে নিজে উপস্থিত হওয়া সম্ভব ছিলো না। অগত্যা তিনি পুনেতে কর্মরত সার্জন ডাক্তার ফিনলে এবং ডাক্তার ক্রুসো নামক দুজনের উপর দায়িত্ব দিলেন, তারা যেন এ ব্যাপারে তদন্ত করে একটি রিপোর্ট জমা দেয়।  অনেক অপেক্ষার পর সুযোগ মিলল। দুজন ডাক্তার সরেজমিনে কাহিনীর স...

🔸রাম সেতুর সত্যতা 🌸

ছবি
🙏 নমস্কার 🙏 ✍️সনাতনধর্ম একমাত্র ঐশ্বরিক ধর্ম এবং তার ইতিহাস পৃথিবীর সর্বত্র খুঁজে পাওয়া যায়। যা তার প্রাচীনত্বকে প্রমাণ করে। কিন্তু তারপরও কিছু মানুষ এর ইতিহাসকে কাল্পনিক বলে উড়িয়ে দেয়। তাদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধাপূ্র্বক তেমনি এক ইতিহাসের প্রামাণিক সত্যতা উপস্থাপন করার প্রচেষ্টা করব।  🌿রামায়ণ:  🌿✍️রামায়ণ ভারত তথা সনাতনধর্ম শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব মর্যাদা পুরুষোত্তম শ্রীরাম এর জীবনী। যার আদর্শ আজকেও মানুষকে সঠিক মার্গ প্রদান করে। শ্রীরাম চন্দ্রের রাজ্য এতটাই শান্তি ও সৌহার্দ্যের প্রতীক ছিল যে মহাত্মা গান্ধী ভারতকে রাম রাজ্য হিসেবে গড়ে তোলার আহবান জানান। রামায়ণ এর অন্যতম এক অংশ হলো "রাম সেতু" যাকে "সেতু বন্ধনম" নামে উল্লেখ রয়েছে বাল্মিকী রামায়ণে। কিন্তু কালের পরিক্রমায় তথাকথিত বুদ্ধিজীবী মহল এ মহান নিদর্শনকে প্রাকৃতিক এবং মর্যাদা পুরুষোত্তম শ্রীরামকে কাল্পনিক আখ্যায়িত করার প্রয়াস করে থাকে। তাই বিভিন্ন তথ্য প্রমাণ দ্বারা চেষ্টা করব সংশয় নিবারণ এর।  📑রাম সেতুর উল্লেখ: 🌿📑রাম সেতু অবস্থিত ভারতের রামেশ্বরম দ্বীপ থেকে শ্রীলঙ্কার মান্নার দ্বীপ পর্যন্ত বিস্তৃত ৩...

▪️বেদ ও বিজ্ঞান পর্বঃ- ২

ছবি
নমস্কার🙏  ▪️বেদ ও বিজ্ঞান পর্বঃ- ২ পবিত্র বেদ কোনো বৈজ্ঞানিক গ্রন্থ নয় তবে তা বিজ্ঞানময়। পবিত্র বেদ এর বহু মন্ত্রে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক তত্ত্বের উপস্থিতি রয়েছে যা বিভিন্ন মহান বিজ্ঞানীগণ কয়েক শতাব্দী পূর্বে আবিষ্কার করেছিলেন। সেসকল মহান বিজ্ঞানীদের প্রতি রইল সশ্রদ্ধ প্রণাম। বেদ ও বিজ্ঞান পর্বে ২য় পর্বে আমরা আলোচনা করব নিকোলাস কোপারনিকাস এর ঐতিহাসিক তত্ত্ব যে সূর্য নয় পৃথিবী সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে। যা বিজ্ঞান মহলে কোপারনিকাস বিপ্লব নামে খ্যাত।  প্রাচীন কাল থেকে মানুষ এ মহাবিশ্ব নিয়ে কৌতুহল এর অন্ত নেই। পূর্বে মানুষ বিশ্বাস করতো যে পৃথিবীকে কেন্দ্র করে সূর্য সহ বাকি গ্রহ সমূহ ঘুরছে। বহুবছর আগে গ্রিক যুগের একজন প্রখ্যাত জ্যোতির্বিজ্ঞানী ক্লডিয়াস টলেমি বলেছিলেন: পৃথিবীকে কেন্দ্র করে সূর্যসহ অন্যান্য গ্রহনক্ষত্রগুলো আবর্তিত হয়। কিন্তু তখন টেলিস্কোপ ছিল না বলে তার সত্যতা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তী সময়ে নিকোলাস কোপারনিকাস এ বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন।  নিকোলাস কোপারনিকাস প্রথম এ তত্ত্ব দেন যে, পৃথিবী নয়, সূর্যই হলো সৌরজগতের কেন্দ্রবিন্দু। সূর্যই সমগ্র সৌরজগতকে আলোকিত করে। তাঁর ম...

▪️বেদ ও বিজ্ঞান:- পর্ব ০১

ছবি
 🙏 নমস্কার 🙏 ▪️বেদ ও বিজ্ঞান:- পর্ব ০১  📑✍️ পবিত্র বেদ অপৌরুষেয়। অর্থাৎ এ সৃষ্টি বা রচনা মানব কতৃক হয়নি এজন্য এই শ্রেষ্ঠ গ্রন্থে কোনো অবৈজ্ঞানিক তত্ত্বের ভুল থাকতে পারে না। বরং  বহু বিজ্ঞানসম্মত তথ্যের উপস্থিতি রয়েছে পবিত্র বেদ এর মাঝে। আজকে এমনই এক সুবিখ্যাত বৈজ্ঞানিকভাবে প্রসিদ্ধ তত্ত্বের উল্লেখ পবিত্র এর মধ্য হতে প্রমাণ করার প্রচেষ্টা করব।  📑Big Crunch Theory:- 📑✍️প্রসিদ্ধ বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং তার "A Brief history of time" গ্রন্থে বলেছেন এ বিশ্ব পরিণতি বা  Fate হবে যে এক সময় এ জগৎ যে বিন্দু থেকে বিস্ফোরণের মাধ্যমে সৃষ্টি হয়েছিল, তেমনি একসময় এ জগৎ আবার সংকুচিত হয়ে একটি বিন্দুতে বা ০ তে পরিণত হবে যা Big Crunch নামে পরিচিত।  The Big Crunch is one of the scenarios predicted by scientists in which the Universe may end. Just like many others, it is based on Einstein’s Theory of General Relativity. That is, if the Big Bang describes how the Universe most possibly began, the Big Crunch describes how it will end as a consequence of that beginning. - Wikiped...

▪️আমি কেন বেদ পড়বো ❓

ছবি
 🙏 নমস্কার 🙏 "বেদোঃ অখিলো ধর্মমূলম্" - মনুসংহিতা ২.৬ 📖🌿 অর্থাত্‍, বেদ সকল ধর্মের(মানবতা, ন্যায়পরায়নতা) মূল। এভাবে মহর্ষি মনু বেদ এর মহিমা বর্ণনা করেছেন মনুসংহিতায়। বেদ মানবজাতির সংবিধান স্বরূপ- এ বিষয় প্রমাণ করার পিছনে রয়েছে উপযুক্ত কারণ বিশেষ। মানবজাতি কেন বেদ অধ্যয়ন করবে এমন প্রশ্ন বিভিন্ন বিধর্মী ও নাস্তিক কতৃক উত্থাপিত সংশয়মূলক প্রশ্ন। সত্যি এমন সংশয় সাধারণ মানুষের মাঝে তৈরি হয়। আজ আলোচনার মাধ্যমে সকলের সংশয় দূর করার প্রচেষ্টা করব।  পবিত্র বেদ অধ্যয়নের কারণ হিসেবে ১০ টি যুক্তি ও প্রমাণ নিম্নে ব্যাখ্যা করা হলো:  📑✍️শাস্ত্রীয় প্রমাণ: অপৌরুষেয় গ্রন্থ হিসেবে বেদই একমাত্র গ্রন্থ যা ঈশ্বর কতৃক প্রণীত যা ঋষিদের হৃদয়ে প্রকাশিত হয়েছে। যার শ্রেষ্ঠত্ব শ্রুতি সমূহে উল্লেখিত,   "এতস্য বা মহতো ভূতস্য নিশ্বসিতমেতত্। য়ত্ ঋগ্বেদো যজুর্বেদঃ সামবেদোথর্ববেদঃ।।” -বৃহদারণ্যক উপনিষদ ৪/৫/১১📖🌿 অর্থাৎ, ঋগ্বেদ, যজুর্বেদ, সামবেদ এবং অথর্ববেদ সেই মহান পরমেশ্বরের নিঃশ্বাস স্বরূপ। "নাস্তি বেদাৎ পরং শাস্ত্রং" -অত্রিস্মৃতি- ১৪৯ 📖🌿 অর্থাৎ, বেদ হইতে উৎকৃষ্ট শাস্ত্র নেই, অর্থাৎ বেদই...

▪️আমি কোন পথে যাবো ❓

ছবি
🙏নমস্কার🙏  📑✍️হে মনুষ্য, তোমার মানুষ হও এবং অন্যকে মানুষ হিসেবে গড়ে তোলো। এমনই উত্তম শিক্ষা পবিত্র বেদ আমাদের প্রদান করে। কিন্তু আমরা বহু মতে দ্বিধা বিভক্ত। শাস্ত্র পরিত্যাগ করে শুধু অজ্ঞ লোককে অনুসরণ করে চলেছি। সে সকল তথাকথিত পথপ্রদর্শকেরা নিজস্ব মত প্রচার করতে গিয়ে পদস্খলন করছেন বৈদিক ধর্ম থেকে। কেউ আবার প্রচার করছেন যত মত তত পথ। আসলে কি তাই আমাদের সঠিক পথ কোনটি। যত মত তত পথ এ কি আসলে গ্রহণযোগ্য তত্ত্ব। পবিত্র বেদ অনুসারে আমাদের সত্য পথ অনুসন্ধান করবো।  সত্য সঠিক পথ, অসত্য কখনো নির্বচনীয় হতে পারে না। সত্য তাহা যা বেদ এবং যা বেদ তাহাই ধর্ম। এজন্য মনুসংহিতা অনুযায়ী,  "বেদোঃ অখিলো ধর্মমূলম্" - মনুসংহিতা ২.৬ 📖🌿 অর্থাত্‍ বেদ সকল ধর্মের(মানবতা, ন্যায়পরায়নতা) মূল। অর্থাৎ বেদ বিরুদ্ধ কোনো কিছুই ধর্ম নয়। সেটা শুধু পথভ্রষ্টকারী উপায় মাত্র। বেদই সত্য, তাহাই সঠিক পথ।  সেজন্য বেদ বিরুদ্ধকারীদের নাস্তিক বলেছেন মহর্ষি মনু,  " নাস্তিকো বেদনিন্দকঃ"  -মনুসংহিতা ২.১১ 📖🌿 অর্থাৎ বেদনিন্দুক ই নাস্তিক। আমাদের চলতে তবে ধর্মের পথে ধারণ করতে হবে ধর্মের লক্ষণ সমূ...

▪️স্বস্তিকা চিহ্নের আদ্যোপান্ত:-

ছবি
মানুষ স্বভাবগতভাবেই প্রতীক বা চিহ্ন ভালবাসে। এই চিহ্ন ব্যবহার কবে থেকে মানুষ শুরু করেছে তার কোন নির্দ্দিষ্ট সময়সীমা নির্দ্ধারণ করা সম্ভব নয়, মানুষ নানা কারণে নানা ধরণের প্রতীক বা চিহ্ন ব্যবহার করে আসছে সেই প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে। মানুষের কাছে চিহ্ন বা প্রতীক বিশেষ গুরুত্ব বহন করে প্রাচীন কাল থেকেই। কোন্টা মঙ্গল, কোন্টা অমঙ্গল, কোন্টা করণীয়, কোন্টা করণীয় নয়, কোন্ জায়গায় যাওয়া যাবে বা কোথাও যেতে মানা, শিকারে নিষেধাজ্ঞা বা শিকার করা যাবে ইত্যাদি নানা কাজেই মানুষ চিহ্ন বা প্রতীক ব্যবহার করে সুপ্রাচীন কাল হতে। এইসব প্রতীক মানুষ কালক্রমে জীবনের সাথে অঙ্গীভূত করে নেয়। গৃহে, আসবাবপত্রে, গয়নায়, অস্ত্রে, এমনকি আধ্যাত্মিকতা ও পবিত্রতার সাথে একীভূত হয় যায় এসব প্রতীক। মানুষের ইতিহাসে অসংখ্য চিহ্ন বা প্রতীক ব্যবহারের প্রমাণ নানা প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ও সাহিত্য থেকে পাওয়া গেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে প্রাচীন ও বহুল প্রচলিত প্রতীকের অন্যতম হল স্বস্তিকা। মানুষ বসবাস করেছে এমন অনেক জায়গায় স্বস্তিকা চিহ্নের কোন-না-কোন ব্যবহার রয়েছে এমন প্রমাণ মিলেছে। স্বভাবতই আগ্রহ জাগে এই চিহ্ন পৃথিবীব্যাপী এত ছড়...

আমি কেন নমস্কার বলবো ❓

ছবি
📑✍️নমস্কার কেন বলবো? হরে কৃষ্ণ, জয় গুরু, রাম রাম, জয় নিতাই এগুলো কি বলার কথা বলা হয়েছে। অভিবাদন এর জন্য বহু শব্দ রয়েছে। তবে আপনি নমস্কারই কেন বলবেন তা পিছনে রয়েছে ২ টি যুক্তি। ১. শাস্ত্রীয় ব্যাখ্যা ২. বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা। যা আপনার জন্য মঙ্গলকর। তাহার উপদেশ দেয় শাস্ত্র। নিম্ন ব্যাখ্যা করা হলো: 📑 শাস্ত্রীয় যুক্তি:- "নমো জ্যেষ্ঠায় চ কনিষ্ঠায় চনমং পূর্বজায় চাপরজায় চনমো মধ্যমায় চাপগল্ভায় চনমো জঘন্যায় চ বুধ্যায় চ"।। -যজুর্বেদ১৬/৩২📖🌿 অর্থাৎ, নমস্তে জ্যেষ্ঠদেরকে,নমস্তে কনিষ্ঠদেরকে, নমস্তে উচ্চবিত্ত,মধ্যবিত্ত,ধনী-গরীব,জ্ঞানী,স্বল্পজ্ঞানী সকলকে। "নমো নমস্তেহস্তু সহস্ৰকৃত্বঃ পুনশ্চ ভূয়োহপি নমো নমস্তে"। -গীতা ১১/৩৯📖🌿 অর্থাৎ আপনাকে পুনঃ পুনঃ নমষ্কার, সহস্রবার নমষ্কার, পুনরায় আবারও নমষ্কার।" "সা হোবাচ ব্রাহ্মণ্য ভগবন্তস্তদেব বহু মন্যেধ্বং যদস্মান্নমস্কারেণ মুচ্যেধ্বং ন বৈ জাতু যুন্নাকমিমং কশ্চিদ্ ব্রহ্মদ্যেং জেতেতি ততো হ বাচক্সব্যুপররাম" - বৃহদারণ্যক উপনিষদ ৩/৮/১২📖🌿 অর্থাৎ, গার্গী বললেন, শ্রদ্ধেয় ব্রাহ্মণগণ যদি যাজ্ঞবল্ক্যকে নমস্কার করে...

"আর্য-অনার্য" শব্দ নিরসনঃ-

ছবি
*হিস্ট্রি নামক উপন্যাসের গালগল্প / গুলগাপ্পার ইতিহাস* - পর্ব ১ সাব-টাইট্‌ল্‌: *একাডেমিক নাক-ই কি সৌন্দর্যের মাপকাঠি?* নামটা বেশ জম্পেশ হল, যাই বলুন! এমন নামের ব্যাখ্যা খুব সিম্পল – ১। ভারতীয় হিস্ট্রি নিয়ে বিভিন্ন ন্যারেটিভ মূল টেক্সটের আলোয় পরীক্ষা করে দেখবো ২। গালগল্প / গুলগাপ্পা – এটা গণতান্ত্রিক চয়েস দিলাম; যে যেভাবে নেবেন ৩। ‘হিস্ট্রি’ – ‘মা যা হয়েছেন’ – তা আর ‘ইতিহাস’ এক নয়। অতএব দুটোই থাকলো। ৪। একজন একাডেমিসিয়ানের ‘নাক’ বিষয়ক মন্তব্য পরীক্ষা করতে হবে। অগত্যা সাব-টাইট্‌ল্!   আলোচনা শুরু … গল্প ১: ঋগ্বেদ হল ‘আর্য বনাম অনার্য’ হিস্ট্রি  সমস্যা: ‘অনার্য’ শব্দটাই ঋগ্বেদে নেই। ইন ফ্যাক্ট, শ্রুতিতে নেই।   প্রশ্ন: তাহলে ‘আর্য বনাম অনার্য’ কি করে ভ্যালিড গল্প-নাম হয়? মন্তব্য: ক। ‘অনার্য’ শব্দ প্রথম আছে প্রাচীন পারস্যের আভেস্তায়। তারা আবার ‘বিদেশীদের’ ‘অনার্য’ বলতো [নাস্ক ১৯: ভেন্দিদাদ (জুদ দিউ দাদ) ৪৪ (ফার্গার্দ ১-১১, ১৩-২২), অংশ ৫৭] । তার মানে, তাদের চোখে সব ভারতীয় মানেই ‘অনার্য’। সুন্দর আপেক্ষিকতা। খ। জরাথুষ্ট্র ‘আর্য’ শব্দ ব্যবহার করেছেন ‘সাধারণ মানস...

মনুস্মৃতি প্রক্ষিপ্ত অংশঃ-

ছবি
✪প্রথম অধ্যায়ের প্রক্ষিপ্ত শ্লোকের রেফারেন্সসমূহ - ১/৭-১৩, ১/১৭, ১/২৪-২৫, ১ /৩২-৪১, ১/৫০-৫১, ১/৫৫-৫৬, ১/৫৮-৬৩, ১/৬৬, ১/৮১-৮৬, ১/৯২-১০৭, ১/১১১-১১৯। ✪দ্বিতীয় অধ্যায়ের প্রক্ষিপ্ত শ্লোকের রেফারেন্সসমূহ- ২/১৬, ২/১৯, ২/২৪, ২/৫২, ২/৬১-৬২, ২/৬৬-৬৭, ২/৭০, ২/৭৫, ২/৭৯-৮৭, ২/১১৬, ২/১১৮, ২/১২৩, ২/১৩০-১৩৫, ২/১৪৫, ২/১৬৯-১৭৪, ২/১৮১, ২/১৮৭-১৯০, ২/২০১, ২/২০৭-২১১, ২/২২৪-২৩৭, ২/২৪৪, ২/২৪৭-২৪৮। ✪তৃতীয় অধ্যায়ের প্রক্ষিপ্ত শ্লোকের রেফারেন্সসমূহ- ৩/১১-১৯, ৩/২২-২৬, [৩/২৯ শ্লোকটি মহর্ষি মনুর নিজ বিধান নয় কেননা এটির খণ্ডন ৩/৫১-৫৪ শ্লোকে মহর্ষি মনু নিজেই করেছেন] ৩/৩৫-৩৮, ৩/৪৩-৪৪, ৩/৬৩-৬৬, ৩/৮৩, ৩/৯৩, ৩/৯৫-৯৮, ৩/১০০, ৩/১০৯-১১২, ৩/১১৫, ৩/১১৯-২৮৪। ✪চতুর্থ অধ্যায়ের প্রক্ষিপ্ত শ্লোকের রেফারেন্সসমূহ- ৪/৪-১০, ৪/১৮, ৪/২২-২৪, ৪/২৬-২৮, ৪/৩৩-৩৪, ৪/৩৬-৩৯, ৪/৪৩-৬৬, ৪/৬৯-৭৮, ৪/৮০-৯১, ৪/৯৫-১২৭, ৪/১২৯-১৩২, ৪/১৩৫-১৩৬, ৪/১৪০, ৪/১৪২-১৪৪, ৪/১৫০-১৫৩, ৪/১৬৫-১৬৯, ৪/১৮১-১৮৫, ৪/১৮৮-১৮৯, ৪/১৯১, ৪/১৯৭-২০০, ৪/২০২, ৪/২০৫-২২৬, ৪/২২৮-২৩২, ৪/২৩৪-২৩৭, ৪/২৪৭-২৫৪। ✪পঞ্চম অধ্যায়ের প্রক্ষিপ্ত শ্লোকের রেফারেন্সসমূহ- ৫/১-৪, ৫/৬-৭, ৫/১১-২৩,...

দানশীল

ছবি
🙏নমস্কার🙏 📑✍️ধন ধান্যে পুষ্প ভরা, আমাদের এই বসুন্ধরা। কবি গুরুর গানে এ ধরিত্রীর অকৃপণতা ফুটে উঠে। এ পৃথিবীতে কেউ স্থায়ী বসবাসকারী নয়। তাই একে অপরের মাঝে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার মাঝে রয়েছে সাম্যের সমাজ গঠনের সূত্র। এজন্য আমাদের উচিত দানশীল হওয়া। যখন আমরা সঠিক  সময়ে সঠিক পাত্রে দান করব তা সমাজ ও নিজের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে। আজকে আমরা একজন মনুষ্যের দানশীল হওয়ার বিষয়ে বৈদিক শাস্ত্রের নির্দেশ আলোচনা করব।  ❄️দান করা প্রত্যেক ব্যক্তির কর্তব্য। সে কখনো স্বার্থপর  এর মতো নিজে ভক্ষণ করতে পারেনা। তার উচিত জীব সেবা করা। তাহাই পরমাত্মার উপদেশ।  "মোঘমন্নং বিন্দতে অপ্রচেতাঃ সত্যং ব্রবীমি বধ ইত স তস্য। নার্যমণং পুষ্যতি নো সখায়ং কেবলাঘো ভবতি কেবলাদী"।। -ঋগ্বেদ ১০/১১৭/৬📖🌿 অর্থাৎ, যে ব্যক্তি দুঃস্থদের সাহায্য করেনা,অজ্ঞানী এবং অন্তঃদৃষ্টিহীন তার সকল উন্নতি ই বৃথা,সকল সম্পত্তি ই অনর্থক। যে অন্যদের সাহায্য করেনা,অভুক্ত রেখে কেবল নিজে খায় সে মূলত পাপ ই ভোজন করে। কৃপণতা ব্যক্তির মনকে উদার হতে বাধাগ্রস্ত করে। এতে ব্যক্তির মন সংকীর্ণ মানসিকতার হয়ে উঠে।  "অরাতে চিত্তং বীৎর্সন্ত্য...

🌸মানব জন্মে কেউ কি পূর্ণ সুখী হতে পারে ❓

ছবি
🌸মানব জন্মে কেউ কি পূর্ণ সুখী হতে পারে❓ 📖উত্তরঃ অবশ্যই না। যার কারণ ত্রিবিধ দুঃখ।প্রত্যেক মানবের জীবনে ত্রিবিধ দুঃখ রয়েছে।