পোস্টগুলি

জুন, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

অহিংসা পরম ধর্ম

ছবি
                                      (বেদে অহিংসা) দৃতে দৃংহ মা মিএস্য মা চক্ষুষা   সর্বাণি ভূতানি,  সমীক্ষত্নাম্ মিএস্যাহং চক্ষুষা সর্বাণি ভূতানি সমীক্ষে!  মিএস্য চক্ষুষা সমীক্ষামহে যজুর্বেদ /৩৬-১৮ ভাবার্থ: - সমস্ত প্রাণী যেন আমাদের মিএের দৃষ্টিতে দেখে, আমি ও যেন সব প্রাণীকে মিএের দৃষ্টিতে দেখি!  এই ভাবে আমারা সবাই যেন এই সাথে মিলে মিশে থাকতে  পারি সে বিষয়ে আমাদের দৃঢ় করুন ধন্যবাদ নমস্তে

নমস্কার আর নমস্তের মধ্যে পার্থক্য ❓

ছবি
" নমস্তে " শব্দটি সংস্কৃত শব্দ । 'নম’ শব্দের অর্থ হল "নত হওয়া" / " শ্রদ্ধা " / " সম্মান " প্রদর্শন করা । যার সাথে ‘তে’ ধাতু যুক্ত হয় , এই 'তে' ধাতুর অর্থ হল "তোমাকে/আপনাকে" । তাহলে " নমস্তে " শব্দের সম্পূর্ণ অর্থটা হল "তোমার প্রতি শ্রদ্ধা/সম্মান রইলো" । আর ‘ নমস্তে ’ শব্দটির বাংলা অর্থ হল "তোমাকে/আপনাকে নমস্কার জানাই" । তাই যাঁরা শুধুমাত্র " নমস্কার " বলেন তাঁরা " নমস্তে "-র সম্পূর্ণ অর্থ প্রয়োগ করেন না । একমাত্র " নমস্তে " শব্দটিই সম্পূর্ণ , আর শুধু " নমস্কার " শব্দটি অর্ধপূর্ণ ।

বিশ্ব সঙ্গীত দিবস। 🎵

ছবি
বিশ্ব সঙ্গীত দিবস। 🎵 গানের মাঝেই প্রাণের সুর বাঁধা আছে। গানে গানে যেকথা সহজে বলে দেওয়া যায়, তা কথ্য ভাষায় ব্যক্ত করা অনেক সময় সম্ভব হয়ে ওঠে না। একটা গান এক বীতশ্রদ্ধ জীবনকে সুন্দরের পথ দেখায়। সেই  সঙ্গীত   সপ্তসুর পবিত্র সামবেদ থেকেই এসেছেঃ বিশ্বের প্রথম সঙ্গীত বিদ্যার শ্রাস্ত্রঃ- প্রাচীনতম হওয়ার কারণে সামবেদ কেবই ভারতেই নয়, বরং সমগ্র বিশ্বের সংগীত শ্রাস্ত্রের মূলস্রোত।  সেজন্যই এটিকে “সঙ্গীতবেদ” এবং এর উপবেদকে “গন্ধর্ববেদ” বলা হয়।  সামবেদে দুই প্রকারের গেয় ছন্দ-গাথা ও প্রগাথা এবং সাত গেয় স্বর সমূহের প্রয়োগ রয়েছে॥ সেই সাত গেয় স্বর হল-ষডজ,ঋষভ,গার্ন্ধব, মধ্যম, পঞ্চম, ধৈবত এবং নিষাদ॥  সেই স্বর আজ ও সঙ্গীত শ্রাস্ত্রে “সা, রে.গা,মা,পা,ধা,নি”-এসব সংক্ষিপ্তরূপে প্রচলিত এবং প্রসিদ্ধ রয়েছে ।। সুতারাং সঙ্গীত শ্রাস্ত্রের সপ্তসুর পবিত্র সামবেদ থেকেই এসেছে।। ও৩ম্ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ

বিশ্ব বাবা দিবস ❣️

ছবি
আজ বিশ্ব বাবা দিবস। ভাষা ভেদে শব্দ বদলায়। স্থান ভেদে বদলায় উচ্চারণ। তবে বদলায় না রক্তের টান। ইংরেজিতে যিনি ‘ফাদার’, বাংলায় তিনি ‘বাবা’।   বিশ্ব  বাবা দিবসে বিশ্বের সব বাবার প্রতি রইলো গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।❣️ "বাবা"প্রতিটি সন্তানের চোখে প্রথম আদর্শের নাম। যার ব্যক্তিত্ব, সরলতা আকৃষ্ট করে প্রতিটি সন্তানকে। সন্তানের মাথার ওপর বটবৃক্ষের মতো ছায়ার নাম হলো  'বাবা'। সন্তানের মুখের হাসি, সব আবদার পালনের জন্য জীবনের প্রায় সব কিছুই নির্দি্বধায় ত্যাগ করা, আদর-শাসন আর বিশ্বস্ততার নাম বাবা। বাবার তুলনা শুধু বাবাই। চির আপন, চিরন্তন এক সম্পর্কের  নাম হলো " বাবা" মহাভারত শান্তিপর্বে বলা হয়েছে,,,,,,,, महाभारत : पिता भर्मः पिता स्वर्गः पिताहि परमान्तपः। पितरि प्रीतिमापन्ने सर्बाः प्रीयन्ति देवताः।। {महाभारत:- शान्तिपर्व २०६/२१} পিতা ধর্ম্মঃ পিতা স্বর্গঃ পিতাহি পরমান্তপঃ। পিতরি প্রীতিমাপন্নে সর্বাঃ প্রীয়ন্তি দেবতাঃ।। বঙ্গানুবাদ:-পিতা ধর্ম স্বরূপ, পিতা স্বর্গ স্বরূপ এবং পিতাই পরম তপস্যা স্বরূপ। সুতরাং পিতার প্রীতি লাভ করলেই সমস্ত দেবতাই প্রীত হন। {মহাভারত–...

ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ

ছবি
        💢 ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ 💢  - শ্লোক ও বঙ্গানুবাদসহ সম্পূর্ণ  - পঞ্চানন তর্করত্ন সম্পাদিত [ নবভারত পাবলিশার্স  ]  - ২৫০.৫ এমবি  [ কৃতজ্ঞতাঃ শ্রী রাম শঙ্কর ভট্টাচার্য ]  - লিংকঃ   ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ

যজ্ঞ কী ?

ছবি
                                                   যজ্ঞ কী  ? জগৎ পিতা-সৃষ্টিকর্তা-পরব্রহ্ম চিন্তা করলেন যে, জীবদের মলমূত্র দ্বারা এই ভূমি, শ্বাস-প্রশ্বাস দ্বারা এই বায়ুমণ্ডল এবং অন্যান্য দুর্গন্ধযুক্ত ক্রিয়াগুলির দ্বারা এবং জলকে বিভিন্ন ভাবে দূষিত করার ফলে জীবনের অস্তিত্বই বিলুপ্ত হয়ে যাবে। অতএব, তিনি সৃষ্টির আদিতে অগ্নি-বায়ু-আদিত্য-অঙ্গিরা ঋষিদের মাধ্যমে মানবকল্যাণ হেতু বেদের অবতারণা করলেন যার মধ্যে যজ্ঞ নামক কর্মেরও উপদেশ দিলেন। সম্পূর্ণ জগতে ব্যাপক বিষ্ণুরূপ যজ্ঞ দ্বারা সৃষ্টির সমস্ত দেবতাদেরকে সন্তুষ্ট ও তৃপ্ত করার উপায় তিনি “ যজ্ঞো বৈ বিষ্ণু ” বাক্যাংশে বলে দিলেন। যজ্ঞ থেকে উত্থিত সুগন্ধিত ধোঁয়া অন্তরিক্ষের উপরে দ্যুলোক পর্যন্ত পৌঁছে যায়। এই ভেষজগুণযুক্ত ধোঁয়া বায়ু পরিশুদ্ধ করে মেঘের মাধ্যমে জলতে নির্মল করে দেয়। এই নির্মল বর্ষাজল পৃথিবীর মলকে ধুয়ে পরিষ্কার করে দেয় এবং পর্জন্য পিতার বর্ষণ হেতু এই ভূমিমাতা শস্য শালিনী হয়ে বহু...

বেদাধ্যয়নের শুরুতে এবং শেষে কি উচ্চারণ করা কর্তব্য ❓

ছবি
  বেদাধ্যয়নের শুরুতে এবং শেষে ও৩ম্ উচ্চারণ করা  কর্তব্য।  यजूर्बेद:- ॐ खम् ब्रक्ष                                                           (यजूर्बेद:-४०/१७) অনুবাদ:-  ওঁ ই ব্রহ্ম, ওঁ ই অনন্ত, ওঁ ই শ্রেষ্ঠ।                                                       मनू संहिता:- ब्रह्मणः प्रणबम् कूर्यादादाबन्ते च सर्बदा | स्रबत्यहनोंकृतम् पुर्बम् परस्ताच्च बिशीर्यति ||                                                       (मनू संहिता:-२/७४) অনুবাদ :-   বেদাধ্যয়নের প্রারম্ভে এবং অবসানে (শেষে) সতত প্রণব (ওঁ কার) উচ্চারণ করা কর্তব্য। প...

সনাতন শাস্ত্রানুসারে পরিধেয় বস্ত্রঃ

ছবি
                            সনাতন শাস্ত্রানুসারে পরিধেয় বস্ত্রঃ   অধঃ পশ্যস্ব মোপরি সন্তরাং পাদকৌ হর। মা তে কশপ্লকৌ দৃষান্তস্ত্রী হি ব্রহ্মা বভুবিথ।।             -ঋগ্বেদ ৮/৩৩/১৯ অনুবাদ: হে পুরুষ ও নারী! তোমাদের দৃষ্টি সবসময় হোক ভদ্র ও অবনত। তোমাদের চলন হোক সংযত ,দেহ হোক পোষাকে আবৃত, নগ্নতা হোক পরিত্যজ্য। অশ্লীল কথা না বলা, শোনা বা দেখা নিয়ে পবিত্র বেদ এর উপদেশ: ওঁ ভদ্রং কর্ণেভি শৃণুয়াম দেবা ভদ্রং পশ্যেমাক্ষ ভির্যজত্রাঃ। স্থিরৈরঙ্গৈস্তুস্টুবাংসস্তনুভির্ব্যশেম দেবহিতং যদায়ুঃ।।             -ঋগ্বেদ ১/৮৯/৮ অনুবাদ: হে ঈশ্বর! আমরা যেন তোমার যজন করি, কান দিয়ে শ্লীল ও মঙ্গলময় কথাবার্তা শুনি, চোখ দিয়ে শ্লীল ও মঙ্গলময় দৃশ্য দেখি। তোমার আরাধনাতে যে আয়ুস্কাল ও সুদৃঢ় দেহ প্রয়োজন তা যেন আমরা প্রাপ্ত হই। শালীনতা শুধু পোশাকের আলোচনায় সীমাবদ্ধ না থাক, শালীনতা হোক বাক্যে, কর্মে ও চিন্তায়।                 ...

ঈশ্বর কি সাকার না নিরাকার ❓

ছবি
                           ঈশ্বর  কি সাকার না নিরাকার ❓ সত্যার্থ প্রকাশঃ   ঈশ্বর নিরাকার। কারণ, সাকার হইলে তিনি ব্যাপক হইতেন না। ব্যাপক না হইলে - সর্বজ্ঞাদি গুণও তাঁহাতে সম্ভব হইত না। কারণ পরিমিত বস্তুর গুণ-কর্ম স্বভাবও পরিমিত এবং উহা শীতোষ্ণ ক্ষুধা-তৃষ্ণা, রোগ-দোষ ও ছেদন-ভেদনাদি বিহীন হইতে পারে না। সুতরাং ঈশ্বর নিশ্চয়ই নিরাকার। সাকার হইলে তাঁহার নাসিকা, কর্ণ এবং চক্ষু প্রভৃতি অঙ্গের নির্মাতা অপর কেহ থাকা উচিত। কারণ, যাহা সংযোগ হইতে উৎপন্ন হয়, তাহার সংযোগকর্তা নিরাকার ও চেতন হওয়া অবশ্য উচিত। যদি কেহ বলেন যে, ঈশ্বর স্বেচ্ছায় স্বয়ং স্বীয় শরীর নির্মাণ করিয়াছেন, তাহা হইলেও সিদ্ধ হইতেছে যে, শরীর নির্মাণের পূর্বে তিনি নিরাকার ছিলেন। অতএব পরমাত্মা কখনও শরীর ধারণ করেন না, কিন্তু তিনি নিরাকার বলিয়া সমগ্র জগৎকে সূক্ষ্ম কারণ হইতে স্থুলাকাররূপে নির্মাণ করিয়া থাকেন।  বৈদিক প্রশ্নোত্তরঃ বেদ ও সাধারণ জ্ঞান অনুযায়ী তিনি নিরাকার। যদি তার একটি আকার থাকতো তবে তিনি সর্বত্র বিরাজমান হতে পারতেন না,...

What is God ❓

ছবি
                                             ঈশ্বর কি ❓ ঈশ্বরের বিভিন্ন ধরনের সংজ্ঞা হতে পারে। (ঈশ্বর) অসীম এবং শরীরবৃত্তিয় চেতনা জগতের বাইরে হওয়ার কারনে, ঈশ্বর শব্দের অর্থ কয়েকটি শব্দ বা বাক্যে প্রকাশ করাটা কঠিন। তুলনামূলক উপযুক্ত সংজ্ঞাগুলো নিম্নরূপ হতে পারেঃ ঈশ্বর সচ্চিদানন্দ- অস্তিত্বমান, বুদ্ধিমান ও আনন্দময়। ঈশ্বর নিরাকার ঈশ্বর সর্বশক্তিমান তিনি সর্বজ্ঞ তিনি ন্যায়কারী তিনি দয়ালু তিনি জন্মহীন বা অজন্ম তিনি অনন্ত তিনি নির্বিকার তিনি অনাদি তিনি অনুপম তিনি সর্বধর - সকল কিছুর ধারনকারী তিনি সর্বেশ্বর তিনি সর্বব্যাপক তিনি সর্বঅন্তর্যামী তিনি অজর তিনি অমর তিনি অভয় তিনি নিত্য তিনি পবিত্র তিনি সৃষ্টিকর্তা কিন্তু পরের অংশে। যা দিয়ে শুরু করলাম তাতে এটা বোঝার জন্য যথেষ্ট যে ঈশ্বর জগতের (অভ্যন্তরিন ও বাইরের সকল দিকের) পরিচালক। এটা জীবন ও জগতের মূল্যায়নের একটা সুশৃঙ্খল প্রক্রিয়ার মাধ্যমের সংকেত হতে পারে। এবং একদিন আমরা বিশ্লেষন প্রক্রিয়া শুরু করতে সক্ষম হব, ঈশ্...

বৈদিক বিজ্ঞান

ছবি
বৈদিক বিজ্ঞান বিষয়: চন্দ্রের গতি ও আলোক                                               ↓ অত্রাহ গোরমন্বত নাম ত্বষ্টু রপীচ্যম্। ইত্থা চন্দ্রমসো গৃহে।।                                                                                       ঋগ্বেদ ১/৮৪/১৫ অনুবাদ: গমনশীল চন্দ্রলোকে সূর্য্যের উজ্জ্বল জ্যোতি প্রতিফলিত হয়- এরূপ মানা হয়। এছাড়াও উপমার সাহায্যে  নিয়ে উল্লেখ আছে-  যত্ ত্বা সূৰ্য স্বর্ভানু স্তমসাবিধ্যদাসুরঃ। অক্ষেত্রবিদ্ যথা মুগ্ধো ভুবনান্যদীধয়ুঃ।।                                                     ...

মাতৃগর্ভ

ছবি
মাতৃগর্ভ ! দশ মাসা ঞ্ছশয়ানঃ কূমারো অধি মাতরি। নিরৈতু জীবো অক্ষতো জীবো জীবন্ত্যা অধি।।                    ঋগবেদ ৫/৭৮/৯. বঙ্গানুবাদঃ   হে পরমাত্মা! দশমাস পর্যন্ত মাতৃগর্ভে সুকুমার জীব সুপ্ত থাকিয়া যেন প্রাণ ধারণ করে এবং জীবিতা মাতার গর্ভ হইতে যেন বিনা কষ্টে ভূমিষ্ঠ হয়। ও৩ম্ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ

সন্ন্যাস গ্রহণ কি কেবলমাত্র ব্রাহ্মণেরই ধর্ম, না ক্ষত্রিয় প্রভৃতিরও ধর্ম ?

ছবি
প্রশ্নঃ – সন্ন্যাস গ্রহণ কি কেবলমাত্র ব্রাহ্মণেরই ধর্ম, না ক্ষত্রিয় প্রভৃতিরও ধর্ম ? উত্তরঃ – ব্রাহ্মণেরই অধিকার, কারণ সকল বর্ণের মধ্যে যিনি পূর্ণ বিদ্বান, ধার্মিক এবং পরোপকার প্রিয় তাঁর নাম 'ব্রাহ্মণ' । পূর্ণ বিদ্যা, ধর্ম, পরমেশ্বরের নিষ্ঠা এবং বৈরাগ্য ব্যতীত সন্ন্যাস গ্রহণ করলে সংসারে বিশেষ উপকার হতে পারে না । এজন্য জনশ্রুতি আছে যে, কেবলমাত্র ব্রাহ্মণেরই সন্ন্যাসে অধিকার, অন্যের নয় । মনুস্মৃতিতে মনু মহারাজও বলেছেন - মনুসংহিতাঃ   এষ বোऽভিহিতো ধর্মো ব্রাহ্মণস্য চতুর্বিধঃ। পুণ্যোऽক্ষয়ফলঃ প্রেত্য রাজধর্মং নিবোধত।।                                        - মনুঃ ৬|৯৭ শ্লোক  অর্থাৎ, ‘হে ঋষিগণ ! এই চতুর্বিধ অর্থাৎ‍ ব্রহ্মচর্য্য, গৃহস্থ, বানপ্রস্থ এবং সন্ন্যাস আশ্রম পালন করা ব্রাহ্মণের ধর্ম । বর্তমানে, পুণ্যস্বরূপ এবং দেহত্যাগের পর মুক্তিস্বরূপ অক্ষয় আনন্দপ্রদ এই সন্ন্যাস ধর্ম । এর পর আমার নিকট রাজধর্ম শ্রবণ কর । এতদ্বারা সিদ্ধ হল যে, প্রধানতঃ ব্রাহ্মণেরই সন্ন্যাস গ্রহণ...

ক্ষত্রিয় কে ❓

ছবি
ক্ষত্রিয়ঃ- মনুসংহিতাঃ   প্রজানাং রক্ষণং দানমিজ্যাধ্যয়নমেব চ। বিষয়েম্বপ্রসক্তিশ্চ ক্ষত্ৰিয়স্য সমাসতঃ ॥১॥ মনু০ ভগবত গীতাঃ শৌয়ং তেজো ধৃতিদাক্ষ্যং যুদ্ধে চাপ্যপলায়নম্। দানমীশ্বরভাবশ্চ ক্ষাত্ৰং কর্ম স্বভাবজম্ ॥২ ৷৷ ভ০গী০ (প্রজা০) ন্যায়ানুসারে ‘প্রজারক্ষা' অর্থাৎ পক্ষপাত পরিত্যাগ পূর্বক শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিদের সম্মান এবং দুষ্ট ব্যক্তিদের তিরস্কার করা; সর্বপ্রকারে সকলকে পালন করা, (দান) বিদ্যাধর্মে প্রবৃত্তি ও সুপাত্রের সেবায় ধনাদি সামগ্রী ব্যয় করা। (ঈজ্যা) অগ্নিহোত্রাদি যজ্ঞ করা ও করান। (অধ্যয়ন) বেদাদি শাস্ত্র সমূহের অধ্যয়ন ও অধ্যাপনা;(বিষয়েম্ব প্রসক্তি) বিষয়সমূহে আসক্ত না হইয়া সর্বদা জিতেন্দ্রিয় এবং শরীর ও আত্মায় বলবান্ থাকা ॥১॥  (শৌর্য্য) একাকী শত সহস্রের সঙ্গেও যুদ্ধ করিতে ভীত না হওয়া (তেজঃ) সর্বদা তেজস্বী অর্থাৎ দীনতাশূণ্য প্রগল্ভ এবং দৃঢ় থাকা। (ধৃতি) ধৈর্য্যবান হওয়া। (দাক্ষ্য) রাজা-প্রজা বিষয়ক ব্যবহার এবং সকল শাস্ত্রে অতিশয় নিপুণ হওয়া (যুদ্ধে) যুদ্ধে দৃঢ় ও নিঃশঙ্ক থাকিয়া, কখনও তাহাতে পরাঙ্মুখ না হওয়া ও পলায়ন না করা; অর্থাৎ...

"অর্থঃ সহ গায়ত্রী মন্ত্র জপ করার উপকারিতা"

ছবি
      "অর্থ সহ গায়ত্রী মন্ত্র জপ করার উপকারিতা" ১. জপ দ্বারা, অভ্যন্তরীণ প্রবৃত্তি তৈরি হয় এবং ঈশ্বরের সাথে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয়। ২. ব্যক্তি অকেজো কথোপকথন, নিন্দা ইত্যাদির মতো খারাপ দিক থেকে রক্ষা পায় এবং সময়কে সর্বোত্তমভাবে ব্যবহার করা হয়। ৪. প্রতিটি কাজ করা জপ এবং ঈশ্বরের সাথে সংযুক্ত থাকার একটি অনুশীলন হয়ে ওঠে এবং তিনি কোন অবস্থাতেই কোথাও ভয় পান না। ৫. জ্ঞান, শিক্ষা, বুদ্ধি, শক্তি, আনন্দ, শক্তি, ধৈর্য, ​​সাহস ঈশ্বরের কাছ থেকে পাওয়া যায়। ৬. বক্তা কখনো হতাশ হয় না এবং উত্সাহের সাথে মহান দাতব্য কাজ করতে সক্ষম হয়। ৭. জপ করার দ্বারা শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় কারণ জপ সবসময় সুখী  থাকে। ৮. যতই দুঃখ, অসুবিধা, বাধা -বিপত্তি আসুক না কেন, তিনি কখনোই আতঙ্কিত হন না। ৯. নিয়মিত জপ করলে কাম, ক্রোধ, লোভ, লালসা, ঘৃণা, অহংকার, হিংসা ইত্যাদি ত্রুটি বা কুফল বিনষ্ট হয় এবং আধ্যাত্মিক মূল্যবোধের জন্ম হয়। ১০. যে ব্যক্তি জপ করে সে মন ও ইন্দ্রিয়কে নিয়ন্ত্রণ করার বিশেষ শক্তি পায় এবং সে খুব দ্রুত ঐশ্বরিক পথে এগিয়ে যেতে শুরু করে। योगाचार्य डॉ....

যজ্ঞের মহিমা

ছবি
                                 যজ্ঞের মহিমা কেউঃ যজ্ঞের আত্মা কি?  উত্তরঃ - যজ্ঞের আত্মা স্বাহা। কেউঃ   স্বাহা মানে কি? উত্তরঃ - স্বাহা মানে (1) সু + আ + হা। অর্থাৎ সু = ভালো জিনিসের আগমন = সম্পূর্ণ হা = হ্যাঁ সম্পূর্ণভাবে = ত্যাগ করা। স্বাহা নামের অর্থ - (২) মিষ্টি কথা বলা, প্রিয় ও উপকারী কথা বলা, তিক্ত ও তিক্ত কথা না বলা। স্বাহা মানে ( ৩) নিজের প্রতি আহ - নিজেকে বলা। অন্তর্বিশ্লেষণ, নিজের প্রতিফলন। আমি কে, কোথা থেকে এলাম, কোথায় যাবো, ইত্যাদি চিরন্তন প্রশ্নে আত্মদর্শন করা, আত্মদৃষ্টিতে চিন্তা করা। এর একটা অর্থ আছে - (৪) ত্যাগ কিন্তু শুধু ত্যাগই নয়, আমি যা করছি, আমি চিন্তা করে এবং করার পর ঠিক করছি, এটিও অর্থ। , স্বাহা এর আরেকটি অর্থ আছে যে ( ৫) নিজের জিনিস নিজের বলে বলা, পরের জিনিস নিজের বলে বলার অধিকার নেই। কেউঃ কখন স্বাহার সাথে উৎসর্গ করা উত্তম? উত্তরঃ স্বাহা পাঠের শেষে নৈবেদ্য প্রদান করা উত্তম। কেউঃ যজ্ঞের জীবন কি? উত্তরঃ - যজ্ঞের জীবন "ইদন্ন মম।" কেউঃ ইদ...

🔸 সনাতন ধর্মে সুদ গ্রহন বৈধ ❓বেদ ও বৈদিক শাস্ত্র কি বলে ❓

ছবি
🔸 সনাতন ধর্মে সুদ গ্রহন বৈধ ❓বেদ ও বৈদিক শাস্ত্র কি বলে ❓ ▪️ব্যাবসায় উন্নতি ও সমাজকে এগিয়ে নেবার জন্য মুনাফা গ্রহন বৈধ এবং মুনাফার পরিমান হবে আসল অর্থের ৮০ ভাগের ১ ভাগ। শাস্ত্র ব্যাখ্যা নিচে:- ♦ যেহেতু মানব জাতির একমাত্র ও শ্রেষ্ঠ গ্রন্হ বেদ সেহেতু আমরা সর্বপ্রথম বেদের প্রামাণ্য দেখবো:- ♦ যেন ধনেন প্রপণং চরামি ধনেন দেবা ধনমিচ্ছমানঃ। তন্মে ভূয়ো ভবতু মা কণীয়োহগ্নে সাতঘ্নো দেবান্ হবিষা নিষেধ।। =|| অথর্ববেদ ৩/১৫/৫ ||= অর্থ:- হে পরমাত্মা! মূলধন দ্বারা আমারা ধন বৃদ্ধির ইচ্ছা করিতেছি। যে ধন দ্বারা বাণিজ্য করিতেছি তাহা বৃদ্ধি প্রাপ্ত হউক। হে পরমাত্মা তোমার কৃপায় যেন আমরা বহূ ধন লাভ করিতে পারি। যাহারা আমার লাভের হানিকারক তাহাদিগকে আমার নিকট হইতে দূরে রাখ। ♦যেন ধনেন প্রপণং চরামি ধনেন দেবা ধনমিচ্ছমানঃ। তস্মিন্ মা ইন্দ্রো রুচিমা দধাতু প্রজাপতিঃ সবিতা সোমো অগ্নি। =|| অথর্ববেদ ৩/১৫/৬ ||= অর্থ:- হে প্রজাপালক ঐশর্য্যপ্রদাতা রোগনিরাময় ও পবিত্রকারী পরমাত্বা আমাদেরকে উত্তম ধন প্রদান করুন। হে সর্বশক্তিমান পরমাত্মা! আমরা মূলধন দ্বারা ধন বৃদ্ধির ইচ্ছা করিতেছি তা বৃদ্ধিপ্রাপ্ত ...

🔸সনাতন ধর্মে মদ্য পান এবং জুয়া নিয়ে কি আছে ❓

ছবি
উত্তরঃ  সনাতন ধর্মের প্রধান ধর্মগ্রন্থ পবিত্র বেদ, অনুসারে, মদ্যপান ও জুয়া খেলাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।  মদ্যপানঃ – হৃঃসু পীতাসো যুধ্যন্তে দুর্মদাসো ন সুরায়াম্। উধর্ন নগ্না জরন্তে বঙ্গানুবাদঃ মদ্যপায়ী হৃদয় খুলিয়া মদ্য পান করিয়া নিজেদের মধ্যে পরস্পর কলহ বিবাদ করে এবং উলঙ্গ হইয়া সারারাত্রি প্রলপোক্তি করিতে থাকে তাহারা নিশ্চয়ই দুষ্ট বুদ্ধি।  🔸(ঋগ্বেদ =৮/২/১২।)🔸 জুয়াড়ীঃ – জায়া তপ্যতে কিতবস্য হীনা মাতা পুত্রস্য চরতঃ ক্ক স্বিৎ। ঋণাবা বিভ্যদ্ধনমিচ্ছমানোহন্যেষামস্তমুপ নক্তমোতি।। বঙ্গানুবাদঃ জুয়াবাজের স্ত্রী হীনাবস্থায় পড়িয়া কষ্ট ভোগ করে, ইতস্তঃ ভ্রমণশীল জুয়াবাজের মাতা দুঃখ পায়। সে সদা ঋণগ্রস্ত হইয়া ভয়ে কাল কাটায়। ধনের আকাঙ্ক্ষায় সে রাত্রিতে অন্যের গৃহে উপস্থিত হয়। 🔸(ঋগ্বেদ =১০/৩৪/১০।)🔸 জুয়াখেলাঃ – অক্ষৈর্মা দীব্যঃ কৃষিমিৎকৃষস্ব বিত্তে রমস্ব বহু মন্য মানঃ। তত্র গাবঃ কিতব তত্র জায়া তন্মে বিচষ্টে সবিতায়মর্য়ঃ।। বঙ্গানুবাদঃ  হে জুয়াবাজ! জুয়া খেলিও না! ভাল ভাবে কৃষিকার্য কর। নিজের যে ধন আছে তাহাই প্রচুর মনে করিয়া উপভোগ কর। ঐ যে গরু, ঐ যে স্ত্রী তাহাদের দিকে দেখ, শ্রে...

〰️ অষ্টাঙ্গ যোগঃ 〰️

ছবি
🔘।।অষ্টাঙ্গ যোগঃ ।।🔘 যম-নিয়মাসন-প্রাণায়াম-প্রত্যাহার-ধারণা-ধ্যানসমাধয়োঽষ্টাবঙ্গানি।। (পাতঞ্জলযোগসূত্র: সাধনপাদ, ২৯) ‌ ‌"যম, নিয়ম, আসন, প্রাণায়াম, প্রত্যাহার, ধারণা, ধ্যান ও সমাধি-এই আটটি যোগের অঙ্গসরূপ।"   ‌✅প্রথমঃ-যম ‌অহিংসা সত্যাস্তেয়-ব্রহ্মচর্যাপরিগ্রহা যমাঃ। ‌(পাতঞ্জলযোগসূত্র: সাধনপাদ, ৩০) ‌ ‌"অহিংসা, সত্য, অস্তেয়, ব্রহ্মচর্য ও অপরিগ্রহ-এইগুলিকে যম বলে।" ‌✅দ্বিতিয়ঃ-নিয়ম ‌শৌচ-সন্তোষ-তপঃ-স্বাধ্যায়েশ্বরপ্রণিধানানি নিয়মাঃ। ‌(পাতঞ্জলযোগসূত্র: সাধনপাদ, ৩২) ‌ ‌"শৌচ, সন্তোষ, তপ, স্বাধ্যায় ও ঈশ্বর-প্রণিধান-এইগুলি নিয়ম।" ‌✅তৃতীয়ঃ-আসন ‌স্থিরসুখমাসনম্। ‌(পাতঞ্জলযোগসূত্র:সাধনপাদ, ৪৬) ‌ ‌"যে অবস্থায় অনেকক্ষণ স্থিরভাবে ও সুখে বসা যায়, তাহার নাম আসন।" ‌✅চতুর্থঃ-প্রণায়ম ‌তস্মিন্ সতি শ্বাসপ্রশ্বাসয়োর্গতিবিচ্ছেদঃ প্রাণায়ামঃ। ‌(পাতঞ্জলযোগসূত্র: সাধনপাদ, ৪৯) ‌ ‌"আসন জয়ের পর শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি সংযম করাকে প্রাণয়াম বলে।" ✅‌পঞ্চমঃ-প্রত্যাহার   ‌স্বস্ববিষয়াসম্প্রয়োগে চিত্ত-স্বরূপানুকার ইবেন্দ্রিয়াণাং প্রত্যাহারঃ। ‌(পাতঞ্জলযোগসূত্র: সাধনপাদ, ৫...

প্রাণায়াম বিধি

ছবি
                                                                                                                         ও৩ম্ প্রাণায়াম বিধি মহাত্মা নারায়ণ স্বামী প্রণীত অনুবাদকঃ আচার্য্য প্রিয়দর্শন পিডিএফ তৈরিঃ হৃদয় সুত্রধর                                                                                                  পিডিএফ   লিংকঃ  https://cutt.ly/fJTVpij

Indra, ruler of the world 🔸(Atharva Veda 19/15/1)🔸

ছবি
যত ইন্দ্র ভয়ামহে ততো নো অভয়ং কৃধি। (অথর্ববেদ ১৯/১৫/১) সরলার্থঃ হে ঈশ্বর! আমাকে ভয়মুক্ত করো। এই ভয় যেখানেই থাকুক, সেখান থেকেই তাকে দূরীভূত করো। TRANSLATION: Indra, ruler of the world, whatever we fear from, wherever we fear, give us freedom from fear everywhere. O Lord of power and glory, strengthen us with all your modes and means of protection. Eliminate all haters, destroy all conflict and eliminate mutual warfare. (Atharva Veda 19/15/1)

বেদ কি সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্মগ্রন্থ ❓বেদকে কেন সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্মগ্রন্থ বলা হয় ❓

ছবি
বেদ কি সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্মগ্রন্থ ❓ বেদকে কেন সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্মগ্রন্থ বলা হয় ❓ 🔸বেদ শব্দটি "বিদ্" ধাতু থেকে নিষ্পন্ন। "বিদ্" ধাতুর অর্থ - জানা।সেইজন্য বেদ শব্দের ধাতুগত অর্থ - জ্ঞান বা বিদ্যা দুই প্রকার পরা এবং অপরা। অলৌকিক জ্ঞান - পরাবিদ্যা। জাগতিক বিষয় সম্বন্ধীয় যাবতীয় লৌকিক জ্ঞান - অপরা বিদ্যা। পরা ও অপরা এই দুই বিদ্যাই স্থান পেয়েছে সেই জন্য বেদকে সর্ব জ্ঞানের ভান্ডার বলা হয়। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে বেদের বেদত্ব ওই পরাবিদ্যা বা ব্রহ্মবিদ্যা প্রকাশের জন্য।পরাবিদ্যাই শ্রেষ্ঠ বিদ্যা ।  "বিদ্‌" ধাতুর চারিপ্রকার অর্থ হয়  বেত্তি বেদ বিদ্‌ জ্ঞানে,বিন্তে বিদ্‌ বিচারণে।  বিদ্যতে বিদ্‌ সত্তায়াং, লাভে বিদন্তি বিন্দতে।। এই চারিপ্রকার অর্থ হইতেছে - জানা, বিচার করা, অবস্থান করা ও লাভ করা। যাহা পাঠ করলে মানুষ সত্য জানিতে পারে, সত্য এবং অসত্যের বিচার করিতে পারে, প্রকৃত বিদ্বান হইতে পারে, প্রকৃত শান্তি এবং আনন্দ লাভ করিতে পারে, তাহার নাম বেদ। বেদ শব্দের দুই অর্থ - মুখ্য ও গৌণ। ইহার মুখ্য অর্থ হল জ্ঞান রাশি, আর গৌণ অর্থ হল শব্দরাশি। বৈদিক জ্ঞান রাশি আত্মপ্রকাশ...

ধর্মের লক্ষণ কি ❓

ছবি
ধর্মের লক্ষণঃ ধৃতিঃ ক্ষমা দমোऽস্তেয়ং শৌচমিন্দিয্রনিগ্ৰহঃ। ধীর্বিদ্যাসত্যমক্রোধো দশকং ধর্ম লক্ষণম্।।   (মনুসংহিতা ৬/৯২) ধৃতি, ক্ষমা, দম, অস্তেয়, শৌচ, ইন্দ্রিয়নিগ্রহ, ধী, বিদ্যা, সত্য, অক্রোধ- এই দশটি ধর্ম্মের লক্ষণ।